আজকের যায়যায়দিন

ইউক্রেনের দরকার ইসরাইলের মতো সাহায্য, এমন কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে ইসরাইলের ওপর ইরানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দাও করেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, আকাশ থেকে হুমকি প্রতিহত করতে ইসরাইলের মতোই তার দেশেরও মিত্রদের সাহায্যের প্রয়োজন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আবারও মার্কিন কংগ্রেসকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করার আহ্বান জানিয়েছেন। মূলত কয়েক মাস ধরে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে এটি আটকে রয়েছে। এমন অবস্থায় ইউক্রেনের বাহিনী পূর্বে রুশ সেনাদের নতুন আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে এবং রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পাশাপাশি ড্রোন থেকেও শহর ও অবকাঠামোতে প্রতিদিন হামলা হচ্ছে।

সোস্যাল মিডিয়া পস্ন্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, 'ইরানের পদক্ষেপগুলো সমগ্র অঞ্চল এবং বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে, ঠিক যেমন রাশিয়ার পদক্ষেপগুলো একটি বৃহত্তর সংঘাতের হুমকি দিচ্ছে এবং সন্ত্রাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সুস্পষ্ট সহযোগিতাকে অবশ্যই বিশ্বের কাছ থেকে একটি দৃঢ় ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে।' পরে রাতে দেওয়া নিজের ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্ব দেখেছে 'ইসরাইল তার প্রতিরক্ষায় একা ছিল না- আকাশে হুমকিগুলোও তার মিত্রদের মাধ্যমেই ধ্বংস হয়েছে।'

আমেরিকায় শিক্ষার্থী বিক্ষোভ / হার্ভার্ডে উড়ল ফিলিস্তিনি পতাকা

জেলেনস্কি বলেন, 'যখন ইউক্রেন বলছে, মিত্ররা রুশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার বিষয়ে চোখ বন্ধ রাখতে পারে না, তখন এর অর্থ হলো- এ বিষয়ে কাজ করতে হবে এবং দৃঢ়ভাবে কাজ করা প্রয়োজন।' তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের আকাশ 'বাকশক্তি দিয়ে সুরক্ষিত নয়'। তার ভাষায়, 'ইউক্রেনে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্যাকেজ পাওয়ার জন্য কয়েক মাস ধরে অপেক্ষা করছি। সত্য হচ্ছে- আমরা এখনো মার্কিন কংগ্রেসে ভোটের জন্য অপেক্ষা করছি। এতে সন্ত্রাসীদের (রাশিয়া) আস্থা ও আত্মবিশ্বাসও কয়েক মাস ধরে বাড়ছে। নষ্ট করার আর সময় নেই।'

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন রোববার বলেছেন, তিনি ইরানের হামলার পর চলতি সপ্তাহে ইসরাইলে সহায়তা পাঠানোর বিষয়েটি আরও সুরক্ষিত করার চেষ্টা করবেন। তবে তিনি বলেননি, আইনটিতে ইউক্রেন এবং অন্য মিত্রদের জন্য সহায়তা অন্তর্ভুক্ত থাকবে কিনা।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারি ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরু করে রাশিয়া। সেই আক্রমণের প্রায় শুরু থেকেই রাশিয়াকে হাজার হাজার শাহেদ কামিকাজে ড্রোন সরবরাহ করেছে ইরান। এগুলো ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাকে নিঃশেষ করতে এবং সম্মুখ সমর থেকে অনেক ভেতরের ভূখন্ডে অবকাঠামোগুলোতে আঘাত করার জন্য ব্যবহার করছে রাশিয়া।

অবশ্য জেলেনস্কি গত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের, বিশেষ করে আমেরিকাকে, আকাশ প্রতিরক্ষা এবং অস্ত্রসহ ইউক্রেনের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য 'রাজনৈতিক ইচ্ছা' কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

গত শনিবার জেলেনস্কি বলেন, জার্মানি 'সংকটজনক সময়ে' ইউক্রেনে মার্কিন তৈরি প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে।