আজকের যায়যায়দিন

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ায় ১০ জন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোলস্নাও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর প্রাণ হারান তারা। এ ছাড়া এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। কেনিয়ার সামরিক প্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোলস্না দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর মারা গেছেন বলে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন। ওগোলস্না ছিলেন কেনিয়ার সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তা এবং হেলিকপ্টারটিতে অন্য আরও ১১ সামরিক সদস্যের সঙ্গে ছিলেন তিনি। এই দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেছেন মাত্র দুইজন। এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, এটি দেশের জন্য 'বড় দুঃখের মুহূর্ত'। এর আগে তিনি নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকেন। রুটো বলেন, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। কেনিয়ার বিমান বাহিনী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত দল পাঠিয়েছে। প্রেসিডেন্ট রুটো আরও বলেন, সামরিক প্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোলস্নাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রাজধানী নাইরোবির উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে এলজিও মারাকওয়েট কাউন্টিতে বিধ্বস্ত হয়। জেনারেল ওগোলস্না বিমান বাহিনীর কমান্ডার এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের এপ্রিলে সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। প্রেসিডেন্ট রুটো তার প্রধান সামরিক উপদেষ্টাকে একজন সাহসী অফিসার হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যিনি দায়িত্ব পালনের সময় মারা গেছেন। রুটো আরও বলেন, 'আমাদের মাতৃভূমি তার সবচেয়ে বীর সেনাপতি, বীর অফিসার, বীর সেনানিদের একজনকে হারিয়েছে।' এদিকে, কেনিয়া শুক্রবার থেকে তিনদিনের শোক পালন করছে। এ সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে। কেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট অনুসারে ১৯৮৪ সালের ২৪ এপ্রিল ওগোলস্না প্রথম কেনিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করেন। আগামী সপ্তাহে সামরিক বাহিনীতে ৪০ বছর পূর্ণ করার কথা ছিল তার। হতাহত এই সামরিক কর্মকর্তারা কেনিয়ার নর্থ রিফট অঞ্চলে গিয়েছিলেন। কেনিয়ার এই অঞ্চলটি দসু্যতায় জর্জরিত। তথ্যসূত্র : বিবিসি