আজকের যায়যায়দিন

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সোমবার তিন দিনের সরকারি সফরে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছেছেন। সেখানে ইরানি প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের নূর খান বিমান ঘাঁটিতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ইরানি প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান পাকিস্তানের গৃহায়ন ও পূর্তমন্ত্রী মিয়া রিয়াজ হোসেন পীরজাদা।

এই সফরে নিজেদের সম্পর্ক বাড়াতে এবং বাণিজ্য, সংযোগ, জ্বালানি, কৃষি ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে দুই দেশের নেতারা আলোচনা করবেন। এছাড়া সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়ন এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে।

প্রেসিডেন্ট রাইসি সোমবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে দেখা করেন। পরে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গেও ইব্রাহিত রাইসি বৈঠক করেন। ইরানি প্রেসিডেন্টের বৈঠকসূচিতে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার বিষয় রয়েছে।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন / ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের বাণিজ্য স্থগিত

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করবেন। এছাড়া তারা যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কাজ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।

ইরানি প্রেসিডেন্ট ইসলামাবাদ ছাড়াও লাহোর, করাচিসহ পাকিস্তানের বড় শহরগুলো পরিদর্শন করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, 'পার্স টুডে' জানিয়েছে, পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের আমন্ত্রণে এক দিনের সফরে দেশটির রাজধানী কলম্বো যাবেন রাইসি।

উলেস্নখ্য, গত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইরান নজিরবিহীনভাবেই পাকিস্তানের ভূখন্ডে বিমান হামলা করে। জবাবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীও ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। তবে কূটনীতির মাধ্যমে সম্পর্ক জোড়া লাগায় মুসলিম বিশ্বের শক্তিধর এই দুই দেশ। ইসরাইলের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্টের পাকিস্তান সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে পশ্চিমা বিশ্ব। তথ্যসূত্র : রয়টার্স