নতুন বছরের প্রথম দিনেই ইউক্রেনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভে বুধবারের হামলায় অন্তত তিনজন আহত ও দুটি জেলার একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নগর কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। মেয়র ভিটালি ক্লিটশকো বলেছেন, শত্রম্নপক্ষের হামলা প্রতিহত করছিল বিমানবাহিনী। সে সময় একটি ভবনের দুটি তলা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বুধবার সকালেই রাজধানীর দিকে ধেয়ে আসা ড্রোনের বিষয়ে সতর্কতা জারি করে দেশটির বিমান বাহিনী। তার কিছুক্ষণ পরেই বিস্ফোরণে আওয়াজ শোনা যায়।তিনি আরও বলেছেন, ধ্বংসাবশেষের আঘাতে অনাবাসিক আরেকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রম্নয়ারি মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তখন থেকেই যুদ্ধের সম্মুখ সারির অনেক পেছনে বেসামরিক শহরেও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ক্রেমলিন।
\হএদিকে ইউক্রেনকে কেউ এগিয়ে এসে শান্তি উপহার দেবে বলে বিশ্বাস করেন না দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে মঙ্গলবার গভীররাতে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে নতুন বছরেও কিয়েভের পাশে থাকবে ওয়াশিংটন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। নতুন বছরে জনগণের প্রতি দেওয়া ২১ মিনিটের শুভেচ্ছামূলক বার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, একমাত্র শক্তিশালী ইউক্রেনই পারে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিশ্বব্যাপী সম্মান অর্জন করতে। ইউক্রেনের পতাকা, যুদ্ধক্ষেত্র ও শিশুদের স্থিরচিত্র সম্বলিত ব্যাকগ্রাউন্ডের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, উপহার হিসেবে আমরা শান্তি পাব না, সেটা বোঝা হয়ে গেছে আমাদের। তবে রাশিয়াকে প্রতিহত করে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব। আমাদের সবার চাওয়া এটাই। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, নবনির্বাচিত ট্রাম্প ও ইউক্রেনের সমর্থনে থাকা সব নেতার প্রতি সম্মান প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, আমি নিশ্চিত, নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুদ্ধের অবসান চান। তিনি পুতিনের আগ্রাসন প্রতিহত করে যুদ্ধে অবসান ঘটাতে পারবেন বলেই আমার বিশ্বাস। ট্রাম্প সম্পর্কে জেলেনস্কি আরও বলেছেন, তিনি বুঝতে পারেন যে পুতিনের আগ্রাসন থামানো ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। কারণ এটি কোনও রাস্তার মারামারি নয় যেখানে দুই পক্ষকে শান্ত করা দরকার। এটি একটি সভ্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি উন্মাদ রাষ্ট্রের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন। আমি বিশ্বাস করি যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে রাশিয়াকে বাধ্য করতে পারব শান্তি নিশ্চিত করতে। রাশিয়াকে যুদ্ধক্ষেত্র বা আলোচনা, কোথাও ভরসা করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জেলেনস্কি। ২০২২ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে ইউক্রেনের প্রতি সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে আসছে পশ্চিমা মিত্ররা। মিত্র দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।