অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে দেশদ্রোহে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার তাকে গ্রেপ্তারে বাড়ির সামনে তিন হাজারের বেশি পুলিশ অবস্থান নেন। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহায়তা করেছেন বলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন ইউন। তিনি বলেছেন, গ্রেফতারকারীরা দমকলবাহিনীর সরঞ্জাম দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছিল। তখনই আমি সিদ্ধান্ত নেই, অনাকাঙ্খিত রক্তপাত এড়াতে কর্তৃপক্ষের অবৈধ তদন্তে সহায়তা করব।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাহাড়ের ধারে নিজের বাসভবনে অবস্থান করছিলেন ইউন। উচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদু্যতায়িত কাঁটাতার ঘেরা বাসভবনে ছিল তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর ছোট একটি দল। বুধবার ভোরে তিন হাজারের বেশি পুলিশ ইউনকে গ্রেফতার করতে তার বাড়ির সামনে উপস্থিত হন। গ্রেফতারের পর প্রেসিডেন্সিয়াল গাড়ি বহর নিয়ে দুর্নীতি দমন সংস্থার কার্যালয়ে উপস্থিত হন ইউন। ইউনের আইনজীবীরা বলেছেন, অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের পুরো প্রক্রিয়াই অবৈধ। সব কিছু করা হচ্ছে জনসম্মুখে তাকে অপদস্থ করার জন্য। দেশটির ইতিহাসে ক্ষমতাসীন বা অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইউন সুক ইওল একমাত্র ব্যক্তি, যার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ান জারি হয়েছে এবং তা কার্যকর করা হয়েছে। গ্রেফতারের সময়, ইউনের বাসভবনের বাইরে তার আবেগপ্রবণ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি হয়েছে বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। গত ৩ ডিসেম্বর দেশে সামরিক শাসন জারি করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত করে ফেলেন ইউন সুক ইওল। আদালতের বিরোধিতার মুখে ছ ঘণ্টা পর সামরিক আইন বাতিলে বাধ্য হলেও দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন এখনও শান্ত হয়নি। গত ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট তাকে অভিশংসিত করে। বর্তমানে তার অভিশংসন মামলা সাংবিধানিক আদালতে রয়েছে।