বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

১৪০ কেজি গাঁজা জব্দ সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে

  ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
১৪০ কেজি গাঁজা জব্দ সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে

মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ও ভয়ংকর ছোবল দেশের সবাইকেই উদ্বিগ্ন করেছে। এর বিষাক্ত ছোবল অকালে কেড়ে নিচ্ছে অনেক প্রাণ। অনেক সম্ভাবনাময় তরুণ-তরুণী হচ্ছে বিপথগামী, তারা অন্ধকারে পথ হারিয়েছে। এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় একটি কভার্ড ভ্যান থেকে ১৪০ কেজি গাঁজা জব্দ করে পুলিশ বলেছে, কারওয়ান বাজার ও তেজগাঁও এলাকায় বিক্রির জন্য এই মাদক নিয়ে আসা হয়েছে সীমান্ত এলাকা থেকে। গাঁজা জব্দের পাশাপাশি ওই কাভার্ড ভ্যানের চালক, মাদক কারবারি মো. সালু মিয়াকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

এর আগে ৪২ জন কোটিপতি মাদক ব্যবসায়ীর সন্ধান পেয়েছিল সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এদের মধ্যে ২ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। গোয়েন্দাদের ধারণা এদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হলে, রাজধানীতে অনেকটাই মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর আগে বলেছেন, আমরা প্রতি ৩ মাস পরপর তালিকা তৈরি করি। এরপর ওই তালিকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা থেকেও তালিকা তৈরি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই তালিকা ধরেও সমন্বয় করে কাজ করা হয়। উলেস্নখ্য, রাজধানীতে মাদকের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়। এর আগে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা করে সরকারে একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা। ওই তালিকা অনুযায়ী অভিযান শুরু করা হয়। এতে অনেকেই গা ঢাকা দেন। ধারণা করা হচ্ছে অভিযানের জোরদারের খবর আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।

বিভিন্ন ধরনের মাদকগুলোর মধ্যে- হেরোইন, কোকেন, ইয়াবা, আইস, আফিম, গাঁজা, ফেনসিডিল, বিয়ার, কেটামিন, তামাক, বিড়ি, সিগারেট, স্পিড, ঘুমের বড়ি, তুসকা ইত্যাদি। এসব মাদকদ্রব্য আমাদের সমাজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমাদের দেশের যুবসমাজ বিভিন্ন কারণে মাদকসেবন করে নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে- যা খুবই পরিতাপের বিষয়।

বাংলাদেশে ইয়াবা আর ফেনসিডিলের বাজার তৈরি হওয়ায় মিয়ানমার এবং ভারত সীমান্তে অসংখ্য ইয়াবা আর ফেনসিডিলের কারখানা গড়ে উঠছে। এসব কারখানায় বাংলাদেশের যুবসমাজের জন্য মিয়ানমার মরণ নেশা ইয়াবা এবং ভারত থেকে ফেনসিডিল উৎপাদন করে তা নির্বিঘ্নে সরবরাহ করা হচ্ছে। বলতে দ্বিধা নেই, এসব দেশে মাদক তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের যুবসমাজের জন্যই। বাংলাদেশ ঘেঁষা সীমান্তে মিয়ানমারে অসংখ্য ইয়াবা কারখানা গড়ে উঠেছে। সেসব কারখানায় কোটি কোটি পিস ইয়াবা তৈরি হচ্ছে। অবাক করা ব্যাপার, মিয়ানমারের মানুষ, সেখানকার যুবসমাজ খুব একটা ইয়াবা আসক্ত নয়। কোনো কোনো এলাকায় ইয়াবা কী তা সেখানকার অধিবাসীরা জানেনই না। মূলত বাংলাদেশিদের জন্যই সেখানে ইয়াবা কারখানা গড়ে উঠেছে।

মাদক ব্যবসার সঙ্গে দেশের অনেক রাঘববোয়াল জড়িত। ধারণা করা যাচ্ছে, এই সংখ্যা অনেক। এদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিতে পারলে আমাদের যুবসমাজকে রক্ষা করা যাবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে