সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

টাইগারদের সিরিজ জয় এই ধারা অব্যাহত থাক

নতুনধারা
  ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

করোনায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল সারা বিশ্বেই। করোনাভাইরাসের প্রভাবে মানুষের জীবনযাপন হয়েছে বিঘ্নিত, বিভিন্ন খাতেও এর ব্যাপক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। আর বলার অপেক্ষা রাখে না, করোনাভাইরাসের প্রভাব ক্রীড়াঙ্গনেও পড়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনে গতি ফিরতে শুরু করে। এরপর নানা সময় টাইগারদের সফলতার খবরও এসেছে। আর সম্প্রতি জানা গেল, ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজ খুইয়েছিল বাংলাদেশ কিন্তু নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে সিরিজ ঘরে তুলেছে টাইগাররা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলংকাকে চার উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে লংকানদের বিপক্ষে ব্যাক টু ব্যাক ওয়ানডে সিরিজ জিতল টাইগাররা। এই জয়ে টাইগারদের জানাই আন্তরিক অভিবাদন। একইসঙ্গে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টাও বজায় রাখতে হবে।

বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ঘরের মাঠে ওয়ানডে ফরম্যাটে বিগত কয়েক বছর ধরেই অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ। সেই ধারা বজায় থাকল শ্রীলংকার বিপক্ষেও। তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে লংকানদের হারিয়ে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। জানা যায়, বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসের শেষ দিকে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য সরকার। আর তার 'কনকাশন' বদলি হিসেবে নেমে তানজিদ হাসান খেলেন ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮১ বলে ৮৪ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। এছাড়া শেষ দিকে ১৮ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত বিধ্বংসী ইনিংস খেলে জয় ত্বরান্বিত করেন রিশাদ হোসেন। তথ্য মতে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। আর এর জবাবে ছয় উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ। বাকি ছিল আরও ৫৮ বল।

বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ হাসান তামিম। লক্ষ্য তাড়ায় বিজয় রয়ে সয়ে খেললেও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। এরই মাঝে ম্যাচের নবম ওভারে এ জুটি ভাঙেন লাহির কুমারা। লংকান পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে ফার্নান্দোর তালুবন্দি হন বিজয়। তার বিদায়ে ভেঙে যায় ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু উইকেটে এসে তামিমের সঙ্গে জুটি গড়েন তাওহিদ হৃদয়। দু'জনের জুটিতে আসে ৪৯ রান। এ সময় আবার আক্রমণে এসে উইকেট নেন কুমারা। তার বলে মাদুশানের তালুবন্দি হন হৃদয়। মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অন্যদিকে, একপ্রান্তে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তামিম। যদিও সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে আউট হন তামিমও। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে লং অনে চারিথ আসালঙ্কার তালুবন্দি হন কনকাশন সাব হিসেবে খেলতে নামা এ ওপেনার। ৮১ বলে ৮৪ রান করেন তিনি। মিরাজ আউট হওয়ার আগে ২৫ রান করেন। এছাড়া একপ্রান্ত আগলে রেখে অপরাজিত ৩৭ রান করেন মুশফিকুর রহিম। তবে লংকানদের নাস্তানাবুদ করেন রিশাদ হোসেন। মাত্র ১৮ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। তার ব্যাটেই টাইগারদের জয় ত্বরান্বিত হয়। তাতে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন রিশাদ হোসেন। সিরিজসেরা হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজ খুইয়ে ফেললেও নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে সিরিজ ঘরে তুলেছে টাইগাররা- এই জয় প্রেরণার। এই অর্জন ইতিবাচক এবং আশাপ্রদ বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে। সঙ্গত কারণেই জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সর্বাত্মক প্রস্তুতিও অব্যাহত রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ সাপেক্ষে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণও জরুরি। বলার অপেক্ষা রাখে না, টাইগাররা বারবার দেশে সুনাম ছড়িয়েছে, সারা বিশ্বের সামনে দেশকে উজ্জ্বল করেছে বারবার। ফলে জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টা জারি রাখতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাবে আরও বহূদূর- এমন লক্ষ্যকে সামনে রেখে ক্রিকেটের অগ্রযাত্রা বজায় রাখতে সব ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে