আজ তোমাদের জন্য
দুই তীরে নিয়ে আলোচনা
করা হলো
দুই তীরে
৩। প্রদত্ত শব্দের অর্থ বুঝে শূন্যস্থান পূরণ করো : প্রদত্ত শব্দ শব্দার্থ
বয়ে প্রবাহিত হয়ে
বেষ্টিত আচ্ছাদিত
তরুচ্ছায়া গাছের ছায়া
নৌযান নদীপথে চলার যানবাহন
মৌসুম ঋতু, বছরের বিশেষ সময়
চর নদীর মাঝে বা তীরে জেগে ওঠা ভূমি
ক) নদীতে .......... পড়েছে।
খ) রাস্তাটি .......... দিয়ে ঢাকা।
গ) গ্রামের পাশ দিয়ে নদী .......... চলেছে।
ঘ) এখন বর্ষা .......... চলছে।
ঙ) বর্ষায় .......... ছাড়া চলাফেরা মুশকিল।
উত্তর : ক) চর খ) তরুচ্ছায়া গ) বয়ে ঘ) মৌসুম ঙ) নৌযান
৪। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. বাংলাদেশের নদীর তীরগুলো কেমন? চারটি বাক্যে নদী তীরের বর্ণনা দাও।
উত্তর : বাংলাদেশের নদীর তীর নানা বৈচিত্র্যে ভরপুর।
নদীর তীরে ফোটা সাদা কাশফুল এক ভিন্ন আবেশ সৃষ্টি করে। নদীর তীরে নৌকা সারিবদ্ধভাবে বাঁধা থাকে। গ্রামের বধূরা নদীতে পানি নিতে আসে। ছেলেরা ঘাটে ভেলা ভাসায়, আর জেলেদের মাছ ধরতে দেখা যায়।
খ. আমাদের বনগুলো কিসে ভরা? চারটি বাক্যে বন সম্পর্কে লেখো।
উত্তর : আমাদের বনগুলো নানারকম গাছপালা, ফুল ও ফলে ভরা।
নানান প্রজাতির পশুপাখি বনে বাস করে। বন থেকে আমরা কাঠসহ নানান ফলমূল পাই। বন আমাদের প্রকৃতিকে রক্ষা করার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে উপকার করে। আমাদের উচিত বন রক্ষায় সচেতন হওয়া।
গ. নদী দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে এমন দুজন পেশাজীবীর নাম লেখো। নদীর চারটি উপকারী দিক উলেস্নখ করো।
উত্তর : নদী দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে এমন দুজন পেশাজীবী হলেন- জেলে ও মাঝি।
\হনদীর চারটি উপকারী দিক হলো :
১. নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।
২. আমরা নদীপথে নৌকা নিয়ে চলাচল করতে পারি।
৩. নদীর পানি আমরা সেচ কাজসহ নানান কাজে ব্যবহার করি।
৪. নদীর কারণে আমাদের প্রকৃতি সজীব থাকে।
পাঠ্যবই থেকে কবিতার প্রশ্নোত্তর লেখো।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমি ভালোবাসি আমার
নদীর বালুচর,
শরৎকাল যে নির্জনে
চকাচকির ঘর।
যেথায় ফোটে কাশ
তটের চারিপাশ,
ক) শরৎকালে নদীর বালুচরে কী কী ঘটে?
উত্তর : শরৎকালে নদীর বালুচরে যা যা ঘটে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো :
(১) চকাচকিরা নিরালায় ঘর বাঁধে।
২) তটের চারপাশ জুড়ে কাশফুল ফোটে।
\হ
খ) প্রদত্ত কবিতাংশের মূলভাব লেখো।
উত্তর : প্রদত্ত কবিতাংশের মূলভাব :
\হশরৎকালের প্রকৃতি অপরূপ রূপ ধারণ করে। এ সময় নদীতে চর জেগে ওঠে। চরে চকাচকিরা ঘর বাঁধে। চারিদিকে কাশফুল ফোটে।
গ) নদীর বালুচরে কী ঘটে?
উত্তর : নদীর বালুচরে তীরের চারপাশে কাশফুল ফোটে। শরৎকালে চকাচকিরা বাসা বাঁধে। শীতের দিনে বিদেশি হাঁস আসে। কচ্ছপ বালুচরে রোদ পোহায়। সন্ধ্যেবেলায় জেলেদের দু-একটি ডিঙি নৌকা ভেড়ে।
পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন।
নিচের কবিতাংশটি প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
সব নাও, মাঝি, চকচকে সিকি
এই আনি দুটো, তাও।
লক্ষ্ণী তো, মোরে-আর ছোকানুরে
নৌকায় তুলে নাও।
শুয়ে-শুয়ে দেখি অবাক আকাশ,
আকাশ মস্ত বড়,
পৃথিবীর সব নীল রং বুঝি
সেখানে করেছে জড়ো।
সারাদিন গেল, সূর্য লুকালো
জলের তলার ঘরে,
সোনা হয়ে জ্বলে পদ্মার জল
কালো হলো তার পরে
সন্ধ্যার বুকে তারা ফুটে ওঠে-
এবার নামাও পাল,
গান ধরো, মাঝি; জলের শব্দ
ঝুপঝুপ দেবে তাল।