মো. মাসুদ খান, প্রধান শিক্ষক, ডেমরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা য়
০১ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
আমাদের জীবনে তথ্য
প্রশ্ন : আমাদের জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব কী?
উত্তর : আমাদের জীবনের সব ক্ষেত্রেই তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব অপরিসীম। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা কীভাবে দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা করি তার কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো-
১. আবহাওয়া বিভাগের তথ্য থেকে আমরা জানতে পারি বৃষ্টি বা ঝড় হবে কিনা, শীত কী রকম পড়বে। এ তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ছাতা নিয়ে বাইরে বের হই। শীতের কাপড় কিনি।
২. স্কুলের শিক্ষক ও নোটিশ বোর্ডের তথ্য থেকে জানতে পারি পরীক্ষা বা অন্য কোনো বিষয়ের সময়সূচি। সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করি।
৩. সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের অনেক তথ্য পেয়ে থাকি। এসব তথ্য আমাদের জ্ঞানভান্ডারকে বৃদ্ধি করে।
৪. কৃষিবিষয়ক তথ্যের ভিত্তিতে কৃষক তাদের চাষাবাদ কাজ ঠিক করে নেয়।
৫. কারও জ্বর হলে থারমোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রার তথ্য জেনে নিই। এ তথ্য জেনে ডাক্তার ওষুধ দেন।
৬. কখন পোলিও টিকা খাওয়ানো হবে সে তথ্য জেনে বাচ্চাদের টিকা খাওয়াতে নিয়ে যাই।
এভাবে আমাদের জীবনের প্রতিটি কাজই আমরা তথ্যের সাহায্য নিয়ে করে থাকি। তাই আমাদের জীবনযাত্রা তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা ছাড়া অচল হয়ে পড়বে।
প্রশ্ন : শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি কীভাবে কাজে লাগে?
উত্তর : শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক ও গভীর। তথ্যপ্রযুক্তি আজকাল শিক্ষা ব্যবস্থাকে করেছে গতিশীল, দক্ষ ও পরিপূর্ণ। নিচে এর কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো-
১. ঘরে বসেই আজ পৃথিবীর যে কোনো দেশের খ্যাতনামা লাইব্রেরির বই পড়া যায়।
২. শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না গিয়েও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পারে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে। শিক্ষককে প্রশ্ন করে প্রয়োজনীয় উত্তরটি জানতে পারে।
৩. শিক্ষাসংক্রান্ত মাল্টিমিডিয়া সিডির মাধ্যমে লেখাপড়ার অসংখ্য চমকপ্রদ বিষয় দেখানো যায়।
৪. কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ডিভিডি, মেমোরি কার্ড বা পেনড্রাইভ ব্যবহার করে শিক্ষাবিষয়ক যে কোনো তথ্য সংগ্রহ বা
সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
৫. ই-বুক ব্যবহার করে পাঠ্যবইয়ের ব্যবহার কমানো সম্ভব।
৬. মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে কোনো পরীক্ষাসংক্রান্ত তথ্য পাওয়া সম্ভব।
এভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যায়। এতে শিক্ষা লাভ হয়ে উঠবে আরও সহজ ও আনন্দদায়ক।
প্রশ্ন : তথ্য সংরক্ষণের উপায়গুলো লেখো।
উত্তর : বর্তমান সময়ে তথ্য সংরক্ষণ করার অনেক ভালো উপায় আছে। যেমন-
১. কাগজে লিখে বা ছাপিয়ে তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।
২. টেপ রেকর্ডারে কথা রেকর্ড করার মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।
৩. সিডিতেও তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।
৪. ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে, ভিডিও করেও তথ্য সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
৫. কম্পিউটারে টাইপ করে ও স্ক্যান করে তথ্য সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
৬. কম্পিউটারে রেকর্ড, ভিডিও, ছবি এগুলোও সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে।
৭. পেনড্রাইভ, সিডি, ভিসিডি এগুলোরও মধ্যে অনেক তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।
প্রশ্ন : আমাদের জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার লেখো।
উত্তর : আমাদের জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার নিচে লেখা হলো-
১. আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার জন্য।
২. খনিজ সম্পদের তথ্য জানার জন্য।
৩. জটিল রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ে চিকিৎসাপ্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
৪. জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
৫. যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার হয়।
প্রশ্ন : কম্পিউটার কী? কম্পিউটারের ব্যবহার সম্পর্কে ৪টি বাক্যে লেখো।
উত্তর : কম্পিউটার হলো একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র। দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নির্দেশমতো কম্পিউটার গাণিতিক ও যৌক্তিক প্রণালিতে সমাধান করে এবং ফলাফল প্রদান করে।
কম্পিউটার যেসব কাজে ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে ৪টি বাক্যে নিচে লেখা হলো-
১. টাইপ করা যায়।
২. সেকেন্ডে হাজার হাজার, লাখ লাখ গাণিতিক হিসাব কষা যায়।
৩. ছবি আঁকা যায়, ছবি দেখা যায় এবং গান শোনা যায়।
৪. যাবতীয় তথ্য জমা রাখা যায় এবং তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
প্রশ্ন : তথ্য আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কেন? সংগৃহীত তথ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় তা ৩টি বাক্যে লেখো।
উত্তর : বস্তুগত সম্পদ যেমন মানুষের জীবনযাত্রার মান বদলাতে পারে, সমস্যার সমাধান দিতে পারে, তথ্যও তেমন গভীরভাবে আমাদের জীবনধারাকে বদলে দিতে পারে এবং সমস্যার সমাধান দিতে পারে। এসব কারণেই তথ্য আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণের জন্য উপরের গধহঁ ইধৎ-এর বামদিকে ভরষব ংবষবপঃ করতে হবে। ঝধাব অং নির্বাচন করে ঋরষব, ঘধসব-এর জায়গায় ফাইলের নাম ও ঝধাব রহ-এ সংরক্ষণের স্থান নির্দিষ্ট করে সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া মাউস (সড়ঁংব) দিয়ে দরকারি অংশ নির্বাচন করে তা কপি করার পর কম্পিউটারের মেমোরি বা উপযুক্ত স্থানে চধংঃব করতে হবে।
এভাবে সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।