বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান

হাবিবুর রহমান বাপ্পা, সহকারী শিক্ষক, শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
  ১৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান

আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

প্রথম ও ২য় সেশন:

1

আগের শিখন অভিজ্ঞতায় তোমরা নিশ্চয়ই বিজ্ঞান কীভাবে কাজ করে তার কিছুটা ধারণা পেয়েছো। বিজ্ঞান যা বলে তার পক্ষে যে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকতে হয়, এবং তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কোনো তত্ত্ব পরিবর্তিতও হতে পারে তাও তোমরা জেনেছো। এই নতুন শিখন অভিজ্ঞতায় আমরা বিজ্ঞান, বিজ্ঞানী, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া, প্রযুক্তি এ সকল বিষয়গুলোকে আরও খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করব। স্কুলের বইয়ে বিজ্ঞান তো আমরা সবাই পড়ি, কিন্তু তোমাদের কখনো জানতে ইচ্ছা হয়েছে যে সত্যিকারের বিজ্ঞানীরা কীভাবে কাজ করেন? আচ্ছা তোমরা কি কখনো সত্যিকারের কোনো বিজ্ঞানীকে নিজের চোখে দেখেছো? বিজ্ঞানীরা দেখতে কেমন হয়?

প্রথম ও ২য় সেশন: পৃষ্ঠা নং- ১৮ উত্তর:

১. সত্যিকারের বিজ্ঞানীদের মধ্যে কোন কোন বৈশিষ্ট্য দেখা যায়? চাইলেই কি যে কেউ বিজ্ঞানী হতে পারে?

উত্তর : অনুসন্ধানী মন, পরিশ্রমী, স্বার্থপর হয় না। হঁ্যা হতে পারবে। যদি বৈজ্ঞানিক মন থাকে।

২. বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে কি সবসময়ই অনেক আধুনিক ল্যাবরেটরি বা যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়?

উত্তর : বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে সবসময়ই অনেক আধুনিক ল্যাবরেটরি বা যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় না। যেমন : মাদাম কুরি পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়নে দুইবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন কিন্তু তার ল্যাবরেটরিটা ছিল একেবারেই সাদামাটা। আরেকজন বিজ্ঞানী ছিলেন হরিপদ কাপালী। উন্নতমানের যন্ত্রপাতি না থাকা সত্ত্বেও ভালো জাতের ধান উদ্ভাবনে অবদান রাখেন।

প্রশ্ন : স্যার আইজাক নিউটন ও হরিপদ কাপালীর বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রক্রিয়ার মধ্যে মিল কী কী?

উত্তর : বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ধাপসমূহ। তারা প্রত্যেকেই বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ধাপসমূহ মেনেছে। যেমন :

১. একটি সমস্যা বা প্রশ্ন ঠিক করা যার সমাধান বা উত্তর বের করতে হবে।

২. এ সম্পর্কে যা কিছু গবেষণা হয়েছে তা জেনে নেওয়া।

৩. প্রশ্নটির একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দাঁড় করানো।

৪. সম্ভাব্য ব্যাখ্যাটি সত্যি কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখা।

৫. পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া

৬. সবাইকে ধারণাটি জানিয়ে দেওয়া।

প্রথম ও ২য় সেশন: পৃষ্ঠা নং- ১৯ উত্তর:

এবার তোমাদের অনুসন্ধানী পাঠ বই থেকে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের অংশটুকু পড়ে নাও। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ধাপগুলো বন্ধুদেরসহ শিক্ষকের সাথে আলোচনা করো। এবার আবার হরিপদ কাপালীর আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আবিষ্কারের ঘটনাটা পড়ে দেখো তো তিনি তার নতুন জাতের ধান আবিষ্কার করতে গিয়ে এই ধাপগুলো কীভাবে অনুসরণ করেছেন! নিচে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ধাপগুলো দেওয়া আছে, কোন ধাপে

বিজ্ঞানী হরিপদ কাপালী কী করেছেন তা নিয়ে সহপাঠীর সাথে আলোচনা করে তোমার মতামত পাশের খালি জায়গায় লেখো-

উত্তর:

বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ধাপসমূহ:

১. একটি সমস্যা বা প্রশ্ন ঠিক করা যার সমাধান বা উত্তর বের করতে হবে।

২. এ সম্পর্কে যা কিছু গবেষণা হয়েছে তা জেনে নেওয়া।

৩. প্রশ্নটির একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দাঁড় করানো।

৪. সম্ভাব্য ব্যাখ্যাটি সত্যি কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখা।

৫. পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া

৬. সবাইকে ধারণাটি জানিয়ে দেওয়া।

বিজ্ঞানী হরিপদ কাপালী এই ধাপে যা করেছেন

১. ধান ক্ষেতের কিছু ধান গাছ তুলনামূলক ভাবে বড়। কেন বড় হয় এবং ফলন বেশি হয়?

২. বিভিন্ন ধানের গবেষণা সম্পর্কে ধারণা রেখেছে।

৩. এই ধানটি বেশি বড় এবং ফলন বেশি দেবে।

৪. যে ধানগুলো ভালো সেগুলো অন্য ধানের সাথে না মিশিয়ে আলাদা করে ফেললেন। বীজগুলো আলাদা করে সেগুলো আবার নতুন করে লাগালেন। এর ফলে সেগুলো বেশ বড় এবং উচ্চফলনশীল।

৫. আসলেই এই ধানের জাতটি উচ্চফলনশীল।

৬. বিজ্ঞানী হরিপদ কাপালীর এই আবিষ্কারের কথা সবাই জানার পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধানগুলোকে নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করেছিল।

প্রশ্ন : বিজ্ঞানের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সরাসরি আমাদের প্রয়োজন মেটাই?

উত্তর : বিজ্ঞানের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে জীবনের যেসব ক্ষেত্রে আমরা সরাসরি আমাদের প্রয়োজন মেটাই তা নিচে আলোচনা করা হলো-

১। ট্রাক্টর, সেচ পাম্প বা ফলস মাড়াইয়ের মতো আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি মানুষ ব্যবহার করছে এর ফলে অল্প সময়ে অধিক খাদ্যোৎপাদন করে মানুষের বাড়তি খাদ্য চাহিদা পূরণ করছে।

২। রাসায়নিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বেশি পরিমাণ উৎপাদন করা যায়।

৩। চিকিৎসা প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজেই রোগ নির্ণয় করা যায়।

প্রশ্ন : আমাদের পছন্দের প্রযুক্তি কোনটি?

উত্তর : জীবন রক্ষার জন্য ওষুধ তৈরি।

প্রশ্ন : বিজ্ঞানের কোন ক্ষেত্রের জ্ঞান এখানে কাজে লাগানো হয়েছে?

উত্তর : জৈব রসায়নের জ্ঞান

৩য় সেশন, পৃষ্ঠা নং - ২১ উত্তর:

৪র্থ সেশন : পৃষ্ঠা নং- ২২ ও ২৩ উত্তর :

প্রযুক্তির নাম

কী কাজে ব্যবহৃত হয়?

১. টেলিভিশন

১. ছবি, বিডিও দেখা, শব্দ শোনা, খেলাধুলা, বিনোদন ইত্যাদি।

২. ফ্যান

২. ঘর ঠান্ডা রাখতে ব্যবহৃত হয়।

৩. লাইট

৩. ঘর আলোকিত করতে ব্যবহৃত হয়।

৪. মোবাইল ফোন

৪. দূরের মানুষের সাথে কথা বলতে ব্যবহৃত হয়।

৫. রেফ্রিজারেটর

৫. খাবার সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়।

৬. ইন্টারনেট

৬. বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের মানুষের সাথে সংযুক্ত থাকা যায়।

দলের আলোচনায় নতুন যা যা প্রযুক্তির কথা জানলে তা নিচের ছকে বর্ণনা করা হলো-

প্রযুক্তির নাম

কী কাজে ব্যবহৃত হয়?

১. এক্স-রে

১. রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।

২. রেডিও থেরাপি

২. ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

৩. আলট্রাসনোগ্রাফি

৩. এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সহজ হয়।

৪. ই-শিক্ষা

৪. অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা।

৫. ই-স্বাস্থ্য

৫. অনলাইনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ।

৬. ই-ব্যাংকিং

৬. অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থা।

৭. স্যাটেলাইট

৭. আবহাওয়া, যোগাযোগ, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

৮. নিউক্লিয়ার

৮. বিদু্যৎ কেন্দ্রে বিদু্যৎ তৈরি করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে