নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ
৯) নায়াগ্রা কোথায় অবস্থিত?
উত্তর :নায়াগ্রা কানাডায় অবস্থিত।
১০) নায়াগ্রা জলপ্রপাত এবং ঝরনার মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে লেখ?
উত্তর :নায়াগ্রা জলপ্রপাত আর ঝরনার মধ্যে পার্থক্য হলো-
১. নায়াগ্রা আকারে ঝরনার চেয়ে অনেক বড়।
২. ঝরনার উৎপত্তি হয় পাহাড় থেকে কিন্তু নায়াগ্রার উৎপত্তি সমতল ভূমি থেকেই।
১১) নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বিশেষত্ব কী?
উত্তর :নায়াগ্রা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ জলপ্রপাত। সাধারণত জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে নায়াগ্রা জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। সমতলের ওপর দিয়ে বয়ে চলা খরস্রোতা একটি নদীর মাঝখানে হঠাৎ ফাটল। সেই ফাটলে পানি পতিত হয়েই জলপ্রপাতটি সৃষ্টি হয়েছে। আবার ঐ ফাটলের ভেতর পানি পড়ে কোথায় যাচ্ছে তাও কেউ জানে না। এখানেই নায়াগ্রার বিশেষত্ব।
১২) নায়াগ্রার জল কোথায় যায়?
উত্তর :নায়াগ্রার জলধারা সৃষ্টি হয়েছে খরস্রোতা এক নদী থেকে। নদীটি যে মাটির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তার দুই দিকের মাটির মাঝে রয়েছে নদীর সমান চওড়া বিশাল এক ফাটল। নায়াগ্রার জল ঐ ফাটলের ভেতর চলে যায়।
১৩) 'বিশ্ব-ভূমন্ডল বড়ই বিচিত্র'- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে এখানে।
সাধারণত পাহাড় থেকে জলের পতনেই সৃষ্টি হয় জলপ্রপাতের। অথচ অবিশ্বাস্যভাবে নায়াগ্রা জলপ্রপাত পাহাড় থেকে নামেনি। খরস্রোতা একটি নদীর জল নদীর সমান চওড়া একটি ফাটলের গহ্বরে পতিত হয়ে নায়াগ্রার উৎপত্তি। এটি পৃথিবীর একটি অন্যতম বিস্ময়।
১৪) পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় কোনটিকে?
উত্তর :পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত বলা হয় নায়াগ্রা জলপ্রপাতকে।
১৫) নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর :নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য হলো এটি কোনো পাহাড় থেকে নামেনি।
১৬) নায়াগ্রা জলপ্রপাত কোথা থেকে প্রবাহিত হয়?
উত্তর :নায়াগ্রা জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়েছে সমতলের ওপর বয়ে চলা খরস্রোতা একটি নদীর পানির পতনের ফলে। নদীটি যেখানে প্রবাহিত হচ্ছে সেখানে একটি বিশাল ফাটল। পানি ঐ ফাটলের ভেতরে চলে যায়।
১৭) নায়াগ্রাকে ভিন্ন রকমের জলপ্রপাত বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : নায়াগ্রাকে ভিন্ন রকমের জলপ্রপাত বলা হয়েছে দুটি কারণে-
ক. এটি পাহাড় থেকে পানির পতনের ফলে সৃষ্টি হয়নি। সৃষ্টি হয়েছে সমতলের ওপর প্রবাহিত একটি নদীর পানির পতনের মাধ্যমে।
খ. নায়াগ্রার পানি বিশাল ফাটলের গহ্বরে প্রবেশ করে কোথায় যায় তা কেউ জানে না।
অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখো।
উত্তর : ঝর্ণা ও জলপ্রপাতের আকারে অনেক তফাৎ থাকলেও উভয়ের সৃষ্টিই পাহাড়ের ওপর থেকে পানির পতনে। কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত নায়াগ্রা সেদিক থেকে একেবারেই আলাদা। সমতল দিয়ে বয়ে চলা একটি খরস্রোতা নদীর পানি বিশাল ফাটলের গহ্বরে পড়ার মাধ্যমে এর সৃষ্টি। সেই পানি গহ্বরে প্রবেশের পর কোথায় যায় সেটিও আরেক রহস্য।
নিচের অনুচ্ছেদটি প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
আয়নার মতো স্বচ্ছ পানি ১৫০ ফুট উপর থেকে পাহাড়ের শরীর বেয়ে আছড়ে পড়ছে বড় বড় পাথরের গায়ে। গুঁড়ি গুঁড়ি জলকণা আকাশের দিকে উড়ে গিয়ে তৈরি করছে কুয়াশার আভা। দৃশ্যটি মৌলভীবাজারের নয়নাভিরাম হামহাম জলপ্রপাতের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে একে হাম্মাম বলে ডাকে। পাহাড়ি ত্রিপুরা আদিবাসীরা বলেন, এখানে পানি পতনের স্থানে একসময় পরীরা গোসল করত। গোসলখানার আরবি নাম হাম্মাম। আবার জলের স্রোতধ্বনিকে ত্রিপুরাদের টিপরা ভাষায় হাম্মাম বলে। তাই এ জলপ্রপাতটি হাম্মাম নামে পরিচিত। জলপ্রপাতের চারদিকের শীতল প্রাকৃতিক পরিবেশ সবাইকে মুগ্ধ করে। সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরানোর উপায়ই থাকে না। জঙ্গলে উলস্নুক, বানর, আর হাজার রকমের প্রজাতির পাখির ডাকাডাকি জলপ্রপাতের শব্দের সাথে মিলে তৈরি হয়েছে অদ্ভুত এক রোমাঞ্চকর পরিবেশ। অসাধারণ সৌন্দর্যমন্ডিত দুর্গম এ জলপ্রপাতটি বহুদিন লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিল। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও উদ্যোগের অভাবে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। প্রচার-প্রচারণার অভাবও এর অন্যতম কারণ। এখনো খুব বেশি মানুষ এ জলপ্রপাতটি দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেনি।
সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো।
১) 'টিপরা' কী?
ক) বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা
খ) ত্রিপুরাদের নিজস্ব ভাষা
গ) ত্রিপুরাদের ভাষায় জলপ্রপাতের নাম
ঘ) গোসলখানার অন্য নাম
উত্তর : (খ) ত্রিপুরাদের নিজস্ব ভাষা
২) 'রোমাঞ্চকর' শব্দটির যুক্তবর্ণটি কোন কোন বর্ণ দিয়ে গঠিত?
ক) ন+চ
(খ) ঞ+চ
গ) ন+ঞ+চ
(ঘ) ঞ+জ
উত্তর : (খ) ঞ + চ
৩) কোনটি করলে হামহাম জলপ্রপাত দেখতে আরও বেশি মানুষ আসবে?
ক) খাওয়ার পানির ব্যবস্থা করলে
খ) ছবি তোলার অনুমতি দিলে
গ) রাস্তাঘাট উন্নত করলে
ঘ) সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করলে
উত্তর : (গ) রাস্তাঘাট উন্নত করলে
৪) এক সময় হামহাম জলপ্রপাতে কারা গোসল করত বলে জনশ্রম্নতি রয়েছে?
ক) পরীরা
(খ) রাজা-বাদশাহরা
গ) শ্রমিকরা
(ঘ) পর্যটকরা
উত্তর : পরীরা
৫) মৌলভীবাজার দেশের কোন বিভাগে অবস্থিত?
ক) ঢাকা
(খ) চট্টগ্রাম
গ) খুলনা
(ঘ) সিলেট
উত্তর : সিলেট
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়