শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

আবহাওয়া ও জলবায়ু

প্রশ্ন :বাংলাদেশের তিনটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম লেখ।

উত্তর :বাংলাদেশের তিনটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম হলো বন্যা, খরা ও ঘূর্ণিঝড়।

প্রশ্ন : আবহাওয়া কী?

উত্তর : আবহাওয়া হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের আকাশ ও বায়ুমন্ডলের সাময়িক অবস্থা।

প্রশ্ন : আবহাওয়ার উপাদানগুলো কী কী?

উত্তর :আবহাওয়ার উপাদানগুলো হলো :তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, মেঘ, বৃষ্টিপাত ও বায়ুচাপ।

প্রশ্ন : সাধারণত কোন সময়ে সমুদ্র থেকে স্থলভাগে বায়ু প্রবাহিত হয়?

উত্তর : সাধারণত দিনের বেলায় সমুদ্র থেকে স্থলভাগে বায়ু প্রবাহিত হয়।

প্রশ্ন : আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আবহাওয়ার পূর্বাভাস কীভাবে সাহায্য করে?

উত্তর : আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কোন দিন কোন কাপড় পরব, বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা নিয়ে বের হব কি-না তা ঐ দিনের আবহাওয়া দেখে ঠিক করি। এছাড়া ছুটির দিনের কার্যবিধিও আমরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে ঠিক করি।

প্রশ্ন : বায়ুচাপ কী?

উত্তর : বায়ু তার ওজনের কারণে ভূপৃষ্ঠের উপর যে চাপ প্রয়োগ করে তাই বায়ুচাপ। বায়ু উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত হয়। বায়ুচাপ হ্রাস পেলে মেঘ-বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে আর বায়ুচাপ কমলে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে।

প্রশ্ন : কীভাবে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়?

উত্তর : দিনে স্থলভাগ জলভাগ থেকে উষ্ণ থাকে। উষ্ণ স্থলভাগ তার উপরে থাকা বাতাসের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। বায়ু উষ্ণ হলে তা হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়। ফলে ঐ স্থান ফাঁকা হয়ে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে কেন বর্ষাকালে অধিক বৃষ্টিপাত হয়?

উত্তর : বাংলাদেশে বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে বলে অধিক বৃষ্টিপাত হয়। আর্দ্রতা হলো বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। বর্ষাকালে সূর্য বাংলাদেশের উপর খাজভাবে কিরণ দেয়। তখন স্থলভাগে নিম্নচাপ এবং বঙ্গোপসাগর এলাকায় উচ্চচাপ বিরাজ করে। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প নিয়ে আসে। এই জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এ কারণেই বাংলাদেশে বর্ষাকালে অধিক বৃষ্টিপাত হয়।

প্রশ্ন : কালবৈশাখী ঝড়ের কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : গ্রীষ্মকালে আমাদের দেশে যে বজ্রঝড় হয় তাই কালবৈশাখী নামে পরিচিত। স্থলভাগ অত্যন্ত গরম হওয়ার ফলেই কালবৈশাখীর সৃষ্টি হয়। সাধারণত বিকেল বেলায় কালবৈশাখী ঝড় বেশি হয়। বৈশাখ মাসে সূর্য বাংলাদেশ ও তার দক্ষিণে খাজভাবে কিরণ দেয়। সারা দিনের প্রচন্ড উত্তাপে বিকেল থেকে আর্দ্র বায়ু প্রচন্ড বেগে নিম্নচাপ এলাকার দিকে ধাবিত হয়। এ অঞ্চলের বায়ু হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় ও নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এ সময় হিমালয়ের উচ্চচাপ এলাকা বিস্তৃত হতে পারে। সঞ্চারণশীল ধূসর মেঘ সোজা উপরে উঠে গিয়ে জমা হয়। পরবর্তীতে এই মেঘ ঘনীভূত হয়ে ঝড়ো হাওয়া, ভারী বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ইত্যাদি সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন : আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে মিল ও অমিল কোথায়?

উত্তর : আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এদের মধ্যে মিল ও অমিল উভয়ই রয়েছে।

আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যকার মিলগুলো হলো : তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়প্রবাহ, মেঘ, বৃষ্টিপাত ও বায়ুচাপ যেমন- আবহাওয়ার উপাদান তেমনি জলবায়ুরও উপাদান।

অমিলগুলো হলো : আবহাওয়া কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের আকাশ ও বায়ুমন্ডলের সাময়িক অবস্থা। জলবায়ু হলো কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার সামগ্রিক অবস্থা। বিভিন্ন স্থানের আবহাওয়া বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন হয়। কিন্তু কোনো স্থানের জলবায়ু বহু বছর একই থাকে।

প্রশ্ন : জানুয়ারি এবং জুলাই এর মধ্যে কোন মাসটি বনভোজনের জন্য উপযুক্ত? কেন?

উত্তর : জানুয়ারি মাসে মাসিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮ মিলিমিটার এবং মাসিক গড় আর্দ্রতা ৫৪%। অপরদিকে, জুলাই মাসে মাসিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩২৯ মিলিমিটার এবং মাসিক গড় আর্দ্রতা ৭৯%। দেখা যাচ্ছে জুলাই মাসে মাসিক গড় বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার পরিমাণ জানুয়ারি মাসের তুলনায় বেশি। অর্থাৎ জুলাই মাসে বনভোজন করলে বৃষ্টিজনিত কারণে ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। তাই, জানুয়ারি এবং জুলাই এর মধ্যে জানুয়ারি মাসটি বনভোজনের জন্য উপযুক্ত।

প্রশ্ন : নিম্নচাপ কী?

উত্তর : কোনো জায়গার তাপমাত্রা বেশি হলে সেখানকার বায়ু হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় এবং বায়ুচাপ কমে যায়। এ রকম অবস্থাকে নিম্নচাপ বলে।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের দুটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম লিখ।

উত্তর : বাংলাদেশের দুটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম হলো :

র. বন্যা; রর. ঘূর্ণিঝড়।

প্রশ্ন : আমাদের দেশে আমরা কোন সময় কালবৈশাখী দেখতে পাই?

উত্তর : আমাদের দেশে আমরা চৈত্রের শেষে ও বৈশাখের শুরুতে কালবৈশাখী দেখতে পাই।

প্রশ্ন : আবহাওয়া পরিবর্তনের দুটি নিয়ামকের নাম লিখ।

উত্তর : আবহাওয়া পরিবর্তনের দুটি নিয়ামক হলো : র. বায়ুর আর্দ্রতা; রর. বায়ুচাপ।

প্রশ্ন : জলবায়ু কী?

উত্তর : জলবায়ু হলো কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার সামগ্রিক অবস্থা।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে বর্ষাকালের সময়কাল উলেস্নখ কর।

উত্তর :বাংলাদেশের জলবায়ু অনুযায়ী বর্ষা শুরু হয় জুনের মাঝামাঝিতে (আষাঢ়ের শুরু) এবং শেষ হয় আগস্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র) মাসে।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের কখন মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়?

উত্তর :বাংলাদেশের বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়।

প্রশ্ন : তাপদাহ কী?

উত্তর : অতি গরম আবহাওয়ার দীর্ঘস্থায়ী অবস্থাই হলো তাপদাহ।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে