বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
walton

অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

নতুনধারা
  ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

প্রশ্ন: উৎপাদক ও বিয়োজকের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর : উৎপাদক ও বিয়োজকের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ :

উৎপাদক

বিয়োজক

১. উৎপাদক স্বভোজী।

১. বিয়োজক পরভোজী।

২. উৎপাদক পরিবেশের অতীব উপাদান থেকে খাদ্য তৈরি করে।

২. বিয়োজক মৃত জীবদেহ থেকে পুষ্টি লাভ করে।

৩. উৎপাদকের দেহে ক্লোরোফিল থাকে।

৩. বিয়োজকের দেহে ক্লোরোফিল থাকে না।

প্রশ্ন: একটি বাস্তুতন্ত্রে উৎপাদক গোষ্ঠীর বিনাশ ঘটলে কী ঘটতে পারে?

উত্তর : উৎপাদক গোষ্ঠীর বিনাশ ঘটলে বাস্তুতন্ত্রের খাদ্যশৃঙ্খল ভেঙে পড়বে।

বাস্তুতন্ত্র্ত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উৎপাদক কর্তৃক প্রস্তুতকৃত খাদ্য গ্রহণ করে একটি বাস্তুতন্ত্রের সমগ্র জীবজগৎ বেঁচে থাকে। সুতরাং উৎপাদক গোষ্ঠীর বিনাশ ঘটলে খাদ্যের অভাবে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে এবং জীবকুলের ধ্বংস অনিবার্য।

প্রশ্ন: মানুষকে সর্বভুক প্রাণী বলা হয় কেন?

উত্তর :মানুষ সকল স্তরের খাদ্য খায় বলে সর্বভুক প্রাণী বলা হয়।

মানুষ যখন ডাল, ভাত, আলু ইত্যাদি খায় তখন প্রথম স্তরের খাদক। যখন মাছ খায় তখন দ্বিতীয় স্তরের খাদক। আবার যখন মাংস খায় তখন তৃতীয় স্তরের খাদক। মানুষ এরূপ একাধিক স্তরের খাদ্য খায় বলে মানুষকে সর্বভুক প্রাণী বলা হয়।

প্রশ্ন: একটি খাদ্যশৃঙ্খলের যেকোনো একটি উদ্ভিদ বা প্রাণী যদি লুপ্ত হয়ে যায় তবে কী ঘটবে?

উত্তর : খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে যদি কোনো কারণে একটি উদ্ভিদ বা প্রাণী লুপ্ত হয়ে যায় তবে অন্যান্য উদ্ভিদ বা প্রাণী ওই উদ্ভিদ বা প্রাণীর খাদ্য গ্রহণ করা শুরু করবে। নিজেদের মধ্যেই অন্যান্য উদ্ভিদ বা প্রাণী ওই খাদ্য গ্রহণ পরিবর্তিত হয়ে যাবে এবং একটা সময়ের পর প্রাকৃতিক ভারসাম্য ফিরে আসবে।

প্রশ্ন: খাদ্যশৃঙ্খল ও খাদ্যজালের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর।

উত্তর :খাদ্যশৃঙ্খল ও খাদ্যজালের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ :

খাদ্যশৃঙ্খল

খাদ্যজাল

১. ছোট প্রাণী থেকে শুরু করে বড় প্রাণী পর্যন্ত শৃঙ্খল আকারে শক্তি প্রবাহের সরল ধারাবাহিকতাকে খাদ্যশৃঙ্খল বলে।

১. সম্পর্কযুক্ত অনেকগুলো খাদ্যশৃঙ্খলকে একত্রে খাদ্যজাল বলে।

২. খাদ্যশৃঙ্খল শুরু হয় সবচেয়ে ছোট প্রাণী দিয়ে আর সমাপ্ত হয় সবচেয়ে বড় প্রাণী দিয়ে।

২. খাদ্যজাল শুরু হয় একটি খাদ্যশৃঙ্খল দিয়ে আর এর সমাপ্তি ঘটে বেশ কয়েকটি খাদ্য শৃঙ্খল একত্র হওয়ার মাধ্যমে।

৩. একটি বাস্তুতন্ত্রে কয়েকটি খাদ্যশৃঙ্খল থাকতে পারে।

৩. একটি বাস্তুতন্ত্রে একটি খাদ্যজাল দেখা যায়।

প্রশ্ন: স্থলজ বাস্তুতন্ত্রে শক্তিপ্রবাহ কীভাবে ঘটে তা একটি প্রবাহ চিত্রের সাহায্যে দেখাও।

উত্তর : একটি স্থলজ বাস্তুতন্ত্রে শক্তিপ্রবাহ যেভাবে ঘটে নিচে প্রবাহ চিত্রের সাহায্যে দেখানো হলো-

সবুজ উদ্ভিদম ঘাসফড়িং ম ব্যাঙ ম সাপ ম চিল

(উৎপাদক) (প্রথম স্তরের খাদক) (দ্বিতীয় স্তরের খাদক) (তৃতীয় স্তরের খাদক) (সর্বোচ্চ স্তরের খাদক)

প্রশ্ন: পুকুরের বাস্তুতন্ত্রে যদি বড় মাছের সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে কী ঘটবে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর :পুকুরের বাস্তুতন্ত্রে যদি বড় মাছের সংখ্যা বেশি হয়ে যায় তাহলে পুকুরে কোনো ছোট মাছ থাকবে না এবং ক্ষুদ্র উদ্ভিদ ও পস্নাঙ্কটনের সংখ্যা প্রচুর বেড়ে যাবে। ফলে পুকুরের পানি দূষিত হয়ে যাবে এবং অক্সিজেনের অভাব হয়ে বড় মাছগুলো মরে যাবে।

প্রশ্ন: প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বাস্তুতন্ত্রের ভূমিকা মূল্যায়ন কর।

উত্তর : বাস্তুতন্ত্রের দরুন প্রকৃতিতে ভারসাম্য বজায় থাকে। অর্থাৎ একটি জীব অপর একটি জীবকে খাদ্যশৃঙ্খলে বেঁধে রাখে। ফলে কোনো জীবের সংখ্যা বাড়তে কিংবা সহজে নির্মূল হতে দেয় না। প্রকৃতিতে জীবের সংখ্যার সমতা বজায় থাকে। যেমন: প্রকৃতিতে যদি কোনো কারণে একটি জীবের সংখ্যা বেড়ে যায় তবে অন্যান্য জীবের সংখ্যা এমনভাবে পরিবর্তিত হবে যাতে বাড়তি জীবের সংখ্যা কমে আবার পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসে।

অমস্ন, ক্ষারক ও লবণ

পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

এসিড : যে সকল রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং যারা পানিতে ঐ+ উৎপন্ন করে তাদের এসিড বলে। যেমন :ঐঈষ (হাইড্রোক্লোরিক এসিড) ঐ২ঙজ্জম ঐ+ + ঈষ-

ক্ষারক :যে সকল রাসায়নিক বস্তুর মধ্যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং যারা পানিতে হাইড্রক্সিল আয়ন (ঙঐ -) তৈরি করে তাদের ক্ষারক বলে। এরা মূলত ধাতুর অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড। যেমন :

ঘধঙঐ (সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড) ঐ২ঙজ্জম ঘধ+ + ঙঐ-

কিছু কিছু রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন দুই ধরনের পরমাণু নেই। কিন্তু তারা পানিতে ঙঐ- তৈরি করে। তাই তাদেরও ক্ষারক বলা হয়। যেমন :ঘঐ৩ + ঐ২ঙজ্জম ঘঐ৪ঙঐ [ঘঐ৩-তে অক্সিজেন পরমাণু নেই]

আবার, ঈধঙ + ঐ২ঙজ্জম ঈধ(ঙঐ)২ [ঈধঙ তে হাইড্রোজেন পরমাণু নেই]

ক্ষার : যে সমস্ত ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদের ক্ষার বলে। যেমন : ঘধঙঐ, ঈধ(ঙঐ)২, ঘঐ৪ঙঐ ইত্যাদি। সকল ক্ষার ক্ষারক, কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়।

এসিডের ভৌত ধর্ম :

১) এসিড নীল লিটমাসকে লাল করে,

২) এসিডসমূহ টক স্বাদযুক্ত হয়।

ক্ষারকের ভৌত ধর্ম :

১) ক্ষারক লাল লিটমাসকে নীল করে,

২) এরা পিচ্ছিল হয়,

৩) এরা কটু স্বাদযুক্ত হয়।

নির্দেশক : যেসব পদার্থ নিজেদের রং পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো একটি বস্তু অম্স্ন না ক্ষারক না কোনোটিই নয় তা নির্দেশ করে তাদের নির্দেশক বলে। যেমন : লিটমাস কাগজ, মিথাইল অরেঞ্জ, ফেনোফথ্যালিন, মিথাইল রেড ইত্যাদি।

ক্ষারকের ব্যবহার : নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরিতে ক্ষারক ব্যবহৃত হয় :

বিস্নচিং পাউডার, চুনের পানি বা লাইম ওয়াটার, মিল্ক অফ লাইম (গরষশ ড়ভ খরসব), এন্টাসিড ঔষধ, মিল্ক অফ ম্যাগনেসিয়া ইত্যাদি।

ক্ষতিকর এসিড : হাইড্রোক্লোরিক এসিড (ঐঈষ), সালফিউরিক এসিড (ঐ২ঝঙ৪), ফসফরিক এসিড (ঐ৩চঙ৪), নাইট্রিক এসিড (ঐঘঙ৩), পারক্লোরিক এসিড (ঐঈষঙ৪) ইত্যাদি খনিজ এসিড মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো ত্বকে লাগলে ত্বক পুড়ে ও ঝলসে যায়। অনেক সময় খারাপ লোকেরা অন্যদের ক্ষতি করার জন্য শরীরে এসিড ছুড়ে দেয় যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর শাস্তি মৃতু্যদন্ডও হতে পারে। হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
shwapno

উপরে