শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

একাদশ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

মো. শাহিনুর রহমান, প্রভাষক (আইসিটি), বিএএফ শাহীন কলেজ, যশোর
  ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
একাদশ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

২৬৫. ৫এ নেটওয়ার্কে প্রতি বর্গকিলোমিটারে কতজন ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে?

ক) এক লক্ষ খ) দশ লক্ষ

গ) এক কোটি ঘ) দশ কোটি

উত্তর :খ) দশ লক্ষ

২৬৬. ৫এ নেটওয়ার্কের গতি ৪এ-এর তুলনায় কতগুণ বেশি?

ক) ২ গুণ খ) ৫ গুণ

গ) ১০ গুণ ঘ) ২০ গুণ

উত্তর :গ) ১০ গুণ

২৬৭. পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইলের বৈশিষ্ট্য হলো-

র. গওগঙ (গঁষঃরঢ়ষব রহঢ়ঁঃ গঁষঃরঢ়ষব ঙঁঃঢ়ঁঃ)

রর. ৫এ ঘজ (৫ এবহবৎধঃরড়হ ঘবি জধফরড়)

ররর. জঅঞ (জধফরড় অপপবংং ঞবপযহড়ষড়মু)

নিচের কোনটি সঠিক?

ক) র ও রর খ) রর ও ররর

গ) র ও ররর ঘ) র, ররর ও ররর

উত্তর :ঘ) র, ররর ও ররর

২৬৮. ৫ম প্রজন্মের মোবাইলের ডেটা ট্রান্সফার গতি কত?

ক) ১ এনঢ়ং খ) ১০ এনঢ়ং

গ) ৫০ এনঢ়ং ঘ) ১০০ এনঢ়ং

উত্তর :খ) ১০ এনঢ়ং

২৬৯. কোন দেশ সর্বপ্রথম ৫এ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে?

ক) জাপান খ) সিঙ্গাপুর

গ) আমেরিকা ঘ) দক্ষিণ কোরিয়া

উত্তর :ঘ) দক্ষিণ কোরিয়া

তৃতীয় অধ্যায়

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন : সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তর : কোনো সংখ্যা লেখা বা প্রকাশ করার পদ্ধতিকেই সংখ্যা পদ্ধতি বলে।

প্রশ্ন : দ্বৈত নীতি কাকে বলে?

উত্তর : অঘউ এবং ঙজ অপারেশনের সাথে সম্পর্কযুক্ত সূত্রকে দ্বৈত নীতি (উঁধষরঃু চৎরহপরঢ়ষব) বলে।

অ্যান্ড এবং অর অপারেশনের সাথে সম্পর্ক যুক্ত সকল উপপাদ্য বা সমীকরণ দ্বৈত নীতি মেনে চলে।

(ধ) অ্যান্ড (.) এবং অর অপারেটর পরস্পর বিনিময় করে।

(ন) ০ এবং ১ পরস্পর বিনিময় করে। যেমনঃ ০ + ১ = ১ অপারেটরগুলোর পরস্পর বিনিময় করে ১.০ = ১ ইহাও একটি বৈধ সমীকরণ।

প্রশ্ন : কীভাবে সংখ্যা পদ্ধতির উদ্ভব ঘটে?

উত্তর : সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ গণনার জন্য হাত-পায়ের আঙুল, পাথর, নুড়ি, ঝিনুক, দড়ির গিঁট, গুহার গায়ে বিশেষ চিহ্ন ইত্যাদি ব্যবহার করত। সহজ পদ্ধতিতে গণনা করার জন্য মানুষ খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ অব্দে অ্যাবাকাস নামক এক ধরনের যন্ত্র সংখ্যা পদ্ধতির প্রচলন শুরু হয়। আর এর বাস্তব রূপ প্রদান করেন বিজ্ঞানী আল খারিজমি।

প্রশ্ন : সংখ্যা কি?

উত্তর : সংখ্যা হচ্ছে এমন একটি উপাদান যা কোনো কিছু গণনা, পরিমাণ এবং পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন- একাদশ শ্রেণিতে ২৪৩ জন ছাত্র আছে; এখানে ২৪৩ একটি সংখ্যা।

প্রশ্ন : অঙ্ক (ডিজিট) কি?

উত্তর : সংখ্যা তৈরির ক্ষুদ্রতম প্রতীকই হচ্ছে অঙ্ক। সকল অংক সংখ্যা কিন্তু সকল সংখ্যা অঙ্ক নয়। যেমন ২৪৩ তিন অঙ্কবিশিষ্ট একটি সংখ্যা যা ২, ৪ এবং ৩ পৃথক তিনটি অঙ্ক নিয়ে গঠিত। যারা প্রত্যেকেই পৃথকভাবে একেকটি সংখ্যা।

প্রশ্ন : সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি কাকে বলে?

উত্তর : কোনো একটি সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্নগুলোর সমষ্টিকে ঐ সংখ্যা পদ্ধতির বেজ (ইধংব) বা ভিত্তি বলে। কোনো একটি সংখ্যা কোন পদ্ধতিতে লেখা তা বোঝানোর জন্য সংখ্যার সঙ্গে বেজ বা ভিত্তিকে সাবস্ক্রিপ্ট (সংখ্যার ডানে একটু নিচে) হিসেবে লিখে প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন : সর্বজনীন লজিক গেট কী?

উত্তর : যে গেট দিয়ে মৌলিক গেটসহ (অঘউ, ঙজ, ঘঙঞ) অন্য সব গেট বাস্তবায়ন করা যায়, তাকে সর্বজনীন গেট বলে। ঘঅঘউ ও ঘঙজ গেটকে সর্বজনীন গেট বলে। কারণ ঘঅঘউ গেট ও ঘঙজ গেট দিয়ে মৌলিক গেটসহ যে কোনো লজিক গেট বাস্তবায়ন করা যায়।

প্রশ্ন : বেসিক গেইট বা মৌলিক বর্তনী কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর : বেসিক গেইট বা মৌলিক বর্তনী তিন প্রকার। এগুলো হলো-

১. অর গেইট (ঙজ এধঃব)

২. এন্ড গেইট (অঘউ এধঃব) ও

৩. নট গেইট (ঘঙঞ এধঃব)।

প্রশ্ন : মিনটার্ম কি?

উত্তর : সত্যক সারণিতে ব্যবহৃত বুলীয় চলক ও অর বাদে শুধুমাত্র অ্যান্ড (অঘউ) বা নট (ঘঙঞ) অপারেশন ব্যবহার করে যে সকল বুলীয় রাশি গঠন করা যায় তাদেরকে মিনটার্ম বলে।

প্রশ্ন : পজিশনাল বা স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি কী?

উত্তর : যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যায় ব্যবহৃত অঙ্কগুলোর নিজস্ব মান এবং স্থানিক মান রয়েছে তাকে পজিশনাল বা স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে।

প্রশ্ন : নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?

উত্তর : যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যার মান সংখ্যায় ব্যবহৃত অঙ্কসমূহের অবস্থানের উপর নির্ভর করে না তাকে নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন চিহ্ন বা প্রতীকের মাধ্যমে হিসাব-নিকাশের কাজ করা হতো। এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতীক বা অঙ্কগুলোর পজিশন বা অবস্থান গুরুত্ব পায় না। ফলে অঙ্কগুলোর কোনো স্থানীয় মান থাকে না। শুধু অঙ্কটির নিজস্ব মানের উপর ভিত্তি করে হিসাব-নিকাশ কার হয়। প্রাচীন কালে ব্যবহৃত হায়ারোগিস্নফিক্স (ঐরবৎড়মষুঢ়যরপং), মেয়ান ও রোমান, ট্যালি সংখ্যা পদ্ধতি নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতির উদাহরণ।

প্রশ্ন : বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?

উত্তর : যে সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি দুই (২) তাকে দুইভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে। একে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বা বুলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতিও বলা হয়। বুলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতিতে অঙ্ক দুটি ০ ও ১। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য সহজ নয়। সপ্তদশ শতকে বাইনারি সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেন গটফ্রিড লিবনিজ। ১৮৫৪ সালে ব্রিটিশ গণিতবিদ জর্জ বুল বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি এবং এতদ্বসংক্রান্ত অ্যালজেবরার ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। তার নাম অনুসারে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির আরেক নাম বুলিয়ান অ্যালজেবরা।

প্রশ্ন : অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?

উত্তর : যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮টি (০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭) প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। যেমন- (১২০)৮। অকটাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ থেকে ৭ পর্যন্ত মোট ৮টি প্রতীক বা চিহ্ন নিয়ে যাবতীয় গাণিতিক কর্মকান্ড সম্পাদন করা হয় বলে এর বেজ বা ভিত্তি হলো ৮। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিকে তিন বিট সংখ্যা পদ্ধতিও বলা হয়। কারণ অকটাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ০ থেকে ৭ পর্যন্ত মোট ৮টি প্রতীক বা চিহ্নকে তিন বিটের মাধ্যমেই প্রকাশ করা যায়। ডিজিটাল সিস্টেমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাইনারি সংখ্যাকে নির্ভুল ও সহজে উপস্থাপন করার জন্য অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

\হপরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে