ত্রিভুজ
৩৭। সর্বসম ত্রিভুজ কাকে বলে?
উত্তর : দুটি ত্রিভুজকে সর্বসম বলা হয় যদি এগুলি নিচের তিনটি শর্তের যেকোন একটি পূরণ করে :
(১) একটি ত্রিভুজের এক বাহু ও দুটি কোণ অন্যটির অনুরূপ বাহু ও দুটি কোণের সমান।
(২) কোন একটি ত্রিভুজের দুই বাহু এবং এদের অন্তর্ভুক্ত কোণ অন্য ত্রিভুজটির দুই বাহু ও অন্তর্ভুক্ত কোণের সমান; অথবা
(৩) একটি ত্রিভুজের তিনটি বাহু অপর ত্রিভুজের তিন বাহুর সমান। যদি একই সমতলে অবস্থিত দুটি ত্রিভুজকে নিখুঁতভাবে একটির ওপর আরেকটিকে বসিয়ে দেয়া যায়, তবে তারা সরাসরি সর্বসম। আর যদি বসানোর আগে একটিকে উল্টে নিতে হয়, তবে ত্রিভুজ দুটি বিপরীতভাবে সর্বসম।
৩৮। সদৃশ ত্রিভুজ কাকে বলে?
উত্তর : যদি দুটি ত্রিভুজের একটির সবগুলি কোণ অন্যটির সবগুলি কোণের সমান হয়, তবে তাদেরকে সদৃশ ত্রিভুজ বলা হয় এবং এদের অনুরূপ বাহুগুলি সমানুপাতিক হয়।
৩৯। অন্তঃকেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তর : ত্রিভুজের কোণত্রয়ের সমদ্বিখন্ডকগুলো সমবিন্দু। এ বিন্দুই ত্রিভুজের অন্তঃকেন্দ্র।
৪০। পরিকেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তর : ত্রিভুজের বাহুত্রয়ের লম্বদ্বিখন্ডকত্রয় সমবিন্দু। এই বিন্দু ত্রিভুজের পরিকেন্দ্র।
৪১। ভরকেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তর : ত্রিভুজের কোণ একটি শীর্ষবিন্দু এবং তার বিপরীত বাহুর মধ্যবিন্দুর সংযোজক সরলরেখাকে মধ্যমা বলে। ত্রিভুজের মধ্যমাত্রয় সমবিন্দু। এই বিন্দুকে ত্রিভুজের ভরকেন্দ্র বলে।
৪২। লম্ববিন্দু কাকে বলে?
উত্তর : ত্রিভুজের শীর্ষত্রয় হতে বিপরীত বাহুর ওপর অঙ্কিত লম্বত্রয় সমবিন্দু। এই বিন্দুকে ত্রিভুজের লম্ববিন্দু বলে।
চতুর্ভুজ
৪৩। চতুর্ভুজ কাকে বলে?
উত্তর : চারটি রেখাংশ দিয়ে সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে চতুর্ভুজ বলে।
৪৪। কর্ণ কাকে বলে?
উত্তর : চতুর্ভুজের বিপরীত শীর্ষ বিন্দুগুলোর দিয়ে তৈরি রেখাংশকে কর্ণ বলে। চতুর্ভুজের কর্ণদ্বয়ের সমষ্টি তার পরিসীমার চেয়ে কম।
৪৫। সামান্তরিক কাকে বলে?
উত্তর : যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো সমান ও সমান্তরাল এবং বিপরীত কোণগুলো সমান (কিন্তু কোণগুলো সমকোণ নয়), তাকে সামান্তরিক বলে।
৪৬। আয়তক্ষেত্র কাকে বলে?
উত্তর : যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো সমান ও সমান্তরাল এবং প্রতিটি কোণ সমকোণ, তাকে আয়তক্ষেত্র বলে।
৪৭। বর্গক্ষেত্র কাকে বলে?
উত্তর : যে চতুর্ভুজের চারটি বাহুই পরস্পর সমান এবং কোণগুলো সমকোণ তাকে বর্গক্ষেত্র বলে।
৪৮। রম্বস কাকে বলে?
উত্তর : রম্বস এক ধরনের সামান্তরিক যার সবগুলি বাহু সমান কিন্তু কোণগুলো সমকোণ নয়।
৪৯। ট্রাপিজিয়াম কাকে বলে?
উত্তর : যে চতুর্ভুজের দুটি বাহু সমান্তরাল কিন্তু অসমান, তাকে ট্রাপিজিয়াম বলে।
৫০। সুষম বহুভুজ কাকে বলে?
উত্তর : যদি বহুভুজের সবগুলি বাহু ও কোণ সমান হয়, তবে সেটিকে সুষম বহুভুজ বলে।
বৃত্ত
৫১। বৃত্ত কাকে বলে?
উত্তর : একই সমতলে অবস্থিত একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে সমদূরবর্তী সকল বিন্দু দ্বারা গঠিত সুষম আবদ্ধ বক্রাকার চিত্রকে বৃত্ত বলে।
৫২। কেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তর : যে নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে বৃত্তের পরিধির উপর সকল বিন্দুর দূরত্ব সমান সেই বিন্দুকে কেন্দ্র বলে।
৫৩। ব্যাসার্ধ কাকে বলে?
উত্তর : বৃত্তের কেন্দ্র থেকে পরিধির উপর যে কোনো বিন্দুর দূরত্বকে ব্যাসার্ধ বলে।
৫৪। জ্যা কাকে বলে?
উত্তর : বৃত্তের পরিধির উপর যে কোনো দু'টি বিন্দুর সংযোজক রেখাংশকে জ্যা বলে।
৫৫। ব্যাস কাকে বলে?
উত্তর : বৃত্তের কেন্দ্রগামী জ্যাকে ব্যাস বলে।
৫৬। পরিধি কাকে বলে?
উত্তর : বৃত্তের সীমান্ত বরাবর দৈর্ঘ্যকে পরিধি বলে।
৫৭। বৃত্তচাপ কাকে বলে?
উত্তর : বৃত্তের যে কোনো দু'টি বিন্দুর মধ্যে পরিধির অংশকে বৃত্তচাপ বলে।
৫৮। অর্ধ-বৃত্তচাপ কাকে বলে?
উত্তর : যে বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য পরিধির অর্ধেক তাকে অর্ধ-চাপবৃত্ত বলে।
৫৯। বৃত্তাংশ কাকে বলে?
উত্তর : বৃত্তের একটি জ্যা ও একটি চাপ দ্বারা গঠিত অংশকে বৃত্তাংশ বলে।
৬০। বৃত্তকলা কাকে বলে?
উত্তর : বৃত্তের দু'টি ব্যাসার্ধ ও একটি চাপ দ্বারা গঠিত অঞ্চলকে বৃত্তকলা বলে।
৬১। বৃত্তস্থ কোণ কাকে বলে?
উত্তর : বৃত্তের দু'টি জ্যা পরস্পরকে বৃত্তের উপর কোনো বিন্দুতে ছেদ করলে এদের মধ্যবর্তী কোণকে বৃত্তস্থ কোণ বা বৃত্তে অন্তর্লিখিত কোণ বলে।
৬২। কেন্দ্রস্থ কোণ কাকে বলে?
উত্তর : একটি কোণের শীর্ষবিন্দু কোনো বৃত্তের কেন্দ্রে অবস্থিত হলে কোণটিকে ঐ বৃত্তের একটি কেন্দ্রস্থ কোণ বলা হয়।
৬৩। বৃত্তস্থ চতুর্ভুজ কাকে বলে?
উত্তর : যে চতুর্ভুজের চারটি শীর্ষবিন্দু বৃত্তের উপর অবস্থিত হয় সেই চতুর্ভুজকে বৃত্তস্থ চতুর্ভুজ বলে।
৬৪। স্পর্শক কাকে বলে?
উত্তর : একটি বৃত্ত ও একটি সরলরেখার যদি একটি ও কেবল ছেদবিন্দু থাকে তবে সরলরেখাটিকে বৃত্তের স্পর্শক বলা হয়।
৬৫। সাধারণ স্পর্শক কাকে বলে?
উত্তর : একটি সরলরেখা যদি দু'টি বৃত্তের স্পর্শক হয় তবে উক্ত রেখাটিকে সাধারণ স্পর্শক বলা হয়।
৬৬। পরিবৃত্ত কাকে বলে?
উত্তর : তিনটি শীর্ষবিন্দু যোগ করে যেমন একটিমাত্র ত্রিভুজ হয় তেমনি তিনটি বিন্দু (শীর্ষ)গামী বৃত্তও একটিই, এর নাম পরিবৃত্ত।
৬৭। পরিকেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তর : পরিবৃত্তের কেন্দ্রকে পরিকেন্দ্র বলে।