বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ট্রানজিস্টর
শিক্ষা জগৎ ডেস্ক
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ট্রানজিস্টর (ঞৎধহংরংঃড়ৎ) একটি অর্ধপরিবাহী যন্ত্র, যা সাধারণত অ্যামপিস্নফায়ার এবং বৈদু্যতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটার, সেলুলার ফোন এবং অন্য সব আধুনিক ইলেকট্রনিক্সসের মূল গাঠনিক উপাদান হিসেবে ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়। দ্রম্নত সাড়া প্রদানের ক্ষমতা এবং সম্পূর্ণ সঠিকভাবে কার্যসাধনের ক্ষমতার কারণে এটি আধুনিক ডিজিটাল বা অ্যানালগ যন্ত্রপাতি তৈরিতে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। নির্দিষ্ট ব্যবহারগুলোর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক অ্যামপিস্নফায়ার, সুইচ, ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক, সংকেত উপযোজন এবং ওসিলেটর। ট্রানজিস্টর ইলেকট্রনিক বর্তনীর একটি সক্রিয় অংশ। এর অন্তত তিনটি সংযোগ থাকে। দুই রকমের ট্রানজিস্টর সবচেয়ে বেশি দেখা যায়: বাইপোলার এবং ফিল্ড ইফেক্ট। বাইপোলার শ্রেণির ট্রানজিস্টওে ইলেকট্রন এবং হোল এই দুই ধরনের তড়িৎ-বাহকের অনুপ্রবেশকে কাজে লাগানো হয়। আর ফিল্ড-ইফেক্ট ট্রানজিস্টরে শুধু ইলেকট্রন অথবা হোলকে তড়িৎবাহক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ইতিহাস ফিল্ড-ইফেক্ট ট্রানজিস্টরের মূলনীতি সম্বন্ধে প্রথম তিনটি পেটেন্ট গৃহীত হয়েছিল ১৯২৮ সালে জার্মানিতে। পেটেন্ট করেছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী জুলিয়াস এডগার লিলেনফেল্ড। ১৯৩৪ সালে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ড. অস্কার হেইল ফিল্ড-ইফেক্ট ট্রানজিস্টরের আরেকটি পেটেন্ট করেন। ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বেল ল্যাবরেটরির উইলিয়াম শকলি, জন বার্ডিন এবং ওয়াল্টার ব্রাটেইন পৃথিবীর প্রথম ব্যবহারিক পয়েন্ট-কন্টাক্ট ট্রানজিস্টর তৈরি করতে সক্ষম হন। তারা মূলত যুদ্ধকালীন সময়ে যুদ্ধে উপযোগিতার জন্য বিশুদ্ধ জার্মেনিয়াম কেলাস মিশ্রিত তৈরির জন্য গবেষণা করছিলেন। এই ডায়োডগুলোকে ক্ষুদ্র তরঙ্গ রাডারের গ্রাহক যন্ত্রে ফ্রিকোয়েন্সি মিক্সার হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। একই সময় কিছু ইউরোপীয় বিজ্ঞানী সলিড-স্টেট অ্যামপিস্নফায়ারের ধারণা নিয়ে গবেষণা করছিলেন। ১৯৪৮ সালের আগস্টে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ঐবৎনবৎঃ ঋ. গধঃধৎল্ক এবং ঐবরহৎরপয ডবষশবৎ (১৯১২-১৯৮১) সংখ্যালঘু তড়িৎ-বাহকের অনুপ্রবেশের ওপর ভিত্তি কওে নির্মিত একটি অ্যামপিস্নফায়ারের উদ্ভাবন বিষয়ে পেটেন্টের আবেদন জানান। তারা এই কৌশলটির নাম দিয়েছিলেন ট্রানজিসট্রন। ফরাসি টেলিফোন কোম্পানি এবং সামরিক বাহিনীর জন্য প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ট্রানজিসট্রন উৎপাদিত হয়েছিল। ১৯৫৩ সালে জার্মানির ডুসেলডর্ফে চারটি ট্রানজিসট্রন দ্বারা গঠিত একটি সলিড-স্টেট বেতার গ্রাহক যন্ত্র প্রদর্শিত হয়। বাইপোলার জাংশন ট্রানজিস্টর (ইঔঞ)

পোলারিটির ওপর ভিত্তি করে বাইপোলার জাংশন ট্রানজিস্টর বা সংক্ষেপে ট্রানজিস্টরের গঠন দুই রকম: ঘচঘ এবং চঘচ। দুইটি ঘ-টাইপ অর্ধ পরিবাহীর মাঝামাঝি একটি চ-টাইপ অর্ধ পরিবাহী যুক্ত করে তৈরি হয় একটি ঘচঘ ট্রানজিস্টর। ফিল্ড এফেক্ট ট্রানজিস্টর (ঋঊঞ) কখনো কখনো এটিকে ঁহরঢ়ড়ষধৎ ট্রানজিস্টর বলা হয়, পরিবহনের জন্য এটি ইলেকট্রন বা গর্ত ব্যবহার করে। ঋঊঞ চারটি টার্মিনাল উৎস, গেট, ড্রেন এবং শরীর নামে হয়। অধিকাংশ ঋঊঞং, শরীরের প্যাকেজ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংযুক্ত। একটি ঋঊঞ, ড্রেন থেকে উৎস একটি আবহ চ্যানেল ড্রেন অঞ্চলের সোর্স সংযোগ মাধ্যমে প্রবাহিত। পরিবাহিতা তড়িৎক্ষেত্র একটি ভোল্টেজ গেট এবং উৎস টার্মিনালের মধ্যে প্রয়োগ করে উৎপাদিত হয় ও বৈচিত্র্যময় হয়। তাই বর্তমান ড্রেন এবং উৎসের মধ্যে প্রবাহিত ভোল্টেজ গেট এবং উৎস মধ্যে প্রয়োগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ফিল্ড এফেক্ট ট্রানজিস্টর গঠিত হয় একটি চ টাইপ অথবা একটি ঘ টাইপ দন্ড দিয়ে যার দুই পাশে থাকে দুটি চঘ জাং।

শ্রেণিবিভাগ: চারটি মানদন্ড অনুসরণ করে ট্রানজিস্টরের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়:

১. অর্ধপরিবাহী কেলাসের ধরন এবং গাঠনিক অঞ্চলের সংখ্যা,

২. উৎপাদনের সময় অনুসৃত পদ্ধতি

৩. অর্ধপরিবাহী পদার্থের প্রকৃতি

৪. কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা বিভিন্ন প্রকার ট্রানজিস্টরের উপর নির্ভর করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে