আজকের যায়যায়দিন

ডিস্কো ড্যান্সার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি নিজেই যেন একটি প্রতিষ্ঠান। বহু মানুষের হৃদস্পন্দন মিঠুন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আবেগের অন্য নাম স্বয়ং মহাগুরু। ৭১ বছরেও যেই মঞ্চে পৌঁছান সেখানে কাঁপান। হিন্দি অথবা বাংলায় ধারালো সংলাপে সবার মন জয় করেছেন তিনি। বিভিন্ন বয়স জুড়ে মিঠুনদা সবার মনের দশদিক জুড়ে আছেন। কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠা, একের পর এক সুপার হিট সিনেমা উপহার। তার মধ্যে একাধিক জাতীয় পুরস্কার বাঙালি বাবু মিঠুন চক্রবর্তী সত্যিকারেই বাঙালিকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন।

স্বপ্ন যা আমরা ঘুমিয়ে দেখি ঠিক তা নয়; যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না তাই হলো স্বপ্ন। এই স্বপ্নই মিঠুনদা বারবার দেখেছেন। বড়দিনেই মুক্তি পেয়েছে মিঠুনের সিনেমা 'প্রজাপতি'। দর্শকদের জন্য অনেকদিন পরে মিঠুনের উপহার। বড় পর্দার সঙ্গে সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী টিভিতে বেশ জনপ্রিয়। পশ্চিমবঙ্গের বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ডান্স বাংলা ডান্স-এ ফিরছেন মহাগুরু। সোশ্যাল মিয়িয়ায় শেয়ার করা প্রোমোতেই ধামাকা সৃষ্টি হয়েছে। সেখানেই তিনি বলছেন ১০ বছর পরে ফিরে এলেন তিনি নিজেরই ঘরে। ডান্স বাংলা ডান্স কতখানি তার মনের কাছাকাছি তা প্রোমোতেই বুঝতে পারা যায়। আর সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্টে বুঝতে পারা যায় মিঠুন চক্রবর্তী কতখানি ঠিক সবার মনের কাছাকাছি। টেলিকাস্টের দিনক্ষণ এখনো জানা যায়নি, শুধুই টিজারে লেখা আসছে। মিঠুন শুধু অভিনেতাই নন, সমাজ সংগঠক এবং উদ্যোক্তা। ১৯৭৬ সালে 'মৃগয়া' সিনেমার মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। এ সিনেমার মাধ্যমেই তিনি 'সেরা অভিনেতা' হিসেবে ভারতের 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার' লাভ করেন। অভিষেকের পর তিনি 'দো আনজানে' (১৯৭৬) এবং 'ফুল খিলে হ্যায়' ও 'গুলশান গুলশান' (১৯৭৭) সিনেমা দু'টোয় সহ-চরিত্রে অভিনয় করেন। বর্তমানে তিনি পরশ টিভির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন।