মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়া সম্ভব নয়

মাজনুন মিজান- ১৯৯৬ সালে মার্চেন্ট অব ভেনিস নাটকের মধ্যদিয়ে ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর পা রাখেন টিভি পর্দায়। কাজ করেছেন চলচ্চিত্রসহ সব ধরনের পস্ন্যাটফর্মে। তার সময় যারা ছোটপর্দায় এসেছেন তাদের মধ্যে তার অভিনয়ে একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সিরিয়াস কিংবা হাস্যরসাত্মক, দুই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছেন এই অভিনেতা। বৈচিত্র্যমুখী এ অভিনেতার কাজের ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন ...
নতুনধারা
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

নতুন কোনো কাজে হাত দিয়েছেন এর মধ্যে? আপাতত আমার হাতে নতুন কাজ তেমন নেই। আগের সিরিয়ালের কাজগুলোই করছি। এর মধ্যে 'কমান্ডো' নামে একটি সিনেমার অসম্পূর্ণ কাজ আছে। নিজের ব্যবসাতেই এখন আমি সময় দিচ্ছি। তবে কি অভিনয় থেকে সরে যাচ্ছেন? না, সেটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে যা করব বেছে বেছে ভালো গল্প ও চরিত্রেই অভিনয় করব। অভিনয়টা আমার আবেগের জায়গা। আসলে আমি একজন পেশাদার অভিনেতা হিসেবেই কাজ করে যেতে চেয়েছি। কিন্তু বাস্তব প্রেক্ষাপটে পরে দেখলাম অভিনয়কে পেশা হিসেবে চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই ব্যবসায়ের দিকে মনোযোগ দিলাম। অনেকেই তো অভিনয় দিয়েই ভালো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন? আমিও প্রথম থেকেই অভিনয়কে পেশা হিসেবে নিতে চেয়েছি। এ কারণেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কোথাও সিভি জমা দিইনি। অভিনয়টা আমার কাছে আবেগের ব্যাপার ছিল। অভিনয়টাই করে যেতে চেয়েছিলাম আমি। এভাবেই তো দীর্ঘ একটা সময় কেটে গেল। পরে মনে হলো, অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়াটা কঠিন, ওটা আমার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আরও অনেক চরিত্রাভিনেতারাও কাজ করছেন না- কারণ কী? আসলে আমাদের এই সেক্টরের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে বাইরের অনেকেই জানেন না- এখানে ক্যারেক্টার আর্টিস্টদের কী রকম অবমূল্যায়িত হয়! একটা শুটিংয়ে প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পীদের যেভাবে খাতির করা হয়, সে তুলনায় ক্যারেক্টার আর্টিস্টদের অনেকটা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়। একজন অভিনয় শিল্পীর জন্য এটা খুবই অপমানের। এগুলো আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। একজন চরিত্রাভিনেতাকে শুটিংয়ে চা-নাশতা চেয়ে খেতে হয়, আবার আরেকজনের পেছনে খাবার ঘোরে। আমাকে হয়তো চা দিচ্ছেন, অন্যজনকে সঙ্গে ভিন্ন কিছু। এটা নতুন অভিনয় শিল্পীদের ক্ষেত্রে কী বার্তা দেয়? এর সঙ্গে কি পারিশ্রমিকের বিশাল ব্যবধানও জড়িত? এটা ঠিক এখানে পারিশ্রমিক চরিত্র অনুযায়ী প্রপার ওয়েতে দেওয়া হয় না। এ নিয়েও ছলচাতুরি করা হয়। যা রীতিমতো অন্যায়। অনেকে নিরুপায় হয়েই এই লাইনটা ধরে আছেন। অনেকেই আছেন, যারা আমার মতোই অভিনয়ের পাশাপাশি বিকল্প আয়ের সোর্স চাচ্ছেন। কিন্তু নানা কারণে পারছেন না। এতে কোনোই সন্দেহ নেই যে, এমন ভুক্তভোগী আর্টিস্ট ইন্ডাস্ট্রির ৯০ ভাগই। যারা বাধ্য হয়ে এই অপমান সহ্য করে শুটিং করে যাচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে