ভোলার বোরহানউডিদ্দনে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে বোরহানউদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রক্তিম চন্দ্র শর্মাকে হাতে-নাতে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ উত্তেজিত জনতা।
বুধবার দুপুরে পৌরসভার হাওলাদার মার্কেটে রক্তিম শর্মার মালিকাধীন শর্মা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে উত্তেজিত জনতা ওই শিক্ষককে জুতার মালা পড়িয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচার দাবি করে শত শত পোস্ট দেখা গেছে।
শিক্ষক রক্তিম শর্মা উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের সত্য হরি শর্মার ছেলে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, বোরহানউদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার গণিত বিভাগের শিক্ষক রক্তিম চন্দ্র শর্মা পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ডে হাওলাদার মার্কেটে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদেরকে প্রশিক্ষণ দেন। বুধবার সকালে এক মুসলিম ছাত্রী একা তার কম্পিউটার সেন্টারে যান। দীর্ঘ সময় পর ওই ছাত্রীসহ তিনি রিক্সা যোগে বাজারে গিয়ে ফুল ও বিরিয়ানী আনেন। ওই সময় স্থানীয়রা ওই কম্পিটার সেন্টারে গিয়ে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থা দেখতে পান।
এরপর তাদেরকে ওই কম্পিউটার সেন্টারের ভিতর আটক করে রাখেন। ওই সময় ট্রেনিং সেন্টারের ভিতর জন্মনিরোধ সামগ্রীসহ অন্যান্য উপকরণ পাওয়া যায়। ওই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিচারের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন নেয়ার চেষ্টা করেন। উত্তেজিত জনতা শিক্ষক রক্তিম শর্মা কে জুতার মালা পড়িয়ে পুলিশ ভ্যানে তুলতে বাধ্য করেন।
পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময়ও উত্তেজিত জনতা মারধর করার চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা আরও জানান, এ শিক্ষকসহ আরেক শিক্ষক এর আগেও এরকম একাধিক অনৈতিক কর্মকান্ড করে পার পেয়ে যান। তাই তারা এ শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। পাশাপাশি পূর্বের অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারন দাবি করেন।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খালেদা খানম বলেন, এ ব্যাপারে আগামিকাল (বৃহস্পতিবার)জরুরি সভা হবে। ওই সভায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো: সিদ্দিকুর রহমান জানান, ওই শিক্ষক এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।