মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

ফেব্রম্নয়ারিতে 'কাজল রেখা' মুক্তি দিচ্ছি

গিয়াস উদদিন সেলিম- এক 'মনপুরা' সিনেমা দিয়েই তারকা পরিচালক হয়ে গেছেন। পরিচালনার পাশাপাশি নাট্যকার এবং নাট্যনির্মাতাও তিনি। দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণকারী এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব কবিতাও লেখেন। এ বছরই সরকারি অনুদানে নির্মিত ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে তৈরি 'কাজল রেখা' সিনেমাটি মুক্তি দিতে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে নতুন একটি সিনেমা বানানোর ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। এ পরিচালকের নতুন বছরের ব্যস্ততাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

নতুন বছরে কী করতে যাচ্ছেন?

এরই মধ্যে তো 'গাঁইয়া' নামে একটি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিলাম। এটি মূলত ডিজিটাল পস্ন্যাটফর্ম বঙ্গর নতুন আয়োজন 'স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রেমের গল্প' সিরিজের অংশ। এতে আমি ছাড়াও আরও কয়েকজন পরিচালক প্রেমের গল্পে কয়েকটি শর্টফিল্ম নির্মাণ করছেন। যার একটির দায়িত্ব পেয়েছি আমি। এ ছাড়া এ বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে 'কাজল রেখা' সিনেমাটি মুক্তি দিতে যাচ্ছি।

এই একই গীতিকা থেকে এর আগেও তো

একাধিক সিনেমা হয়েছে?

সেটা হয়েছে। তবে আমি যেটা করেছি সেটা আমার মতো করেই করেছি। তবে ময়মসিংহ গীতিকায় যে এনভায়রনমেন্ট, চিত্রকল্প আছে সেটাই অক্ষুণ্ন রেখেছি। ময়মনসিংহ গীতিকার যে আদি চারশ বছর আগের গল্পটি আছে সেটাই হুবহু রাখার চেষ্টা করেছি। তারপরও একেকটা সময়ে একেক রকম যেমন হয় সে রকমই সেটা আমার মতো করেই হয়েছে। আশা আছে দর্শকেরও ছবিটা দেখে ভালো লাগবে।

'মনপুরা'য় যে দর্শক ছিল এটাতেও কি

সে রকম দর্শক হবে মনে করেন?

একেক সিনেমা তো একেক রকম হবে। একেকটা একেক ধারার দর্শক গ্রহণ করবে। সেটা দর্শকের ওপর ডিপেন্ড করে। আমরা এর কিছু না। আরও কোন সিনেমায় সেরকম দর্শক হওয়ার মতো ছিল সেটা আমি বলার কেউ নই। আমি দর্শক নই আমি একজন নির্মাতা।

এখন দর্শক কোন সিনেমা দেখবে বা দেখবে না সেটা দর্শকেরই ব্যাপার। আমার কাজ হচ্ছে বানিয়ে যাওয়া। নিজের সিনেমা নিয়ে কোনো মূল্যায়নে যাব না। মূল্যায়ন করার লোকই আলাদা। দর্শক মূল্যায়ন করবে, ভালো লাগলে দেখবে না লাগলে দেখবে না- এ রকমই তো।

এখনকার সিনেমায় মনে হয় একটা

বাঁকবদল ঘটছে- কী বলেন?

তাতো অবশ্যই। বাংলা সিনেমায় ইতোমধ্যে একটা বাঁকবদল আসা শুরু হয়ে গেছে। সেই বাঁকবদলে আমাদের সিনেমা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ঘুরে দাঁড়াবেও। এখন দর্শকও আবার প্রেক্ষাগৃহমুখী হচ্ছে এটা তো আমাদের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক।

এই কাজটি তরুণরাই করছে- এখানে তো প্রবীণদের তেমন দেখা যাচ্ছে না?

নতুন রক্তের প্রবাহ আসছে বাংলা সিনেমায় এটা তো ভালো লক্ষণ। তরুণরাই তো সব করে। তবে নবীন-প্রবীণ একসঙ্গে শামিল হওয়ার মাধ্যমেই বাংলা সিনেমা হবে। কার যে কখন কী সম্ভাবনা আছে সেটা তো আগে থেকে বলা যাচ্ছে না। এখানে কাউকে বাদ দেওয়ার তো দরকার পড়ে না। যারা-যারা দর্শকনন্দিত সিনেমা বানাবে তাদের-তাদের সিনেমাই দর্শক দেখবে। এখানে সিনিয়র-জুনিয়র কোনো বিষয় নয়।

নতুনদের দেখার ভঙ্গির সঙ্গে প্রবীণদের

দেখার ভঙ্গি কি মিলতে পারে?

এই প্রশ্নটি আমার জন্য হতে পারে না। এই প্রশ্নটির উত্তর তারাই দিতে পারবেন যারা সিনেমা বিষয়ক গবেষণা করছেন, দর্শক নিয়ে গবেষণা করছেন। এ বিষয়ে তারাই ভালো বলতে

\হপারবেন।

\হসিনেমা বিষয়ে আমি

\হকোনো গবেষক নই।

\হদর্শক নিয়ে গবেষণা করি না। আমার

\হকাজ শুধু সিনেমা বানিয়ে যাওয়া।

বাণিজ্যিক সিনেমাতেও সরকারি অনুদান যাচ্ছে।

এটাকে কী বলবেন?

যারা এই অনুদানের কমিটিতে আছেন সেটা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বা বিবেচনার বিষয়। কোন পলিসি থেকে এটা হচ্ছে আমি বলতে পারব না। এক সময় তো কমার্শিয়াল সিনেমার বাজার খুব রমরমা ছিল। তখন সরকার জীবনঘনিষ্ট সিনেমা খারাপ অবস্থাতে থাকায় তাতে অনুদানের প্রচলন করে। এখন সেই কমার্শিয়াল সিনেমাই খুবই খারাপ যাচ্ছে। আমার ধারণা, সে কারণেই হয়তো সরকার দুই ধরনের সিনেমাতেই অনুদান দিচ্ছে। এটা হয়তো গভর্নমেন্টের পলিসি বা তথ্য মন্ত্রণালয়ের পলিসি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে