বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

থিয়েটারই আমার নেশার জায়গা

রোজী সিদ্দিকী- এক সময় ছোটপর্দার অভিনেত্রী হিসেবে বেশ আলোচিত ছিলেন। যখন তার সংলাপ ছিল মানুষের মুখে মুখে। তবে তিনি ছোটপর্দায় পা রাখার আগে ১৯৯৪ সাল থেকেই যুক্ত আছেন ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে। আলোচনায় আসেন আমজাদ হোসেনের 'জন্মভূমি' ধারাবাহিক নাটকের 'বিজলি' চরিত্রের মধ্যদিয়ে। চলচ্চিত্রেও অভিনয় করছেন। একক অভিনয় 'পঞ্চনারী আখ্যান' এজন্যও আলোচিত তিনি। এ অভিনেত্রীর নতুন কাজসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন....
নতুনধারা
  ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
থিয়েটারই আমার নেশার জায়গা

নতুন কাজ কী করছেন এখন?

এখন আমার হাতে নতুন কোনো কাজ নেই। প্রচার চলতি কয়েকটি ধারাবাহিক 'বউ শাশুড়ি' 'গৃহলক্ষ্ণী' নিয়েই আছি আপাতত। এ ছাড়া নতুন সিনেমা, নাটক, ওয়েবসিরিজ, ধারাবাহিক নিয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনা চূড়ান্ত হলেই জানতে পারবেন।

অভিনয়ে আপনাকে নানা চরিত্রে দেখা যায়- এতে নিজস্বতা ক্ষুণ্ন হয় না?

তা হবে কেন। বরং আমি তো মনে করি আমি আমার অভিনয়ে যত বৈচিত্র্য আনতে সক্ষম হই সেটা আমার জন্য তত বেশিই ক্রেডিট হবে। আর যিনি শিল্পী তিনি তো তার অভিনয়ে বৈচিত্র্য আনবেনই। সেটা কখনো প্রেমিকা হিসেবে, কখনো বোন হিসেবে কখনো বা ভাবী বা মায়ের চরিত্রে। একজন নারী তো একই সঙ্গে এর সবই। একজন নারী এসবই হতে পারে তেমনি একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমিও এর সবই করতে পারি। এটা আমি মঞ্চ থেকে শিখেছি। আমার অভিনয়ে মঞ্চের অবদান অনেক। এভাবেই আমি নানা চরিত্রে অভিনয় করে যেতে চাই।

অনেকে বলছেন টিভি নাটকে ঘুরে-ফিরে একই বিষয় আসছে

আসলে নির্মাতারা বেশিরভাগ নাটকে প্রায় একই বিষয় গুলিয়ে ফেলছেন এটা তো অস্বীকার করা যাবে না। ঘুরে-ফিরে সেই একই সংলাপের চটুল প্রেম-প্রীতিতেই গন্ডিবদ্ধ হয়ে পড়ছে প্রায় সব নাটক। অথচ এক সময় একজন অভিনয়শিল্পী ১০টি চরিত্রে অভিনয় করলেও সেগুলোকে আলাদা করা যেত। এখন দু-একটি চরিত্রেই নাটক বানিয়ে ফেলছে। মা বাবা থাকলে থাকল না থাকলে নাই এরকম দায়সারা নাটকে পরিবার, সমাজ কোথায় আসবে? তখন এইসব নাটক থেকে পরিবার ও সমাজের কীইবা কাজে আসবে। যদিও এমন নয়, আমরা যারা নাটক বানাই বা অভিনয় করি তারা সবাই পরিবার বা সমাজ থেকে বেরিয়ে গেছি। তারপরও এখন একটি নাটকে পরিবার ও সমাজ বলতে কিছু যে নেই- সে ব্যর্থতা তো আমাদেরই।

মঞ্চের অনেকে টিভিতে আসার পর মঞ্চ ছেড়ে দেয়। আপনি তো এখনো...

অন্যদের কথা আমি বলতে পারব না। তবে আমি সবসময়ই অনুভব করি থিয়েটারই আমার নেশার জায়গা। আমি রিয়েল অভিনয় যদি শিখে থাকি তা মঞ্চ থেকেই শিখেছি। আমি আসলে থিয়েটার কখনো ছাড়তে পারব না। সারাজীবন করে যাব। আমি মনে করি থিয়েটার আমার জন্য ইনস্টিটিউট।

শিল্প হিসেবে 'পঞ্চনারী আখ্যান'কে কোথায় রাখবেন?

'পঞ্চনারী আখ্যান' আমি যখন প্রথমবারের মতো ভার্জিনিয়ায় শুরু করি তখন এটা আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। পরে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমার কাছে একজন অভিনয়শিল্পীর জীবনে মঞ্চে একক অভিনয় করা মানে তার পুনর্জন্ম হওয়া। আমি মনে করি পঞ্চনারী আখ্যান থেকে আমার পুনর্জন্ম হয়েছে।

এটা দেখতে নারী দর্শক কেমন থাকে?

আমি তো দর্শক হিসেবে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ করি না। আর আমি চাই আমার এই নাটকটি নারীদের চেয়ে পুরুষ দর্শকরাই বেশি দেখুক। কারণ নাটকটিতে যে সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে সেই সমস্যাটি পুরুষদের। পুরুষতান্ত্রিকতার। কাজেই দর্শক হিসেবে পুরুষরাই বেশি থাকবে- এটাই আমার বেশি চাওয়া।

নতুন পরিচালকদের কাজ কেমন মনে করেন?

একজন অভিনয় শিল্পী অভিনয় দিয়ে জনপ্রিয় হন অল্প কয়টি কাজের মধ্য দিয়েই। সামগ্রিক বিবেচনায় সব নাটকই ভালো হবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে এখনকার তরুণ নির্মাতারা ভালো কাজ করছেন বলে আমি মনে করি। তারা আরও ভালো করবেন সেই সম্ভাবনার পরিচয়ও তাদের কাজগুলোয় পাওয়া যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে