শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

এখনকার গান জোয়ার ভাটার মতোই ভেসে যাবে

রুমানা ইসলাম- আধুনিক বাংলা গানের সুকণ্ঠী গায়িকা। 'দিন যায় কথা থাকে' সিনেমায় ১২ বছর বয়সে 'মায়ের মত আপন কেহ নাই' নামে প্রথম পেস্ন-ব্যাক করেন। গানটি সে সময়ে খুবই হিট হয়। এ শিল্পীর বর্তমান ব্যস্ততাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন....
নতুনধারা
  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
রুমানা ইসলাম

নতুন গান গাওয়া কেমন চলছে এখন?

মোটামুটি চলে যাচ্ছে। আমি যেসব গান গাই সেগুলো আমার নিজস্ব ইউটিউবেই দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন টিভি লাইভ শো'তে গান গেয়ে থাকি। মঞ্চ বলতে অফিসিয়ালি যেসব স্টেজ শো হয় সেগুলোতেই সচরাচর অংশগ্রহণ করে থাকি।

শিশুবয়স থেকেই পেস্ন-ব্যাক করছেন- কতটি

পেস্ন-ব্যাক করলেন?

চলচ্চিত্রে আমার পেস্ন-ব্যাক খুব বেশি করা হয়নি। আমি যে বয়সে পেস্ন-ব্যাক করি সে হিসেবে এতদিনে সাবিনা আপা, রুনা আপা, আবিদা আপা বা শাম্মী আখতারদের পরের শিল্পী শাকিলা জাফর, কনকচাঁপাদের প্রজন্মের হিসেবে বহু পেস্ন-ব্যাক থাকার কথা। কিন্তু আমি পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় গান থেকে অনেক দিন প্রায় দশ/বারো বছরের জন্য বিরতিতে যাই। দেশের বাইরে ব্যাংককে চলে গিয়েছিলাম।

এ জন্য কি আক্ষেপ হয় না?

আক্ষেপ তো অবশ্যই হয়। ওই একটা গান আছে না 'সময় গেলে সাধন হবে না'- সেই সময় তো আমার চলে গেছে। এখন তো চাইলেও আর সেই শূন্য সময়টা আর পূরণ করা যাবে না। সেই আক্ষেপ তো আমার থাকবে। ছিল অনেকগুলো বছর। তবে এই মুহূর্তে নেই। এখন মনে হয় আমার কর্মের চেয়ে প্রাপ্তিটাই বড়। মানসিক যে অপ্রাপ্তি আছে সেটা তো চাইলেও আমি আর ফিরে পাব না। কিন্তু স্থপতি হিসেবে ক্যারিয়ারে যে জায়গা করে নিয়েছি তাতেও আমার প্রাপ্তি আছে। চলচ্চিত্রের জায়গাটি খাপছাড়া হলেও তাতেও আমার একটা সম্মানের জায়গা আছে। কম গান হলেও 'মন মাঝি তোর বৈঠা নে রে' এরকম যে দশ/বারোটি হিট গান আছে তা কিন্তু অনেক পেস্ন-ব্যাক শিল্পীরই নাই। তাতেও আমার একটা প্রাপ্তির জায়গা আছে।

এখনকার পেস্ন-ব্যাক কতটা স্মরণীয় হতে

পারে মনে করেন-

এখন যেসব গান হচ্ছে এগুলো জোয়ার-ভাটার মতোই চলে যাবে। এগুলোর কোনো স্থায়িত্ব নেই। যেমন আমার বাবার চলচ্চিত্রগুলো মানুষ আজীবনই মনে রাখবে। গানগুলোও স্মরণীয়। আমার চটুল গানের প্রতি কখনোই মোহ ছিল না। আমি খুবই সিলেক্টিভ বা বিষয়ভিত্তিক গানই করি- যাতে সেগুলো মানুষের মনে থাকে।

চটুল গানেও তো সুন্দর বিনোদন থাকতে পারে-

অবশ্যই সুস্থ বিনোদন থাকলে আমারও ওই রকম চটুল গান করতে আপত্তি নেই। মানুষ তো অনেক কষ্ট শেষে ওই রকম একটা হেলদি বিনোদনের মধ্যেও একটু সুখ খুঁজে। তবে আগে যেসব চটুল গান ছিল তাতেও কিন্তু মিষ্টি কথা ছিল। কোনো ফালতু কথা ছিল না। আমি সেরকম গান আগেও গেয়েছি ভবিষ্যতেও গাইব। কিন্তু এখন যেসব চটুল গান হচ্ছে এগুলোতে তো মনে থাকার মতো একটা গানও পাই না। তবে একমাত্র মমতাজের চটুল গানে আমি ভালো বিনোদন পাই। এগুলো মনেও থাকে। মজার মজার গান, তার গায়কী যেমন গানগুলোও তেমন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে