বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

হঠাৎ মানবিক হৃদয়ে জয়া!

বিনোদন রিপোর্ট
  ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
জয়া আহসান

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতিমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দু্যতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

শুধু অভিনয় নয়, সামাজিক কর্মকান্ডে সরব থাকার পাশাপাশি পশুপাখির প্রতি প্রাণীদের প্রতি জয়ার ভালোবাসা বরাবরই চোখের পড়ার মতন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয় তিনি। প্রায় সময়ই নানান ইসু্যতে নিজের মতামত কিংবা অনুভূতি ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভোলেন না এই অভিনেত্রী। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। আসন্ন ঈদুল ফিতরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অসহায়-এতিম বাচ্চাদের জন্য সহায়তার অনুরোধ জানালেন জয়া।

গতকাল মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে অসহায় বাচ্চাদের জন্য পোস্ট দিয়েছেন জয়া। ওই স্ট্যাটাসে ঈদে অসহায়-এতিম বাচ্চাদের জন্য সহায়তার হাত বাড়াতে অনুরোধ জানান তিনি।

'রোজার শেষ দিকে বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোতে এক করুণ দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত ২৫ রোজা থেকে মাদ্রাসাগুলো ছুটি হতে থাকে। বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক এসে বাচ্চাদের বাসায় নিয়ে যান। কিন্তু একদল বাচ্চাকে নিতে কেউ আসে না। এদের কারও বাবা-মা নেই, কারও বাবা নেই মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা বাচ্চার খোঁজ রাখে না।

খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারও কারও মামা, খালা, চাচা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়। বাকিরা সারাদিন কান্না করে। তারা জানে তাদের কেউ নিতে আসবে না। তারা সারা বছর কাঁদে না। কিন্তু যখন সহপাঠীদের সবাই বাসায় নিয়ে যায় অথচ তাদের কেউ নিতে আসে না তখন তাদের দুঃখ শুরু হয়ে যায়।

মৃত মা-বাবার ওপর তাদের অভিমান সৃষ্টি হয় কেন তারা তাদের দুনিয়ায় রেখে এই বয়সে মারা গেল? তারা কি আর কিছুটা দিন বেঁচে থাকতে পারত না? মা-বাবা বেঁচে নাই তো কী হইছে? মামা-চাচারা কেউ তাদের নিতে আসল না কেন? মা বেঁচে থাকতে মামারা কত আদর করত। বাবা বেঁচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এ বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে।

একটা অনুরোধ, এই ঈদে আপনার কাছাকাছি এতিমখানায় যান। কয়জন বাচ্চা ঈদে বাড়ি যায়নি খোঁজ নিন। তাদের জন্য আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন তা নিয়ে যান। এই গরমে তাদের আইসক্রিম খাওয়াতে পারেন। অন্তত পক্ষে একটা চকোলেট খাওয়ান। মনে রাখবেন, আজ আপনি বেঁচে না থাকলে আপনার ছোট সন্তান এতিম হয়ে যাবে! আমি ইনশাআলস্নাহ চেষ্টা করব যদি আলস্নাহ সহায়ক হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে