শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

গানে ফেরার আকুতি রিংকুর

বিনোদন রিপোর্ট
  ০৫ মে ২০২৪, ০০:০০
গানে ফেরার আকুতি রিংকুর

ক্লোজআপ ওয়ান সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় লোকগান ও বাউলগান গেয়ে আলোচনায় আসেন মশিউর রহমান রিংকু। ২০০৫ সালের সেই প্রতিযোগিতায় তার অবস্থান ছিল সেরা পাঁচে। এরপর স্টেজ-অ্যালবামে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। একের পর এক গান প্রকাশ করেন। তবে রিংকুভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ হলো, অসুস্থ হয়ে গানের জগৎ থেকে ছিটকে পড়েছেন এই শিল্পী। পর পর চারবার স্ট্রোক করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে ইতালিতে শো করার সময় প্রথমবার স্ট্রোক করেন। এরপর দেশে এসে চিকিৎসা নিয়ে আবারও গান গাওয়া শুরু করেন। কিন্তু ২০১৮ সালে আরেকবার স্ট্রোক করেন। শেষে ২০২০ সালে পর পর দুইবার স্ট্রোক করে শরীরের বাঁ পাশ অবশ হয়ে যায় তার। এরপর তিনি ফিরে যান নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বড় সাওতা গ্রামের নিজ বাড়িতে। ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়েছে তার হাত-পা, তবে গান গাওয়ার মতো শারীরিক সক্ষমতা আসেনি এখনো। চার বছর ধরে চিকিৎসা ব্যয়ে ফুরিয়ে এসেছে সঞ্চিত টাকা। স্বজনদের সহায়তায় চলছে চিকিৎসার খরচ।

বর্তমানে একটু একটু করে সুস্থ হচ্ছেন তিনি। সুস্থ হয়ে আবারও সঙ্গীতজগতে ফিরতে চান রিংকু। তিনি বলেন, একটা সময় স্টেজ মাতিয়েছি। নতুন নতুন গান করেছি। কিন্তু এখন সব বন্ধ। আমাকে অনেকেই ডাকে গানের জন্য। কিন্তু আমি এ অবস্থায় গাইতে চাই না। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন আগের মতো গান গাইতে পারি। জানি আগের মতো গান গাওয়া সম্ভব না। তার পরও চেষ্টা করব। এলাকাবাসীর অনেকেই জানিয়েছেন, যদি এই শিল্পীকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করা হতো, তাহলে ফের আগের মতো সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। উলেস্নখ্য, ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় লালন শাহের 'এসব দেখি কানার হাট-বাজার' গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছিলেন রিংকু। এরপর ধীরে ধীরে তিনি 'পাগলা ঘণ্টা', 'বাউল মন', ও 'জগৎ বন্ধু' নামের অডিও অ্যালবাম বের করেছিলেন। 'বাউল মন' অ্যালবামের 'নারী হয় লজ্জাতে লাল, ফাল্‌গুনে লাল শিমুল বন' গানটি সবাইকে আকৃষ্ট করে। লালনের ১০০ গানের পাশাপাশি নানাস্থানে ছড়িয়ে থাকা লোকগান সংগ্রহ করে কাজ করছেন তিনি। 'সম্পর্ক' নামে একটি গানের প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছিলেন রাজধানীর মগবাজারে। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বড় সাওতা গ্রামের মহসীন আলী মৃধার ছেলে রিংকু। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে