বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে 'নকশিকাঁথার জমিন'। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের 'বিধবাদের কথা' গল্প অবলম্বনে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলে আনা হয়েছে এ সিনেমায়; বানিয়েছেন আকরাম খান। শুক্রবার থেকে দেশের ছয়টি মাল্টিপেস্নক্সে দেখা যাচ্ছে সিনেমাটি। আর এ সিনেমা দিয়েই শেষ হচ্ছে এ বছর। গল্পে দেখা যাবে দুই বোন রাহেলা ও সালেহাকে- যাদের বিয়ে হয় একটি পরিবারের দুই ভাই জবর ও সবরের সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধের সময় জবর যোগ দেন রাজাকার বাহিনীতে, কিন্তু তার ছেলে সাহেবালি যুক্ত হন মুক্তিবাহিনীতে। সবরও যোগ দেন মুক্তিবাহিনীতে, কিন্তু তার ছেলে রাহেলিলস্নাহ নাম লেখান রাজাকার বাহিনীতে। পরিবারের পুরুষদের এই দ্বন্দ্বের মাঝে দুই নারীর নির্বাক প্রতিবাদ আর সংগ্রামের গল্প 'নকশিকাঁথার জমিন'। 'নকশিকাঁথার জমিন' দিয়ে দেশের সিনেমা হলে নয় মাস পর ফিরেছেন জয়া। গত ফেব্রম্নয়ারিতে মুক্তি পেয়েছিল জয়ার 'পেয়ারার সুবাস' সিনেমাটি। ২৫ ডিসেম্বর আয়োজন করা হয়েছিল 'নকশিকাঁথার জমিন'-এর এক বিশেষ প্রদর্শনী। ছবি প্রসঙ্গে জয়া আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে অনেক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই মানুষের গল্প নিয়েই এই ছবি। তাই সাধারণ মানুষ ছবিটা দেখে কী বলছেন, সেটা জানার অপেক্ষায় আছি। যারা দেখেছেন, তারা তো খুব ভালো বলছেন।' ছবিতে দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও ফারিহা শামস সেজুতি, দুই ভাইয়ের চরিত্রে ইরেশ যাকের ও রওনক হাসান। আরও আছেন দিব্য জ্যোতি, সৌম্য জ্যোতি প্রমুখ। 'নকশিকাঁথার জমিন' ছবিটি নিয়ে আশাবাদী জয়া। বিশেষ করে বিজয়ের মাসে সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ায় আনন্দিত এই অভিনেত্রী। এর আগে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে 'নকশিকাঁথার জমিন'। পেয়েছে কিছু পুরস্কারও। তার মধ্যে বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ান কম্পিটিশন বিভাগের পুরস্কার অন্যতম। পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ১৪তম বুসান পিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বেস্ট ফিচার ফিল্মের পুরস্কার। রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিগস্ক্রিন প্রতিযোগিতা বিভাগেও নির্বাচিত হয়েছে ছবিটি। এছাড়া ৫৩তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ায় আইসিএফটি-ইউনেসকো গান্ধী মেডেলের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিল 'নকশিকাঁথার জমিন'।