বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

'কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সমাজে অন্যায্য বোধকে প্রশ্রয় দেয়'

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া সংবিধান ও সাম্যের পরিপন্থি উলেস্নখ করে অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন, এ সুযোগ সমাজে অন্যায্য বোধকে প্রশ্রয় দেয়। অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার যে কাজটি হচ্ছে এটা নীতি না, বরং ব্যতিক্রম।

মঙ্গলবার সকালে নাগরিক পস্ন্যাটফর্মের ভার্চুয়াল সংলাপে এমন মন্তব্য করেছেন বক্তারা। নাগরিক পস্ন্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের উপস্থাপনায় সংলাপে ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

এর প্রেক্ষিতে আলোচকরা বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গীকার, গণতান্ত্রিক চর্চা, তথ্যের অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে ও সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের প্রতিহত করে প্রত্যেককে সৎ কর ব্যবস্থার অধীনে আনতে দাবি জানান।

আলোচনা থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেকর্ড পরিমাণ ১০ হাজার ২২০ কোটি কালো টাকা সাদা হয়েছে।

আলোচনায় ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কালো টাকা সাদা করার অনৈতিক এই সুযোগ দ্রম্নতই বন্ধ করা উচিত। আমরা আশা করব,

\হসাম্য ও উন্নয়নবিরোধী এই সুযোগ আগামী অর্থবছর থেকে বাতিল হবে।

সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেন, স্বাধীনতার আগে থেকেই ক্ষমার নামে নামমাত্র কর প্রদানের সুযোগ ছিল। এতে করে অর্থনীতি কোনোকালেই লাভবান হয়নি। ক্ষমার নামে নামমাত্র কর দিয়ে অবৈধ অর্থ বৈধ না করার সুযোগ বন্ধ করা দরকার।'

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত দুর্নীতিজাত অনুপার্জিত উৎস, উপায় ও উপলক্ষ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করা। তিনি আরও বলেন, কোনো উদীয়মান অর্থনীতিতে উন্নয়ন অর্জনে সফল হওয়ার পর যদি আয় সম্পদ বৈষম্য না কমে বরং বাড়ে তাহলে বুঝতে হবে সেই অর্থনীতিতে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, হুন্ডি ও ট্রেডের মাধ্যমে কালো টাকা বিদেশে পাচার হয়। কিন্তু ট্রেড বেজড মানি লন্ডারিং ঠেকাতে দুদক, রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।

ব্যবসায়ী তাবিথ আওয়াল বলেন, 'প্রতি বছর কালো টাকা সাদা করার দুষ্টচক্র বন্ধে সরকারি প্রতিষ্ঠান কার্যত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।'

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, রাজস্বের পরিমাণ বাড়াতে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন দরকার। কেননা এখনো কর ফাঁকি দিতে পারাটাকে অনেকেই গর্বের বিষয় মনে করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে