চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) জন্য জমি অধিগ্রহণের যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। 'জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে আমার বা আমার পরিবারের আর্থিক কোনো সম্পর্ক নেই' বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 'এ নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে' বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এ বিষয়ে কথা বলতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'রাজনৈতিক সুবিধা নিতে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। একটি
\হকুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি দলীয় দপ্তর ও সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
চাঁদপুরে সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের আগেই সেখানকার সাড়ে ৬২ একর জমি মৌজা দরের চেয়ে ২০ গুণ বেশি দাম দেখিয়ে দলিল করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের কাছ থেকে ৩৫৯ কোটি টাকা বাড়তি নেওয়ার এ কারসাজিতে জড়িত ব্যক্তিরা শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ঘনিষ্ঠ ও তার নিকটাত্মীয়ও রয়েছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও সংবাদ পরিবেশন হয়।
দীপু মনি বলেন, 'চাঁদপুরে আমার ক্রয়সূত্রে কোনো জমি নেই। পৈতৃক সূত্রে থাকতে পারে। আমার কাছে যা তথ্যপ্রমাণ আছে, তা থেকে বলতে পারি আমার বড় ভাই অধিগ্রহণের আগেই বিক্রি করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই জায়গায় আমার বা পরিবারের কারও জমি নেই। রাজনৈতিক কোনো সহকর্মীর জমি থাকতে পারে।'
তিনি বলেন, 'আমার পরিবারের কেউ কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তবে অন্য কেউ দুর্নীতি করেছে কি না- তা তদন্ত করে দেখা উচিত এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd