খেলার মাঠকে পস্নট আকারে বরাদ্দ দিয়ে ভবন নির্মাণ করা যাবে না মন্তব্য করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য শহর গড়তে মাঠ ও পার্কের বিকল্প নেই।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে জলস্নাদখানা বধ্যভূমিতে এসটিএস গ্রাফিটি আর্ট ওয়ার্ক এবং 'মুক্তির সবুজায়ন' শীর্ষক বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আতিকুল বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন আমাদের শত্রম্ন ছিল, ঠিক তেমনই এখন মাঠ, পার্ক ও খালের জমি দখলদাররা আমাদের শত্রম্ন। এসব ভূমিদসু্যদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতে হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মঞ্চে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা
\হজানান। মেয়র বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা, পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমি মেয়র, তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা কাউন্সিলর ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হতে পেরেছি। তাই সবার আগে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পাবেন, তারপর অন্যরা।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, মিরপুরের জলস্নাদখানা বধ্যভূমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। এখানে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তাক্ত ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত জলস্নাদখানা বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।
মাঠ ও পার্ক নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে উলেস্নখ করে আতিকুল জলস্নাদখানা বধ্যভূমিতে কোনো ধরনের যানবাহন পার্কিং করে জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি না করতেও হুঁশিয়ারি দেন।
ডিএনসিসির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহুরুল ইসলাম মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপস্নব বড়ুয়া, ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান ও মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমেদ ও শক্তি ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।