শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

খেজুরের দাম বেঁধে দিল সরকার

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
খেজুরের দাম বেঁধে দিল সরকার

দেশে আমদানিকৃত খেজুরের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অতি সাধারণ খেজুর ১৬৫ ও বহুল চাহিদার জাইদি খেজুরের দাম ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েও এ মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দেশে আমদানিকৃত বিভিন্ন খেজুরের আমদানি মূল্য, আরোপিত শুল্ক ও করাদি এবং আমদানিকারকদের অন্যান্য খরচ বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খেজুরের মানভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা, বহুল চাহিদার জাইদি খেজুর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যে খেজুর বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এ চিঠির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১০ মার্চ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান জানিয়েছিলেন, রোজাদারদের স্বস্তি

দিতে দুই-এক দিনের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জিহাদি খেজুরের দাম বেঁধে দেবে। পাশাপাশি আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নজরদারির মধ্যে রাখা হবে অন্যান্য খেজুরও।

পেঁয়াজের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত

আসছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

এদিকে, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, 'পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারত থেকে অনুমোদন পেয়েছি। এখন দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। দুয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের বিষয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'পেঁয়াজের শুল্ক বাংলাদেশের জন্য ৮০০ ডলার, আর যুক্তরাজ্যের জন্য এক হাজার ২০০ ডলার। আমাদের সিনিয়র সেক্রেটারি গত তিন দিন ধরে দাম কমাতে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন, আলোচনা করছেন। দুয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।'

তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বাধাগুলো আমি চাইলেই সবকিছু নিরসন করতে পারি না। তবে আমাদের উদ্যোগ, চেষ্টা ও এর সফলতা আছে। পেঁয়াজ রপ্তানিতে মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ভারত, তারপরেও তারা রাজি হয়েছে। সামনে তাদের দেশে নির্বাচন, সেটাও দেখতে হবে। তাদের ভোক্তা বাজার আছে, সেটা মাথায় রাখতে হবে। সবকিছু বিবেচনা করে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের অনুমোদন আমরা পেয়েছি। হয় আমরা সরকারিভাবে জি টু জি আনব, অথবা আমাদের আমদানিকারকদের অনুমোদন দেব। যত দ্রম্নত সম্ভব বাজারে যাতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা করব।'

চিনি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'খোলা বাজারের চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। তারা আমাদের কথা দিয়েছে, তাদের যথেষ্ট মজুত আছে। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না। সেটা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। রমজানে চিনির দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।'

তিনি বলেন, 'ভারতের সঙ্গেও আমাদের কথা চলছে। সেখানেও অগ্রগতি হতে পারে। দাম সব জায়গায়ই বেশি। আমি যদি ডলারে কনভার্ট করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও চিনি আমদানি করি, তাহলেও দাম কম পড়বে না। পাঁচ টাকা হয়ত এদিক-ওদিক হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী। আমরা চাচ্ছি, চিনির দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে। যে দাম আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি, রোজার মাসে চিনির দাম একই থাকবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে