সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

'খাবার অপচয় বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি'

যাযাদি ডেস্ক
  ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
প্রতিদিন ১শ' কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হয়

বিশ্বজুড়ে ২০২২ সালে প্রতিদিন ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হয়েছে। বেশির ভাগ খাবার অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে। বুধবার জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উলেস্নখ করা হয়েছে 'বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি' হিসেবে।

জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে দিনে ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার অপচয় হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে আসা উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।

এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসন বলেন, 'খাবার অপচয় বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি।'

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের অপচয়ের ঘটনা নৈতিক নয়; বরং 'পরিবেশগত ব্যর্থতা'। উড়োজাহাজ চলাচল থেকে নিঃসরিত কার্বন যতটা না বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াচ্ছে, এর থেকে পাঁচ গুণ উষ্ণতা বাড়াচ্ছে খাদ্যবর্জ্য।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডবিস্নউআরএপি। খাবার অপচয় নিয়ে এটি এ পর্যন্ত সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করেছে।

ডবিস্নউআরএপির কর্মকর্তা রিচার্ড সোয়ানেল বলেন, 'এটা আমাকে হতভম্ব করে দিয়েছে। আসলে প্রতিবছর দিনে এক

বেলায় যত খাবার নষ্ট হয়, শুধু তা দিয়েই বর্তমানে অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষের সবাইকে খাওয়ানো সম্ভব।'

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।

সোয়ানেল মনে করেন, এ ধরনের অপচয় হওয়ার বড় কারণ, মানুষ তাদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কিনছে। এ ছাড়া তারা কতটুকু খেতে পারবে তার আন্দাজ করতে পারছে না। এতে খাবার উচ্ছিষ্ট থেকে যাচ্ছে।

সোয়ানেল আরেকটি বিষয়ের কথা বলেছেন, তা হলো- মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ। উৎপাদিত খাবার নষ্ট হচ্ছে কারণ, মানুষ ভুলবশত ধারণা করে যে, তাদের খাবারের মেয়াদ নেই।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রচুর খাদ্য অযথাই অপচয় হয়নি; বরং এগুলো পরিবহণের সময় কিংবা রেফ্রিজারেটরের অভাবে নষ্ট হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে