সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অতি গরমে বাড়ে অপরিণত শিশু জন্মের ঝুঁকি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় গাইডলাইন প্রকাশ
যাযাদি রিপোর্ট
  ০৬ মে ২০২৪, ০০:০০
অতি গরমে বাড়ে অপরিণত শিশু জন্মের ঝুঁকি

তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধিতে অপরিণত শিশু জন্মের ঝুঁকি ৫ শতাংশ বাড়ে। সাধারণ তাপপ্রবাহের তুলনায় অতি তাপপ্রবাহের সময় এই হার ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। দেশে অপরিণত শিশু জন্মের হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬ দশমিক ২ শতাংশ। তাপপ্রবাহে এ হার আরও বাড়ে। তাপপ্রবাহ যত বাড়বে অপরিণত শিশু জন্মের ঝুঁকিও তত বাড়বে। এমন পরিস্থিতিতে শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে উচ্চ তাপজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে করণীয় ও চিকিৎসায় দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রোববার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জাতীয় গাইডলাইনের উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। নীতিমালা তৈরিতে সার্বিক সহযোগিতা করেছে ইউনিসেফ।

জাতীয় গাইডলাইন উন্মোচন অনুষ্ঠানে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশের গত কয়েকদিনের যে পরিমাণ তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল তাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল। তাপপ্রবাহ যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে তখনই নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। এটি সময় উপযোগী একটি নির্দেশিকা, যা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নীতিমালার আলোকে চিকিৎসকদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।'

ইউনিসেফের দেওয়া তথ্যমতে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের মোট শিশুর ৯৯ শতাংশ বা ৩ কোটি ৫৫ লাখ প্রচন্ড তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হবে। এই সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় উলেস্নখযোগ্য মাত্রায় বেশি। ২০২০ সালে মাত্র ২৬ লাখ শিশু, যা দেশের মোট শিশুর ৫ শতাংশ, এই ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছিল।

ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতি তিন শিশুর একজন বা প্রায় ২ কোটি শিশু প্রতিদিন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহ, বন্যা, নদী ভাঙন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশগত অভিঘাতের মতো

বিরূপ আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে শিশুরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী ফ্লোরা তাপপ্রবাহ স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় জাতীয় নীতিমালাড়ংলো উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, 'জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো এবং গরমজনিত স্বাস্থ্য উদ্যোগে মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত কারতে হবে। বৃহত্তর কমিউনিটি হাসপাতালে ও জনসাধারণের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যম ও তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠনের মাধ্যমে এই নীতিমালা বা গাইডলাইন সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে।'

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডিপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রিংহাম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে