সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা আরও বাড়ানোর পক্ষে সায় না দিলেও বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া সীমা শিথিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে- তিনবার নয়, একজন চাকরিপ্রার্থী সর্বোচ্চ চারবার বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে পারবে।
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের 'সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর আলোকে 'বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ বিধি সংশোধন করে একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ চারবার বিসিএস পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ তৈরি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশের খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তাতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করা হয়। ওই বৈঠকেই চাকরিবিধি পরিবর্তন করে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিনবারের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা
৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারীরা তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে আবারও রাস্তায় নামে। দুদিন আগে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষও হয়।
বুধবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ওই ঘটনার পর 'আরও মার খেয়ে হলেও' দাবি আদায়ের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এমন প্রেক্ষাপটে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়স আরও বাড়ানো হয়নি।