মাছ-মুরগি-ডিমের দাম বাড়তে থাকায় বেশ আগেই নিম্নবিত্তের খাদ্য তালিকা থেকে স্বল্পদামের প্রোটিনজাত খাদ্য একরকম বাদ পড়েছে। ভাত-রুটির সঙ্গে অল্পদামি সবজি আর পাতলা ডালই অধিকাংশ পরিবারের নিত্য আহার্য হয়ে উঠেছে। এরইমধ্যে এবার সরু চালের সঙ্গে পালস্না দিয়ে মোটা চালের দামও হু হু করে বাড়তে থাকায় টান পড়েছে স্বল্পআয়ের মানুষের ভাতের থালায়। নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে কেবল তিন বেলা ভাত জোটানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। ছক বাঁধা খাবারে চালিয়ে নিতেই কমে আসছে জীবনের আঁচ।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েক মাস আগেও নিম্নআয়ের মানুষ কেজিপ্রতি ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় যে লাল আমন চাল কিনেছেন, তা এখন ৬৯ থেকে ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। মাঝারি মানের ব্রি-২৮ চালের কেজি এখন ৬২ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগে ৫৮ টাকা ছিল। মানভেদে মোটা স্বর্ণা চাল বর্তমানে ৫২-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৫০-৫৫ টাকা ছিল।
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে মিনিকেট চালের দাম ১৭ ভাগ বেড়েছে। একই সময়ে পাইজামের দাম বেড়েছে ১৫ ভাগ এবং মোটা চালের ক্ষেত্রে ৩০ ভাগ। অর্থাৎ মুনাফাখোররা বেশি লাভ সেখানে করছে, যে পণ্য গরিব ও মধ্যবিত্তরা ব্যবহার করে এবং বাজারে বেশি বিক্রি হয়। যা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। এক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থায়ও দুর্বলতা দেখা গেছে।
অর্থনীতিবিদদের ভাষ্য, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা সরকারের জন্য বড় ধরনের ব্যর্থতা। ২০১৯ সাল থেকে খাদ্যমূল্য বিবেচনা করলে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক। আয় কম, কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়। যার ভুক্তভোগী গরিব ও সাধারণ মানুষ। ধনী ও গরিবের বৈষম্য বেড়েছে। গরিবের আয় বাড়েনি। জিডিপিতে জাতীয় আয় বাড়ছে। কিন্তু কর্মসংস্থানের ভূমিকা রাখতে পারছে না।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরো (বিবিএস), ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজু্যমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তথ্য-উপাত্ত বলছে, একই সময়ে শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। তবে এই বাড়তি আয় নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার বাড়তি ব্যয়ে।
চাল, ডাল ও তেলের দামে অস্বস্তি আগে থেকেই ছিল। এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে পেঁয়াজ, আটা, ময়দা, মুরগি, ডিমসহ আরও কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। বেড়েছে তেল, সাবান ও টুথপেস্টের মতো নিত্যব্যবহার্য সামগ্রীর দামও।
বাজার পর্যবেক্ষকরা জানান, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চালে প্রকারভেদে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৬ টাকা। খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন এবং নিম্ন মধ্যম আয়ের মানুষেরা। চালের বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রশাসনের মজুতবিরোধী অভিযান প্রয়োজন বলে মনে করছেন খুচরা চাল ব্যবসায়ী এবং ভোক্তারা।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ডলার রেট বৃদ্ধি এবং বড় কোম্পানিগুলোর ধান মজুত করে রাখার কারণে পাইকারি বাজাওে মোটা চালের দাম ২-৪ টাকা করে বেড়েছে। চালের দাম বাড়ায় কমেছে বেচাকেনা।
পাড়া-মহলস্নার খুচরা দোকানিরা জানান, আগে যেসব ক্রেতা সপ্তাহে ৫ কেজি চাল কিনতেন, তারা খরচ সমন্বয় করতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ কেজি চাল কিনছেন। নিম্নমধ্যবিত্ত যেসব মানুষ কিছুদিন আগেও মাঝারি মানের চাল কিনেছেন, তারাও এখন মোটা চাল কিনছেন।
এদিকে দিনাজপুর, নওগাঁ ও কুষ্টিয়াসহ প্রায় প্রতিটি জেলাতেই সব ধরণের চালের দাম বাড়লেও জেলা প্রশাসনসহ বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা অন্যান্য সংস্থাগুলোর তৎপরতা আগের মতই ঢিলেঢালাই রয়ে গেছে। কোথাও কোথাও লোকদেখানো তদারকি হলেও অবৈধ মজুতদার ও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ী, আড়াতদার কিংবা মিল মালিকদে বিরুদ্ধে দৃশ্যমান শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো নজির নেই। এ কারণে তারা দিনে দিনে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
অথচ খোদ চাল ব্যবসায়ীরাই আকস্মিক চালের দাম এক লাফে ৪-৫ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য মিলারদের দায়ি করেছেন। তাদের ভাষ্য, কিছু মিলার সিন্ডিকেট করে চাল মজুত করে রাখছেন। মিলগুলোতে অভিযান চালালে চালের দাম কিছুটা কমে আসবে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, বড় কোম্পানি এবং বড় মিলাররা এখন চাল ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা ধান কিনে স্টকে রাখছে এবং ইচ্ছামতো দাম বাড়ায়ে বিক্রি করছে। সরকারের নিয়ম আছে তিন মাসের বেশি ধান কিনে স্টকে রাখতে পারবে না। অথচ গত কয়েক মাস থেকে স্টক বিরোধী অভিযানগুলো আর পরিচালনা হচ্ছে না। যার জন্য বাজার অস্থিতিশীল। বাজার মনিটরিং বাড়ানো গেলে চাল বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
যদিও চালকল মালিকদের অজুহাত, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিদেশ থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিলেও সেটিও কার্যকর হচ্ছে না। ডলার রেট বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দেশগুলো সেভাবে তাদের ওপর ভরসা করতে পারছে না। যার জন্য ব্যবসা পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না। শতভাগ মূল্য পরিশোধ ছাড়া বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা যাচ্ছে না। এই কারণে চালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি বেড়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তার মোড় এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক জাহাঙ্গীরের সঙ্গে। ফুটপাতের খাবারের দোকানে এক পেস্নট ভাতের সঙ্গে কেবল পুঁইশাকের তরকারি দিয়ে খাচ্ছিলেন তিনি। আর কিছু নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'জিনিসপত্রের যে দাম তাতে আর কিছু নেওয়ার কোনো সামর্থ্য নেই। প্রতিদিন এগুলোই খাই।'
শেষ কবে মাছ-মাংস খেয়েছেন-জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর জানান, টানা ৩ মাস ধরে তিনি মাছ-মাংস খাননি। পরিবারের জন্যও এ সময় প্রোটিনজাতীয় কোনো খাবার কেনেননি।
রিকশাচালক জাহাঙ্গীরের অভিযোগ, হোটেলে আগে এক পেস্নটে যে ভাত দিত, এখন দেড় পেস্নটেও সেই পরিমাণ ভাত মিলছে না। চালের মানও আগের চেয়ে কমেছে।
হোটেল মালিক আনোয়ারা বেগমও এসব অভিযোগ সত্য বলে নিঃসংকোচে মেনে নিয়েছেন। তার ভাষ্য, মোটা চালের দাম কেজিতে ৩/৪ টাকা বেড়েছে। তবে ভাতের পেস্নটের দাম একই রয়েছে। তাই ভাতের পরিমাণ সামান্য কমিয়ে দিয়ে পুষিয়ে নিতে হচ্ছে। আগের দামে কিনতে গিয়ে কিছুটা নিম্নমানের চাল নিতে হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
মধুবাগের রাস্তা সংলগ্ন একটি নিম্নমানের হোটেলে ফুলকপি-সিমের ঘন্ট নিয়ে ভাত খাচ্ছিলেন ফুটপাতের হকার সাঈদ মিয়া। তিনি জানান, স্ত্রী-সন্তানসহ ৫ জনের পরিবার নিয়ে মীরবাগ ঝিলবস্তি এলাকায় থাকেন তিনি। ফুটপাতে দোকানদারি করে প্রতিদিন আয় করেন ৪ থেকে ৫শ' টাকার মতো। এরমধ্যে নানা ধরণের চাঁদা দিতে হয় দেড়শ' টাকা। বাকি টাকা দিয়ে চাল-ডাল-তেল-সবজি কিনতেই হিমসিম খেতে হয়। তাই মাছ-মাংস খাওয়া এখন তাদের কাছে স্বপ্ন হয়ে উঠেছে। আগে মাসে একদিন ফার্মের মুরগি খাওয়া হলেও এর দামও কেজি ৪০-৫০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় তা কেনার সামর্থ্যও হারিয়েছে।
সাঈদ মিয়ার ভাষ্য, টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য নিতে যে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়, তাতে ঘরে বেকার কেউ না থাকলে কর্মজীবী মানুষের পক্ষে তা নেওয়া অসম্ভব। এতে লাভের চেয়ে লোকশানই বেশি হয়। টিসিবির ট্রাক সেল না বাড়িয়ে নূ্যনতম গরীবের মোটা চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখলে তারা দু'মুঠো খেয়ে বাঁচতে পারতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাচ্ছে। শুধু আমদানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নয়; দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে। জিনিসপত্রের বাড়তি দাম মানুষের ওপর বোঝা হয়ে যাচ্ছে।
মূল্যস্ফীতির চাপ সাধারণ মানুষের খরচ কত বাড়িয়ে দিয়েছে, সম্প্রতি তার একটি হিসাব দিয়েছে সিপিডি। এতে বলা হয়, মাছ-মাংস না খেয়েও ঢাকা শহরের ৪ সদস্যের একটি পরিবারকে এখন খাবার কিনতে মাসে গড়ে ৯ হাজার ৫৯ টাকা খরচ করতে হয়। মাছ-মাংস খেলে ওই পরিবারের খাবারে খরচ হয় ২২ হাজার ৪২১ টাকা। খাবার কেনায় ওইসব পরিবারের খাবার খরচ ২৭ থেকে ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।
বাজার পর্যবেক্ষকরা জানান, দেশে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মোটা ও মাঝারি চাল কেনে। আগে দেশীয় উৎপাদন মৌসুমের শুরুতে কিংবা আমদানি হলে চালের দাম কমত। কিন্তু এখন মৌসুম বা আমদানি কোনোটির প্রভাবেই চালের দামে অতটা তারতম্য হয় না। সম্প্রতি ভারত রফতানি শর্ত ও শুল্ক তুলে নেয়ার পাশাপাশি দুই দফায় চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চাল আমদানিতে ২৫ শতাংশের স্থলে মাত্র ২ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে ব্যবসায়ীদের। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের পরও পাইকারি বাজারে পণ্যটির দামে কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি, উল্টো ১০ দিনের ব্যবধানে মোটা ও মাঝারি চালের দাম বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে।
সরকারের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে দেশে মোটা চালের দাম ৫৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ২০২০ সালের মার্চে মোটা চালের গড় দাম ছিল ৩১ টাকা ৪৬ পয়সা। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯ টাকা ১১ পয়সায়।
মোটা চালের মূল্যবৃদ্ধির চিত্র পাওয়া যায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৪-৪৫ টাকায়। এ বছর একই সময় একই চাল বিক্রি হয়েছে ৫২-৫৫ টাকায়। ঢাকার বাইরে প্রান্তিক অঞ্চলগুলোয় পরিবহন খরচ ও মজুদপ্রবণতার কারণে এ দাম ছিল আরো বেশি।
খাদ্যশস্য আমদানিকারকদেও ভাষ্য, সাধারণ মানুষের মধ্যে খাদ্যশস্য হিসেবে চালের চাহিদা বেড়েছে। তবে মধ্য ও উচ্চবিত্তদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এবং একাধিক বিকল্পের কারণে চিকন চালের বাজারে তেমন অস্থিরতা নেই। মোটা চালের চাহিদা বেশি থাকায় সরবরাহ চেইনে একটু ঘাটতি দেখা দিলেই দাম বাড়তে থাকে।
তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, শুধু মোটা চালই নয়, সব ধরণের চালের দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে সুনির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও এব্যাপারে সরাসরি কঠোর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অতীতেও একই কারণে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়নি বলে জানান তারা।
চালের দাম বাড়ার নেপথ্যে মোটা দাগে যেসব কারণ রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- ধানের অসাধু মজুতদার ও অটো রাইস মালিকদের বেশি মজুত রাখার প্রবণতা, পালস্নাপালিস্ন দিয়ে মিলারের ধান মিলারদের কিনে নেওয়া, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া, তীব্র শীতে মিলগুলোতে শ্রমিক সংকট, স্থানীয় বাজারে সব ধরনের ধানের দাম বেড়ে যাওয়া ও পরিবহনের সময় পথে পথে চাঁদাবাজি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে নিয়মিত চালের বাজার তদারকি বাড়াতে হবে। এছাড়া জেলার বাজার পর্যায়ে তদারকি বিস্তৃত করা, অবৈধ ধান ও চালের মজুতদারদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো, অবৈধ মজুতকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান, অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া এবং চালের দাম বাড়ানোর সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে তৎপরতা বাড়াতে হবে।
##########