বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সচিবালয়ে আগুনে উদ্বিগ্ন বিএনপি

যাযাদি ডেস্ক
  ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সচিবালয়ে আগুনে উদ্বিগ্ন বিএনপি

রাজধানীর সচিবালয়ের মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তামূলক স্থানে বুধবার মধ্যরাতে আগুন লাগা এবং আগুনে একজনের মৃতু্য ও ২-৩ জন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। উদ্বেগ এবং হতাহতদের জন্য শোক ও সহানুভুতি প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর ভবনে ভয়াবহ আগুন এবং আগুনে একজনের মৃতু্য ও ২-৩ জন আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ভস্মীভূত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের অগ্নিকান্ডে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়া অস্বাভাবিক নয়।

1

মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমি সচিবালয়ে অগ্নিকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি করছি। নিহতের পরিবারসহ আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জোর আহবান জানাচ্ছি।'

১২ দলীয় জোট

এদিকে সচিবালয়ের আগুনের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে 'দেশবিরোধী অপতৎপরতা,সাবেক কাউন্সিলরদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর' দাবিতে তিনি এসব কথা বলেন। মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, 'আমাদের ছাত্র সমাজ, রাজনৈতিক সমাজ আজ দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে। সময় এসেছে, জুলাইয়ের চাইতেও কঠিন ও শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই- আমরা আপনাদের শত্রম্ন নই। কিন্তু আপনারা যদি জনগণের পালস বুঝতে ব্যর্থ হন, তাহলে ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।'

তিনি বলেন, 'আমাদের সংগ্রামী চেতনার কোথায় যেন চিড় ধরেছে, বিভ্রান্তি তৈরি করার অপচেষ্টা চলছে। শেখ হাসিনার পতনের পর যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তৈরি হয়েছে, সে সরকারকে আমরা দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলাম। এখনো তাদের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। কিন্তু সে সরকার এখন একের পর এক ভুল করে চলেছে। আর তাদের এই ভুল জাতীয় ঐক্যে ফাটল তৈরি করছে।'

জুলাই অভু্যত্থান পরবর্তী যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, তা যদি আমরা ধরে রাখতে না পারি, তাহলে জাতীয় ঐক্য বিরোধী শত্রম্নরাই সবচেয়ে বেশি খুশি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, 'আপনারা (অন্তর্র্ব‌তী সরকার) ২৫ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। আমরা আশা করবো, নববর্ষের দিন বক্তব্য দেওয়ার সময় ড. ইউনূস নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।'

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহাসান হাবিব লিংকন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মুহাম্মদ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুজ্জামান, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব ইমরুল কায়েস, লেবার পার্টির মহাসচিব আমিনুল ইসলাম ও কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে