বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস প্রাণহানি বেড়ে ১০

যাযাদি ডেস্ক
  ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস প্রাণহানি বেড়ে ১০
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানল -সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানল বৃহস্পতিবারও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। তবে ঝোড়ো বাতাসের গতি কমে আসায় অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা দাবানল ছড়িয়ে পড়ার গতিও কিছুটা কমাতে পেরেছেন। এর আগের দুই দিনে ঝোড়ো বাতাসের কারণে প্রচন্ড বেগে দাবানল ছড়িয়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেসের পশ্চিমাঞ্চলে স্যান্টা মনিকা ও মালিবুর মধ্যবর্তী প্যালিসেইডস এলাকা এবং পূর্বে পাসাডেনার কাছে ইটন এলাকার দাবানলকে ইতিমধ্যে শহরটির ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক বলে মনে করা হচ্ছে। দাবানলে ইতিমধ্যে সেখানকার প্রায় ৩১ হাজার একর এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

1

এদিকে, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির মেডিকেল পরীক্ষক বলেছেন, দাবানলে প্রাণহানি বেড়ে ১০ জনে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানানো হয়। দাবানলে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, আরও ২ লাখ মানুষকে সতর্কতার আওতায় রাখা হয়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেসের শেরিফ রবার্ট লুনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। দাবানলের কারণে শুধু ইটন এলাকাতেই চার-পাঁচ হাজার অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। কর্মকর্তাদের বরাতে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যালিসেইডসের দাবানলে আরও ৫ হাজার ৩০০ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অ্যান্টনি ম্যারন বলেছেন, দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসার পর মানুষের দেহাবশেষ শনাক্তকারী দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে তলস্নাশি চালাবে।

বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা একিউওয়েদারের হিসাব অনুসারে, দাবানলে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার থেকে ১৫ হাজার কোটি ডলারের মতো আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

৬ হাজার কোটি ডলারের ক্ষতির শঙ্কা:যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে শহরে ৫ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হতে পারে। আবহাওয়াবিষয়ক ওয়েবসাইট আকুওয়েদারের হিসাবে এই তথ্য উঠে এসেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেসের বিস্তীর্ণ এলাকা। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে হাজারো বাড়ি-গাড়ি। এখন পর্যন্ত অন্তত ৫ জনের মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ হয়েছেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল হতে যাচ্ছে এটি।

লস অ্যাঞ্জেলেসের পাঁচটি কাউন্টিতে জ্বলতে থাকা এ দাবানল নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। দমকা বাতাসে আগুন নেভানোর চেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। বাতাসে আগুন আরও বেড়ে যাচ্ছে। দাবানল এত দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়ছে যে, যতটুকু নেভানো সম্ভব হচ্ছে, একই সময়ে তার চেয়ে অনেক বড় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।

এর মধ্যে দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ২৭ হাজার একর জায়গা। এই এলাকার একটি জিনিসও রক্ষা পায়নি। বুধবার হলিউড হিলসে শুরু হওয়া এই দাবানলের শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে হলিউডের নামী-দামী তারকারাও।

তীব্র বাতাস ও পানি সংকট: ঘটনাস্থলগুলোতে প্রবল বাতাস অগ্নিনির্বাপণের চেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করছে। প্যাসিফিক পালিসেডস এলাকায় পানির অভাবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস পানি ও বিদু্যৎ বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, তিনটি বড় পানির ট্যাংকের মজুত শেষ হওয়ায় অনেক হাইড্র্যান্ট শুকিয়ে গেছে।

কোথায় কোথায় ছড়িয়েছে:লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির কয়েকটি জায়গায় দাবানল ছড়িয়েছে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে জ্বলন্ত পাহাড়ের ওপর উড়োজাহাজ থেকে পানি ফেলতে শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বিবিসির খবরে জানা যায়, এ পর্যন্ত কেনেথ, হার্স্ট, লিডিয়া, ইটন ও প্যালিসাইডস অঞ্চলে দাবানলের আগুন ছড়িয়েছে।

ঐতিহাসিক স্থান হুমকিতে:লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অ্যান্টনি ম্যারন বলেন, ইটন এলাকার দাবানল মাউন্ট উইলসন অবজারভেটরির মাঠ পর্যন্ত ছড়িয়েছে। এটি এমন একটি জায়গা, যেখান থেকে এক শতাব্দী আগে এডউইন হাবল মিল্কিওয়ের বাইরে ছায়াপথের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন, মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকা প্যাসিফিক প্যালিসেইডসে অনেক তারকার বসবাস। সেখানকার বাড়িঘরগুলো আগুনে পুড়ে গেছে।

তারকারা সহায়তা দিচ্ছেন:দাবানলে ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়া মানুষদের দলে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন তারকাও আছেন। তাঁদেরই একজন অভিনেতা জেমি লি কার্টিস। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ত্রাণ কার্যক্রমে তাঁর পরিবার ১০ লাখ ডলার অনুদান দেবে।

স্পেনের বংশোদ্ভূত মার্কিন শেফ হোসে আন্দ্রেস বিশ্বজুড়ে দুর্যোগকবলিত মানুষদের মধ্যে বিনা মূল্যে খাবার পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন। দাবানলকবলিত মানুষদের সহায়তায়ও এগিয়ে এসেছেন তিনি। প্যালিসেইডসে দাবানলকবলিত এলাকার কাছে প্যাসিফিক কোস্ট হাইওয়েতে একটি খাবারের ট্রাক বসিয়েছেন। তিনি বলেন, 'এই মুহূর্তে ধনী কিংবা গরিব্তসবারই সহায়তা ও ভালোবাসা প্রয়োজন।'

জেনিফার অ্যানিস্টন, ব্র্যাডলি কুপার, টম হ্যাঙ্কস, বেন অ্যাফ্লেক, মাইকেল কিটন, অ্যাডাম স্যান্ডলারসহ অনেক সেলিব্রিটির বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই এখন ঘরহারা। অভিনেত্রী ও মডেল প্যারিস হিলটনও দাবানলের জেরে গৃহহারা হয়েছেন।

পরিস্থিতি এখনো বিপজ্জনক:ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, এই সংকট মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে।

ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের অন্যতম বিলাসবহুল অঞ্চল প্যাসিফিক প্যালিসেডস। এই এলাকাটিতেই বসবাস করেন হলিউড তারকারাসহ কোটি কোটি ডলারের বাড়ি মালিকেরা। ভয়াবহ দাবানলে এই অঞ্চলের অধিকাংশ বাড়ি এরই মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়তে পারেন রিয়েল এস্টেট ও বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে সাশ্রয়ী বীমা খরচ ছিল এই প্যালিসেডসে। কিন্তু এবারের বিপর্যয়ের পর এই 'সস্তা' বীমা খরচে পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের চারপাশে ছড়িয়ে পড়া দাবানল ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হতে পারে। আগুনে লস অ্যাঞ্জেলেসের হাজার হাজার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের উত্তরের পাহাড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। অথচ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্তও দাবানলের শূন্য শতাংশও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

এদিকে বীমা খরচ নিয়ে করা রয়টার্সের এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বাড়ির মূল্যের তুলনায় প্যাসিফিক প্যালিসেডসে বীমার খরচ যুক্তরাষ্ট্রের ৯৭ শতাংশ ডাকঘর এলাকার তুলনায় কম। ২০২৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় গড় বার্ষিক প্রিমিয়াম ছিল ২২০০ ডলার যা অন্য ৩০টি রাজ্যের তুলনায় কম। বীমা চুক্তিতে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ বা দাবী পরিশোধের প্রতিশ্রুতির প্রতিদানে যে অর্থ দেয় তাকে বলা হয় বীমা প্রিমিয়াম।

যে কারণে এতটা ভয়াবহ:যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দাবানল চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়ানো দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি তিন দিনেও, উল্টো ঝড়ের বেগে বাতাসে তা ছড়িয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। পুড়েছে শত শত ঘরবাড়ি, প্রাণ গেছে অন্তত সাতজনের।

ভয়াবহ এই দুর্যোগ মোকাবিলায় রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলেস কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেশী কাউন্টিগুলো থেকেও আনা হচ্ছে আগুন নেভানোর সরঞ্জাম ও কর্মী বাহিনী। এরপরও বাগে আসছে না আগুন।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, কেন এই দাবানল এতটা ভয়াবহ হয়ে উঠলো ও কেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলো? দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস বলছে, দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় ফলে খরা আর প্রবল বাতাসের কারণে দাবানলটি এত দ্রম্নত ছড়াচ্ছে।

তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি লিখেছে, দাবানল এমন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনকেও কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যদিও ঠিক কোন কোন বিষয় এর জন্য দায়ী, সেটি এখনো স্পষ্ট না।

ক্যালিফোর্নিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ডেভিভ অ্যাকুনার মতে, ক্যালিফোর্নিয়া এলাকার ৯৫ শতাংশ দাবানলের শুরুটা হয় মানুষের কারণেই। যদিও এখনকার দাবানলের শুরুটা কীভাবে হয়েছিল, তা স্পষ্ট করেননি সরকারি কর্মকর্তারা।

সান্তা আনা বাতাস:দাবানলের শিখা ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার 'সান্তা আনা বাতাসের' কথা বলা হচ্ছে। মরুভূমির পরিবেশ বা শুষ্ক অঞ্চল থেকে ঘণ্টায় ৯৭ কিলোমিটার গতিতে এই বাতাস বয়ে যায় উপকূলের দিকে। এ বাতাসকে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার বড় কারণ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

সিবিএস লিখেছে, সান্তা আনার এই বাতাসই লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল উসকে দিচ্ছে, যা শত শত বাড়িঘর পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে। গৃহহীন করে দিয়েছে লাখো মানুষকে।

শুষ্ক আর উষ্ণ সান্তা আনা বাতাস বেশ শক্তিশালী। যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা, উটাহ ও ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের শুকনো এলাকা থেকে এটি উড়ে আসে।

সান্তা আনার বায়ু স্বাভাবিকভাবেই উষ্ণ। কারণ সেটি 'গ্রেট বেসিনে' মরুভূমি মতো পরিবেশে সৃষ্টি হয়। ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির পরিবেশ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যালেক্স হল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে সান্তা আনা বাতাসকে প্রভাবিত করছে, সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন। তবে উষ্ণ তাপমাত্রা আগুনের আকার বাড়িয়ে দেয়।

এদিকে, খরা ও প্রবল বাতাস দাবানল উসকে দিলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনও এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের বড় একটি কারণ। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে বড় দাবানলের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্পর্ক রয়েছে।

ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন যেমন অতিরিক্ত তাপ, খরা, উষ্ণ বায়ুমন্ডল যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে বড় ধরনের দাবানলের মূল কারণগুলোর একটি। আর উষ্ণ গ্রীষ্ম ও বৃষ্টির অভাবে খরার কারণে বিশেষত ক্যালিফোর্নিয়ার অবস্থা শোচনীয়।

দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলের সময় ধরা হয়ে থাকে সাধারণত মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। তবে এ অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউজম এর আগে বলেন, দাবানল আমাদের জন্য বহুবর্ষজীবী বা দীর্ঘ সময়ের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর কোনো মৌসুম নেই।##

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে