রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
বিভাগীয় শহরে হাই কোর্ট বেঞ্চ গঠনের সুপারিশ

বাংলাদেশকে চার প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ

জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার প্রতিবেদন জমা
যাযাদি রিপোর্ট
  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বাংলাদেশকে চার প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বুধবার জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী (বায়ে) ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান (ডানে) প্রতিবেদন জমা দেন - ফোকাস বাংলা

দেশকে ৪টি প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেন কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। পরে যমুনার লনে দুই কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ব্রিফিং করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সেখানে উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশকে ৪টি প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কুমিলস্না ও ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশও করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গ্রেটার ঢাকা ক্যাপিটাল সিটি গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন।

এ ছাড়া ইমিগ্রেশনের জন্য পুলিশের আলাদা ইউনিট গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। পাবলিক সার্ভিস পৃথক করে ৩টি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা থাকবেন মাঠে সচিবালয় চলবে 'এসইএসে' এদিকে, বিদ্যমান বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারকে 'বাংলাদেশ প্রশাসনিক সার্ভিস' করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এই ক্যাডার সার্ভিসের পদগুলো মাঠ প্রশাসনেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আর সচিবালয় চলবে সব সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত 'সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস)'-এর কর্মকর্তাদের দিয়ে। এখানে উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদের কর্মকর্তারা থাকবেন। 'এসইএসে' উপসচিব পদে প্রশাসনের জন্য ৫০ শতাংশ এবং অন্য সার্ভিসের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখা হবে।

সুপারিশ অনুযায়ী, মাঠপর্যায়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের শুরুর পদের নাম এখনকার মতো সহকারী কমিশনার। মাঠপর্যায়ে তাঁদের শীর্ষ পদ হবে বিভাগীয় কমিশনার; যাঁদের পদমর্যাদা হবে গ্রেড-১; যা সচিবের সমান। তবে এই সার্ভিসের জন্য একটি শীর্ষ পদ থাকবে, নাম হবে 'প্রধান কমিশনার'; যিনি বিশেষ গ্রেড পাবেন; যা মুখ্য সচিবের সমান। এর সঙ্গে মিল রেখে অন্যান্য সার্ভিসের জন্যও ভিন্ন নামে পদ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

বিসিএসের আওতায় বিদ্যমান একীভূত 'ক্যাডার সার্ভিস' বাতিল করে সার্ভিসের ধরন অনুযায়ী আলাদা নামকরণের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান ২৬টি ক্যাডারকে কমিয়ে ১৩টি প্রধান সার্ভিসে বিভক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সার্ভিসগুলোর পদসোপান কেমন হবে, তাুও উলেস্নখ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রশাসন সার্ভিসের শুরুর পদ হবে সহকারী কমিশনার। তারপর পর্যায়ক্রমে জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও উপজেলা কমিশনার (এখনকার ইউএনও), যাঁদের বেতন গ্রেড হবে ৬; তারপর অতিরিক্ত জেলা কমিশনার (এখনকার এডিসি), যাঁদের বেতন গ্রেড-৫; তারপর জেলা কমিশনার (এখনকার ডিসি), যাঁদের বেতন গ্রেড-৩, অর্থাৎ যুগ্ম সচিবের সমান। বর্তমানে তাঁদের বেতন গ্রেড-৫। তার ওপরের পদ হবে অতিরিক্তি বিভাগীয় কমিশনার, যাঁদের বেতন গ্রেড হবে ২। তারপর বিভাগীয় কমিশনার।

অনুরূপভাবে অন্যান্য সার্ভিসের পদগুলো হবে পর্যায়ক্রমে সহকারী পরিচালক, উপজেলা প্রধান, অতিরিক্ত পরিচালক, পরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও মহাপরিচালক। এর বাইরে প্রতিটি সার্ভিসের জন্য একটি শীর্ষ পদ থাকবে। যেমন 'চিফ অব হেলথ সার্ভিস'। প্রতিটি সার্ভিসের কর্মকর্তারা পরীক্ষার মাধ্যমে ওই সব পদে পদোন্নতি পাবেন।

সব সার্ভিসের কর্মকর্তারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে 'সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস (এসইএস)'-এ নিয়োগ পেতে পারবেন। এই কর্মকর্তারা সচিবালয়ে দায়িত্ব পালন করবেন, যেখানে বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাই সচিবালয় চালাচ্ছেন।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বলছে, প্রশাসন সার্ভিসের যেসব কর্মকর্তা এসইএসে যাওয়ার জন্য পরীক্ষা দেবেন না বা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হবেন, তাঁরাও নিজ সার্ভিসের পদগুলো, অর্থাৎ অতিরিক্ত জেলা কমিশনার, জেলা কমিশনার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার ও প্রধান কমিশনার পদে পদোন্নতির সুযোগ পাবেন।

ডিসির পদবি পরিবর্তন ও মামলা গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ: এদিকে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিদ্যমান পদবি পরিবর্তন করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের নাম 'জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা কমিশনার' এবং ইউএনওর নাম পরিবর্তন করে 'উপজেলা কমিশনার' করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) পদবি পরিবর্তন করে 'অতিরিক্ত জেলা কমিশনার (ভূমি ব্যবস্থাপনা) করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

জেলা কমিশনারকে মামলা গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে বলা হয়, জেলা কমিশনারকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সিআর (কোর্ট রেজিস্ট্রার) মামলা প্রকৃতির অভিযোগগুলো গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করা হলো। তিনি অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য উপজেলার কোনো কর্মকর্তাকে বা সমাজের স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে সালিশি বা তদন্ত করার নির্দেশ দিতে পারবেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হলে থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবেন। পরে মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতে চলে যাবে।

কমিশন বলছে, এর ফলে সাধারণ নাগরিকেরা সহজে মামলা করার সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে সমাজের ছোটখাটো বিরোধ আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হয়ে গেলে আদালতের ওপর অযৌক্তিক মামলার চাপ কমবে। তবে এ ক্ষেত্রে অভিযোগকারী একই বিষয়ে পুনরায় আদালতে যেতে পারবেন না। এ সুপারিশের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ গ্রহণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

'ক্যাপিটাল সিটি সরকার' গঠনের প্রস্তাব:ভারতের রাজধানীর দিলিস্নর মত বাংলাদেশেও 'ঢাকা ক্যাপিটাল সিটি সরকার' গঠনের প্রস্তাব সুপারিশ করেছে জনপ্রশান সংস্কার কমিশন।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, 'ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও টঙ্গী নিয়ে ঢাকা ক্যাপিটাল সিটি সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে সংস্কার কমিশন।' ভারতের দিলিস্নতে এ ধরনের সিটি সরকার ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে।

এদিকে, বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস, স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা, বিভাগীয় শহরে হাই কোর্ট ডিভিশনের স্থায়ী বেঞ্চ, জেলা আদালতকে সম্প্রসারিত করে উপজেলা পর্যায়ে এবং আদালত অঙ্গন দলীয়করণ মুক্ত রাখতে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।

বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদন জমা দেন। এদিন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, ৩৫২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠার জন্যে ৩২টি অধ্যায়ে সার্বিক সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

তিনি বলেন, 'প্রধান দিকটা হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক কিছু বিষয় রয়েছে। এরমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান যে সাংবিধানিক অবস্থা এবং অধস্তন আদালতের সাংবিধানিক অবস্থা নিয়ে বেশকিছু অ্যামেন্ডমেন্ট সাজেস্ট করেছি আমরা স্বাধীনতাকে এনসিউর করার জন্য।'

নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে বেশকিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলে জানান বিচারপতি এমদাদুল হক। তিনি বলেন, 'যাতে স্বচ্ছতার সাথে, দক্ষতার সাথে এবং আন-কোয়েশ্চনেবল ওয়েতে বিচার বিভাগ এবং বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট যারা সহায়ক গোষ্ঠী রয়েছেন, তারা কাজ করতে পারেন, সেজন্য সংস্কার সুপারিশ করেছি। জনবল সেক্ষেত্রে মেইন ওয়ার্কিং ফোর্স রয়েছে।'

মামলা ব্যবস্থাপনায় স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস এবং স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা প্রপোজ করেছি, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করা হোক। যাতে করে উইদাউট অ্যানি এমপস্নয়ার্স এই অ্যাটর্নি সার্ভিসের মেম্বার যারা, তারা কেইসটা কোর্টে প্রেজেন্ট করতে পারে। কোর্টের সামনে যে ম্যাটারিয়ালগুলো প্রডিউস করা হচ্ছে সেগুলো কালেকশনের বড় একটা অংশের দায়িত্ব হচ্ছে বর্তমানে পুলিশের। যেখানে নানা ধরনের ইনফ্লুয়েন্সের অভিযোগ আছে। যে কারণে পুলিশের, তথা টোটাল বিচার প্রক্রিয়ার অ্যাকসেপটিবিলিটি, ক্রেডিবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। এজন্য স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠন করার কথা বলেছি।'

এসব সুপারিশ কার্যকর করতে গেলে বেশকিছু প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন দরকার উলেস্নখ করে সংস্কার কমিশনের এ সদস্য বলেন, 'সেটা হচ্ছে আদালত বিকেন্দ্রীকরণ করা লাগবে। মানুষের দোরগোড়ায় আমরা যদি আদালত ব্যবস্থাকে না পৌঁছাতে পারি তাহলে বিচার বিভাগ কার্যকর হবে। সেজন্য দুটো পরিবর্তন সাজেস্ট করেছি। একটা হচ্ছে- হাই কোর্ট ডিভিশনের স্থায়ী বেঞ্চ গঠন করতে হবে প্রত্যেকটা বিভাগীয় শহরে। এজন্য কন্সটিটিউশন অ্যামেন্ডমেন্ট প্রয়োজন। ডিসট্রিক্ট কোর্টকে আরেকটু সম্প্রসারিত করতে হবে; সেটা উপজেলা পযায়ে আমরা সাজেস্ট করেছি।'

প্রাতিষ্ঠানিক দিক কার্যকর হলে অবকাঠামোগত বা ভৌত অবকাঠামো তৈরির বিষয়টিওে্রপতিবেদনে তুলে ধরেছে কমিশন।

গরীব মানুষ বিচার পায় না মন্তব্য করে বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, 'সেজন্য চলমান আইনগত সহায়তার কাজটা সম্প্রসারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে সবাই যেন (বিচার) পায়। মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও অন্যান্য অসুবিধা নিরসনে বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি কীভাবে বাংলাদেশে কার্যকর করা যায় সেজন্য প্রপোজাল করেছি।'

কমিশনের এ সদস্য বলেন, দলীয়করণ দূর করতে আইনজীবীদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড কীভাবে কোর্টের বাইরে যাতে থাকতে পারে সে বিষয়ে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

আইনি শিক্ষায় মেডিকেলের মতো ভালো শিক্ষার্থীরা যাতে আসে সেজন্য 'সেন্ট্রাল মেকানিজমের' পরামর্শসহ বেশিকিছু প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমার এখতিয়ার

নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ

আদালতের রায়ে চূড়ান্তভাবে দন্ডিত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি বা নির্বাহী বিভাগের ক্ষমা প্রদর্শনের একচ্ছত্র ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সুপারিশ করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এর জন্য একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠা ও সেই বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে ক্ষমা প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা সুপারিশে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে 'রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন' সংক্রান্ত ৬ নম্বর সুপারিশের সার সংক্ষেপে বলা হয়, 'আদালত কর্তৃক চূড়ান্তভাবে দন্ডিত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি বা নির্বাহী বিভাগ কর্তৃক ক্ষমা প্রদর্শনের একচ্ছত্র ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বোর্ড প্রতিষ্ঠা, যার সুপারিশের ভিত্তিতে ক্ষমা প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।'

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার সংক্রান্ত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'কোনো আদালত, ট্রাইবু্যনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো দন্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করার এবং যেকোনো দন্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকবে।'##

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে