শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেহেরপুরে এবার সমলয় পদ্ধতির ধান চাষে লাভবান কৃষক

ম মেহেরপুর প্রতিনিধি
  ২৬ মে ২০২২, ০০:০০

মেহেরপুরে চলতি মৌসুমে বোরো ধান কাটা-মাড়া নিয়ে চাষিদের যখন নাজেহাল চলছে তখন কৃষিকে আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকরণে সমলয় পদ্ধতির ধান চাষিরা নিশ্চিন্তে রয়েছেন। কারণ রোপণ থেকে শুরু করে সব কিছুই হয়েছে মেশিনের মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করে চাষিদের একদিকে সময়, অর্থ ও শ্রম সাশ্রয় হচ্ছে, অন্যদিকে ধানের উৎপাদনও ২০ থেকে ২৫ ভাগ বেশি পাচ্ছে। ফলে আগামীতে সমলয় চাষে ব্যাপক আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।

সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী নবীননগর গ্রামের মাঠে পরীক্ষামূলক সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান রোপণ করা হয় ১৯ জানুয়ারি। বর্তমানে এখন সেই ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষক। প্রচলিত পদ্ধতির চাষাবাদের চেয়ে আধুনিক সমলয় পদ্ধতিতে যন্ত্রের মাধ্যমে চাষাবাদে খরচ অনেক কম, উৎপাদন হচ্ছে বেশি। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ দিবসসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছে সরকার।

চাষিরা জানান, প্রচলিত পদ্ধতির ধান কাটতে বিঘা প্রতি খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। যন্ত্রের সাহায্যে সমলয়ের ধান কাটতে খরচ হচ্ছে ১৫শ' টাকা। প্রচলিত উপায়ে ধান চাষে বিঘা প্রতি উৎপাদন হয় ১৮ থেকে ২২ মণ। সেখানে এই পদ্ধতিতে উৎপাদন হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ মণ। হারভেস্টর মেশিন দিয়ে ঘণ্টায় ৩ বিঘা জমির ধান কাটা যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সামসুল আলম জানান, সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষে কৃষকের সময়, অর্থ ও শ্রম সাশ্রয় হচ্ছে। পাশাপাশি ধানের ফলনও পাচ্ছে ভালো। ফলে এই পদ্ধতির চাষে চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। কৃষকও খুবই খুশি।

জেলা প্রশাসক ডক্টর মুনসুর আলম খাঁন জানান, সমলয় পদ্ধতির ধান চাষে কৃষকের খরচ কমেছে, উৎপাদন বেড়েছে। বর্তমান সরকার কৃষি-বন্ধব সরকার। সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে কাজ তা সমলয় পদ্ধতির চাষে ভালো ভূমিকা রাখছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে