ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগে নতুন যোগ দেওয়া ৪২ জন শিক্ষককে নিয়ে ওরিয়েন্টেশন ও চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা মিলনায়তন হলে শুরু হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর এম লুৎফর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডক্টর নাদির বিন আলী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডক্টর ইসমাইল জবিউলস্নাহ, একাডেমিক এফেয়ার্সের ডিন প্রফেসর ডক্টর মোস্তফা কামাল, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আকতার হোসেন, বাণিজ্য ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর মাসুম ইকবাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট এইচআরডিআইএর উপ-পরিচালক এজাজুর রহমান সজল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর এম লুৎফর রহমান বলেন, 'শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। এটি আর দশটি পেশার মতো নয়। শিক্ষকদের সাধক হতে হয় এবং ব্রতচারী হতে হয়।' জ্ঞান সাধনাকে জীবনের ব্রত করে এই পেশায় যারা যুক্ত হলেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানান তিনি।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'শিক্ষকদের জ্ঞানপিপাসু হতে হবে এবং হতে হবে চৌকস। পৃথিবীর সর্বশেষ জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তাদের আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।' এ সময় তিনি শিক্ষকদের গবেষণার প্রতি আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনন্য শিক্ষা ও পাঠদান পদ্ধতি 'বেস্নন্ডেড লার্নিং সিস্টেম (বিএলসি) এবং লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এলএমএস) সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো জ্বেলে দেওয়াই একজন শিক্ষকের প্রধান কাজ উলেস্নখ করে তিনি আরও বলেন, 'শিক্ষার্থীরা শিক্ষদের অনুসরণ করে। তারা শিক্ষকদের জীবনের আদর্শ হিসেবে মানে। তাই শিক্ষকদের চলাফেরায় এবং জীবনাচরণে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।' ম সংবাদ বিজ্ঞপ্তি