ময়মনসিংহের নান্দাইলে একটি কালভার্টের স্স্ন্যাব ধসে খালে পড়ে গেছে। এ কারণে সড়কটিতে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে লোকজন। স্স্ন্যাব ভাঙার জন্য পাশের উপজেলার একটি অটোরাইস মিলের ভারী যানবাহন চলাচলকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।
দিনকয়েক আগে গাঙ্গাইল ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামে ভূঁইয়াবাড়ির পাশে গিয়ে দেখা যায়, স্স্ন্যাব (পাটাতন) ধসে পড়া কালভার্ট। নান্দাইল রোড বাজার থেকে পাইকুড়া বঙ্গবাজার ভায়া বাংলাবাজার পর্যন্ত পাকা সড়কের একটি খালের ওপর কয়েক বছর আগে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। এর ভাঙা অংশের ওপর দুটি কাঠের তক্তা ফেলে রাখা হয়েছে। তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট ছোট যানবাহন ও পথচারী। তাদের সতর্ক করার জন্য কালভার্টের মাঝখানের একটি ভাঙা রড সোজা করে তাতে সাদা ও হলুদ রঙের দুটি খালি সিমেন্টের বস্তা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
পথচারী বিনারামপুর গ্রামের তারা মিয়া (৫৭) ও মহাদেবপুরের নাজমুল হক (৪০) বলেন, ১০-১৫ দিন আগে কালভার্টের স্স্ন্যাব ধসে পড়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। যানবাহনগুলো কালভার্টের দুই পাশ পর্যন্ত চলাচল করত। দু'দিন আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাঠের তক্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। গাঙ্গাইল ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নয়ন জানান, শিগগির একটি নতুন কালভার্ট নির্মাণের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে তিনি জানান।
নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী শাহ বোরহমান সজিব জানান, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের ভাঙা কালভার্টটি অপসারণ করা হবে। এরপর সেখানে নতুন একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। খুব শিগগিরই এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী-বাইনতলা পাকা সড়কের ৫৯০ মিটার সড়ক চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকে। সড়কটি এমন অবস্থার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী। এলজিইডি বিভাগ বলছে, বরাদ্দ আসলে সড়কটি সংস্কার করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কাটাখালী-বাইনতলা সড়কের কাটাখালী থেকে লকপুর জলছত্র পর্যন্ত প্রায় ৫৯০ মিটার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তে ভরে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে ভরে এক ভূতুরে অবস্থার সৃষ্টি হয়। পথচারীসহ যানবাহন চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে এখানকার বেশির ভাগ মানুষ ভিন্ন পথ দিয়ে যাতায়াত করছেন। সড়কের এমন বেহাল দশার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।
তারা জানান, খুলনা-মোংলা রেললাইন করার সময় এই সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহনে করে বিভিন্ন মালামাল ও জিনিসপত্র নিয়ে যাতায়াত করার ফলে সড়কে এমন খানা-খন্দরে ভরে গেছে। এখন বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়।
উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ জানান, খুলনা-মোংলা রেললাইন করার সময় ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ওই সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে সড়কগুলো ঠিক করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, সড়কের দুই পাশে অনেক দোকান ও বাড়ি-ঘর রয়েছে। কিন্তু দুই পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের ওপর পানি জমে থাকে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সড়কের ইস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে সড়কটি সংস্কার করা হবে।