বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
walton
মেহেরপুরের বারাদী-গহরপুর সেতু

দুই বছরেও কাজ শেষ না হওয়ায় ২০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

মেহেরপুর প্রতিনিধি
  ২১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
মেহেরপুরে অর্ধ্বেক কাজ করে ফেলে রাখা বারাদী-গহরপুর সেতু -যাযাদি

মেহেরপুরের বারাদী-গহরপুর সেতু নির্মাণ কাজ ধীরগতির কারণে দুর্ভোগে পড়েছে দুই পারের ২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। চলতি বছরের জুন মাসে সেতুর নির্মাণ শেষ হবার কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র অর্ধেক। ফলে বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষকে পারাপারের জন্য বিকল্প একটি কাঠের সেতুর ওপর ভরসা করতে হচ্ছে। শিগগিরই যেন সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করে চলাচল উপযোগী করা হয় সে দাবি এলাকাবাসীর।

সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মাদারীপুর জেলার আনোয়ারা জেভি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)এর তত্ত্বাবধানে ২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী-গহরপুর সড়কে ছেউটিয়া নদীর উপর সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে। সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০ মিটার এই সেতু নির্মাণ কাজ চলতি বছরের ১৩ জুন শেষ করার কথা। কিন্ত এই সময়ের মধ্যে মাত্র অর্ধেক কাজ হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ।

এদিকে, সেতু নির্মাণ কাজ শুরুর আগে সেতুর পাশ দিয়ে পথচারীদের চলাচলের জন্য একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হলেও ওই সেতুতে প্রয়োজন মেটে না স্থানীয়দের। তারপরেও প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও মানুষ পারপার হচ্ছে। সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কৃষক, ছাত্র-ছাত্রী, রোগী ও তাদের স্বজনসহ পথচারীরা। কৃষকদের ফসল ঘরে তুলতে, বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে অনেক রাস্তা ঘুরে যেতে হয়। এতে বাড়ছে পরিবহণ ব্যয়। রাতের আধারে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য শহরে নিতে হয় অনেক পথ পেরিয়ে। এতে রোগীরা সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে পারে না। শিক্ষার্থীরাও অনেক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না সঠিক সময়ে।

গহরপুর গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, কাঠের সেতু দিয়ে ভারি গাড়ি চলাচল করা সম্ভব হয় না। বাধ্য হয়ে অল্প করে ফসল মাথায় নিয়ে পার হতে হয়। ফলে সময় লাগে অনেক বেশি। দুই বছর ধরে সেতুটির কাজ শুরু হয়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত শেষ হলো না। কবে হবে তা কেউ জানে না।

একই গ্রামের নবম শ্রেনির শিক্ষার্থী সাদিয়া তাবাচ্ছুম জানায়, কাঠের সেতু দিয়ে চলাচল করতে ভয় লাগে। একটু বেশি মানুষ উঠলে নড়বড় করে। কখন জানি ভেঙ্গে পড়ে যায়। চলাচলে ভীষণ অসুবিধা হয়। জানি না এই দুর্ভোগের শেষ কোথায়।

এলজিইডি মেহেরপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক জানান, ঠিকাদাররা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে সঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে পারে না। কারণ হিসেবে বলেন, হঠাৎ করে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়া, লেসে টেন্ডার নেওয়া, কাজের উপযুক্ত পরিবেশ না পাওয়ায় লোকসানের ভয়ে সঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে পারে না। তখন ঢিলেঢালাভাবে কাজ করে। তবে আমরা ঠিকাদারকে আল্টিমেটাম দিয়েছি দ্রম্নত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
shwapno

উপরে