পাবনার আলোচিত সেকেন্দার হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এদিকে, সিরাজগঞ্জে মাদক মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
পাবনা প্রতিনিধি জানান, দীর্ঘ ১৪ বছর পর পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলায় জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সেকেন্দার শাহ হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন পাবনার বিশেষ জজ আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আটজনকে খালাস দেওয়া হয়। সোমবার পাবনার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার বাবুলচারা গ্রামের ইউসুফ আলী শাহর? ছেলে জিয়া শাহ ও মজিবর শাহ, মৃত গেদু শাহের ছেলে শাহজাহান শাহ, মৃত তফু শাহের ছেলে আতু শাহ, পরশ উলস্না শাহের সেন্টু শাহ ও মৃত গফুর শাহের ছেলে ইয়ারুল শাহ। জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ক্ষেতের মধ্যেই বাবুলচারা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান শাহের ছেলে সিকেন্দার শাহকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন অভিযুক্ত আসামিরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জিন্নাত শাহ ১৬ জনের নাম উলেস্নখ করে পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা করেন।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জে হেরোইন রাখার অপরাধে আব্দুস সালাম নামের এক মাদক কারবারিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সালাম চাঁপাইনববাগঞ্জ জেলার রেহাইচর আদর্শপাড়া গ্রামের নাঈম উদ্দিনের ছেলে। সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান ও স্টোনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতের্ যাব-১২ সদস্যরা জানতে পারেন রাজশাহী থেকে একটি ট্রাক মাদকদ্রব্য বহন করে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ট্রাকের গতিরোধ করে আব্দুস সালামের দেহ তলস্নাশি চালিয়ে ২০৬ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। এ ঘটনায়র্ যাবের ডিএডি জহির উদ্দিন বাদী হয়ে তাড়াশ থানায় মামলা করেন।