সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

নীলফামারীতে আন্তঃজেলা নৃত্য প্রতিযোগিতা ও বৃহৎ নৃত্য উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী
  ১২ মে ২০২৫, ১৪:৫৮
নীলফামারীতে আন্তঃজেলা নৃত্য প্রতিযোগিতা ও বৃহৎ নৃত্য উৎসব
ছবি: যায়যায়দিন

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা নীলফামারী জেলা শাখার আয়োজনে নীলসাগর গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি নীলফামারীর সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী “আন্তঃজেলা নৃত্য প্রতিযোগিতা (রৌপ্য পদক) ২০২৫” এবং “নৃত্য উৎসব” অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) তারিখে আন্তঃজেলা নৃত্য প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে এ আয়োজনের সূচনা হয়। রোববার (১১ মে) তারিখে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য নৃত্য উৎসব। যেখানে দেশের বিভিন্ন জেলার উদীয়মান ও খ্যাতিমান নৃত্যশিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন।

নৃত্য উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থার সহ-সভাপতি নৃত্য গুরুমাতা সেলিনা হক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি মো: সুজা উদ্দিন খান (রনি) । সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক দৌলত জাহান ছবি এবং সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কালচারাল অফিসার নুঝাত তাবাসসুম রিমু।

অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে রৌপ্য পদক ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহ মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম চৌধুরী, ডোর টু ডোর প্রজেক্ট ইনচার্জ আরঙ্গজেব সুজন, মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত চাকি, চাঁদেরহাট ডিগ্রী কলেজ সহযোগী অধ্যাপক আফরোজা বুলবুল নিলা এবং জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী তাসনিম ফৌজিয়া ওপেল।

অনুষ্ঠানে নীলফামারী জেলার বেকার সমস্যা সমাধানে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখা বেসরকারি শিল্প উদ্যোক্তা, নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবিব লেলিনের পক্ষে বিশেষ সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন মানব সম্পদ কর্মকর্তা অমিত চাকি।

সভাপতির বক্তব্যে মো: সুজা উদ্দিন খান (রনি) বলেন, “নৃত্যশিল্প হলো সংস্কৃতির এক গভীরতম ও প্রাণবন্ত প্রকাশ। এই আয়োজনের মাধ্যমে এই বছর দ্বিতীয় বারের মতো রংপুর বিভাগের ৮ টি জেলার নৃত্যশিল্পীদের একটি মঞ্চ দিতে পেরেছি—যেখানে তারা নিজেদের সৃজনশীলতা, পরিশ্রম ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে পেরেছেন। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, নীলফামারী জেলা শাখা জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার আয়োজন করবেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এবং এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। আমি এই উৎসবকে সফল করার জন্য সকল অতিথি, পৃষ্ঠপোষক, অংশগ্রহণকারী শিল্পী ও আয়োজক সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই উৎসব জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে