বিএনপি-জামায়াত দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়; এমন রাজনৈতিক দলের কাছে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়- এমন মন্তব্য করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা আগে দুই হাজার টাকা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। আমরা প্রতিদান দিতে জানি। অন্য সরকার আসে খাইতে (ভোগ করতে) আর আওয়ামী লীগ সরকার আসে দিতে।
বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি অজুহাত খোঁজে নির্বাচন কীভাবে না করা যায়। তারা প্রথমে ২০১৪ সালে অবরোধ দিয়েছে। বিনা দোষে নিরীহ সাধারণ মানুষকে বাসে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, ২০১৮ সালে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে, ২০২৩ সালে আবারও এই অবরোধ দিয়েছে। এই নির্বাচন না করার জন্যই ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়ে নিষ্পাপ মায়ের কোলে শিশুকে হত্যা করেছে।'
আইনমন্ত্রী বলেন, '২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সারা বিশ্বকে দেখাবে যে তারা গণতন্ত্র কি সেটার মানে বুঝে এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে জানে। আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে ভোট দিবেন।'
তিনি বলেন, '১৯৭৫ সালের পরে ২১ বছর বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন হয় নাই। লুটপাট হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা লুটপাটে বাধা দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়েছে। আমাদের চোখ খুলে দিয়েছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত উন্নয়নের কাজ শুরু করেন। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছেন। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। কেউ কোনো দিন ভাবতে পারেনি এবং বিশ্বব্যাংকও ভাবতে পারে নাই। বিশ্বব্যাংক মনে করেছিল তারা টাকা না দিলে পদ্মা সেতু হবে না। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির কথা বলে ঋণ বন্ধ করে দেয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ঋণ চাই না। আমরা জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু করব এবং সেটা করেছেন।'
'যারা ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও শিশুকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিয়েছে। তাদের মায়া-দয়া নাই। এমন রাজনৈতিক দলের কাছে বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিরাপদ নয়। সেটা প্রমাণ করার সময় এসেছে। প্রমাণ করার সময় এসেছে আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি। তাই কেন্দ্রে গিয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দেব' এ সময় বলেন তিনি।
দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল অহাব, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান নাজিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা পিয়ারা বেগম, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।