বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকায় ঝুঁকিতে হবিগঞ্জের বোরো আবাদ

মো. নূরুর হক কবির, হবিগঞ্জ
  ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
হবিগঞ্জে প্রচন্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে ধান রোপণ করছেন কৃষক -যাযাদি

হবিগঞ্জে গত কয়েক বছর ধরে ব্রি-২৯ ধান আবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। চলতি মৌসুমে ক্ষতির ঝুঁকি নিয়েই ফের একই জাতের ধান আবাদ করেছেন তারা। এই জাতের ধান আবাদে সরকার বারণ করলেও কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে তা চাষ হয়েই যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার অধিকাংশ কৃষক এবার ব্রি ৮৮, ৮৯ ও ৯২ ধান আবাদ করছেন। প্রচন্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে কৃষকরা ধান লাগানোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলার কৃষি বিভাগ জানিয়েছে- এ বছর জেলায় এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ২২৫ হেক্টর বেশি। ইতোমধ্যে জেলায় ৫৪ হাজার ২১৩ হেক্টর জমিতে ধানের চারা লাগানো হয়েছে।

গত শুক্রবার হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নের গুঙ্গিয়াজুরী হাওড়ে দেখা যায়, প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে কৃষকরা ধানের চারা লাগানো আর ট্রাক্টর দিয়ে চাষের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

নাজিরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, 'গত বছর ব্রি ২৮ ও ২৯ ধান আবাদ করে ফসল ঘরে তুলতে পারিনি। এবারও ঝুঁকি নিয়ে কিছু জমিতে এই ধান আবাদ করেছি। কারণ এই ধান খাবারের জন্য খুবই ভালো।'

তিনি আরও বলেন, 'শীত থাকলেও কৃষকরা ঘরে বসে থাকতে পারে না। সেচ ও শ্রমিক মজুরি বাড়লেও কি খাব এই চিন্তা করে ৫ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছি।'

একই গ্রামের কৃষক সুরত আলী জানান, বোরো ধান আবাদ করতে বিঘাপ্রতি যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় ধান বিক্রি করে তা ওঠে না। শ্রমিক মজুরি বেড়েছে। বেড়েছে ডিজেল, কীটনাশকসহ সবকিছুর দাম। সবজির দাম বাড়লেও বাড়ে না ধানের ধান। ফলে কৃষকরা ধান আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে।

পইল গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আব্দুল কালাম বলেন, 'কৃষি কর্মকর্তাদের উপদেশ না নিয়েই ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ করেছি। নতুন ধানের জাতের বীজ ৪৫০ টাকা কেজি। এত বেশি দাম দিয়ে বীজ কিনলে খরচ বেড়ে যাবে। এমনতেই সবকিছুর খরচ বেশি।'

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরে আলম জানান, কৃষি বিভাগ ব্রি ২৮ ও ২৯ ধান আবাদ না করতে কৃষকদের উপদেশ দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কিছু কৃষক পুরনো অভ্যাসের কারণে এখনো ব্রি-২৮ ধান আবাদ করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে