খাগড়াছড়িতে ২০২৩ সাল ছিল আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার। জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে খুন-গুম, অপহরণসহ নানা তৎপরতায় উত্তাপ আর উত্তেজনার মধ্যেই কেটেছে। সংঘাত-সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন আট নেতাকর্মী।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘাত-সংঘর্ষ, হামলা-মামলার ঘটনা ঘটেছে। আর বছরের শেষে দিকে আঞ্চলিক দলের মধ্যে সংঘাতে চার নেতার মৃতু্য হয়েছে। এতে জেলাবাসী ছিলেন আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায়।
এ নিয়ে পুরো বছর খাগড়াছড়ি জেলায় জাতীয় রাজনৈতিক সহিংসতায় দুইজন এবং আঞ্চলিক দলের ছয়জন মারা গেছেন। এ ছাড়া পুরো বছরে দফায় দফায় বিপুল পরিমাণের ভারতীয় মাদক, শাড়ি ও ওষুধ উদ্ধারের ঘটনা ছিল বেশ আলোচিত।
গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি জনপদ পুজগাং এর অনিলপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা। এ সময় সন্ত্রাসীরা আরও তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অপহৃত তিনজনকে উদ্ধার করা হয়।
গত ২৬ জুলাই খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা জার্মপস্নাজম এলাকা থেকে দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওইদিন মাটিরাঙ্গা পুলিশ লাশগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। দুইজনই আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনের সাবেক সদস্য বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন- ইউপিডিএফ'র বহিষ্কৃত নেতা আলোপম চাকমা (৪৭) এবং প্রীতিময় চাকমা (৪৬)।
এ ছাড়াও গত ৪ এপ্রিল দীঘিনালায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসীত গ্রম্নপের সদস্য ত্রিদিব চাকমা শিমুল (৪২) নিহত হয়েছে। ২০২৩ সালের পুরো বছরটা খাগড়াছড়ি ছিল জাতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে উত্তাল। সংঘর্ষ, হামলা-মামলার মধ্য দিয়ে গেছে পুরো বছর।