মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
নির্বাচনী সভায় আপত্তিকর বক্তব্য

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে গণপূর্ত মন্ত্রীর একশ' কোটি টাকার মানহানির মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে গণপূর্ত মন্ত্রীর একশ' কোটি টাকার মানহানির মামলা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে নির্বাচনী সভায় আপত্তিকর বক্তব্যের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র ও নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন নবনিযুক্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী এবং এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম জেলা জজ নজরুল ইসলামের আদালতে তিনি এই মামলা করেন। মামলা নং-০১/২০২৪, তারিখঃ- ১১-০১-২০২৪ ইংরেজি।

ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাঁচি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত এবং নবগঠিত মন্ত্রীসভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী নিযুক্ত হন।

মানহানির মামলার এজাহারে উলেস্নখ করা হয়- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফিরোজুর রহমান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। বাদীকে (র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী) পরাজিত করার উদ্দেশে বাদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজারে নির্বাচনী জনসভায় ফিরোজুর রহমান বলেন, 'তার নিজের ঘরেই (মোকতাদির) আমার টাকা আছে। ৩০-৩৫ বছর আগে আমি তাকে (মোকতাদির) ৫০ হাজার টাকা দিয়া রেখেছি। ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া করার সময় আর্থিক সহায়তা করেছি।'

বাদীর আইনজীবী আবদুল জব্বার মামুন বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সুহিলপুরে এক নির্বাচনী সভায় ফিরোজুর রহমান এক নির্বাচনী সভায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বক্তব্য রাখেন। প্রকৃতপক্ষে ৩০-৩৫ বছর পূর্বে ফিরোজুর রহমানের সঙ্গে মোকতাদিরের কোনো পরিচয় ছিল না। সে সময় বাদী মোকতাদির চৌধুরী তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ফিরোজুর রহমানের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তিনি বলেন, দৃষ্টিগোচর হলে গত ২৮ ডিসেম্বর মানহানিকর বক্তব্য পরিহার করে বাদীর কাছে ক্ষমা চাইতে একটি আইনি নোটিশ ফিরোজুরর কাছে ডাকযোগে পাঠানো হয়। তিনি আইনি নোটিশ গ্রহণ করেও কোনো পদক্ষেপ নেননি।

তাই র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি করায় আদালতে শত কোটি টাকার ক্ষতির মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার আদালত এই মামলায় শুনানি করবেন।

এ ব্যাপারে ফিরোজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মামলা করার আগে তিনি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন, 'কিন্তু নির্বাচনে ব্যস্ত থাকার কারণে সেদিকে মনোনিবেশ করতে পারিনি। যেহেতু তিনি মামলা করেছেন, আইনিভাবে আমি জবাব দেব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে