শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

রাজারহাটে ঘন কুয়াশায় বীজতলার চারা বিবর্ণ, আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তা

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
রাজারহাটে ঘন কুয়াশায় বীজতলার চারা বিবর্ণ, আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তা

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মানুষ মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে। মাঘের শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন কুয়াশা ও শীতের দাপটে ইরি-বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

এবার চলতি ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ২৪ হেক্টর। এর বিপরীতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ৭৫২ হেক্টর। কিন্তু ঘন কুয়াশায় অনেকের বীজতলার চারা বিবর্ণ ধারণ করেছে। ঘন কুশায়ার কারণে কোনো কীটনাশকও কাজ করছে না। তাই হিমের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে স্বচ্ছ সাদা রঙের পস্নাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখছেন বীজতলা। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে জমিতে চারা রোপণের সাহস পাচ্ছেন না কৃষকরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত সোমবার এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জীবন-জীবিকার তাগিদে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষজন। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিস্তা ও ধরলার নদীর পাড়ের চরাঞ্চলের মানুষজন।

এদিকে রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার তালুক ব্যাপারী পাড়া গ্রামের কৃষক হানিফ বলেন, ঘন কুয়াশায় ইরি-বোরো বীজতলার চারা হলুদ বর্ণ হয়েছে। কীটনাশক দিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাসজুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২৫ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আবার হ্রাস পেতে পারে।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুন্নাহার সাথী বলেন, কৃষকদের জিপসাম স্প্রে করতে বলা হয়েছে। তবে রোদ হলে স্বাভাবিক হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে