‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে আসা অর্ধেকের বেশি ফোনকল ‘অপ্রয়োজনীয়’ হওয়ায় প্রকৃতি সেবাদান ব্যাহত হওয়ার কথা বলেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৯৯৯-এ মোট ৬ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০৭টি ফোনকল ধরা হয়। এরমধ্যে জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ বিভিন্ন তথ্যসেবা দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৬ জনকে, যা মোট কলের ৪৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
বাকি ৩ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার ২১টি কলের সঙ্গে জরুরি সেবার সম্পর্ক নেই তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এগুলো হচ্ছে ব্ল্যাংক কল, প্র্যাংক কল এবং মিসড কল, যা মোট কলের ৫৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এসব অপ্রয়োজনীয় কল কল-ওয়েইটিং টাইম বাড়িয়ে দেয়; সত্যিকার বিপদগ্রস্ত কলারের সেবাপ্রাপ্তিতে বিলম্ব ঘটায় এবং ৯৯৯-এর কলগ্রহীতাদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই অপ্রয়োজনীয় কলগুলো ৯৯৯-এর দ্রুত সেবাপ্রাপ্তি ব্যাহত করছে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন উদ্ধৃত করে বলা হয়, ৭০(১) ধারায় বিরক্তিকর কলের জন্য এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও কারো বিরুদ্ধে এ আইন প্রয়োগ হয়নি। বরং ৯৯৯ জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।