শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
বাঁধের দুই পাশে গভীর গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় মাটি ধরে রাখা যাচ্ছে না

শান্তিগঞ্জে কাজ শেষের আগেই ফসল রক্ষা বাঁধে ধস

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়া ফসল রক্ষা বাঁধ -যাযাদি

সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওড়ের ছাইয়া কিত্তা ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার আগেই বাঁধে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন হাওড়পাড়ের কৃষকরা। পিআইসি কমিটির লোকজন ধস ঠেকাতে কাজ করছেন দিন-রাত।

জানা যায়, উপজেলার দেখার হাওড়ের ছাইয়া কিত্তার বাঁধ ০৬নং পিআইসি কমিটির অধীনে প্রায় ১০০০ মিটার বাঁধের কাজ নির্মাণাধীন রয়েছে। প্রকল্প এলাকার উত্তর পাশে 'ছাইয়া কিত্তা' নামক জায়গায় গত দুই বছর আগে বর্ষা মৌসুমে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রাতের আধারে মহাসিং নদী ও বাঁধের পশ্চিমে বালি মাটি এবং ভিট বালি তোলে। এতে বাঁধের দুই পাশে মহাসিং নদী ও হাওড় অংশে দুইটি বড় ডোবার সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় ২৭ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ছাইয়া কিত্তা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজ শেষ পর্যায়ে। গত ৭-৮ দিন ধরে বাঁধের দুই পাশে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বাঁধের মাটি দুই পাশে গভীর ডোবায় ধসে পড়ছে। ভাঙন শুরু হওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে ফসল রক্ষা বাঁধ এবং আর্থিক সংকটে পড়ছেন পিআইসি কমিটির লোকজন।

সরেজমিন দেখা যায়, দেখার হাওড়ের ছাইয়া কিত্তা ফসল রক্ষা বাঁধের দুই পাশে জিও ব্যাগ দিয়ে ডাম্পিং করা হচ্ছে। বাঁধের ফাটল অংশ আলাদা ভাবে অতিরিক্ত মাটি ফেলে সংস্কার করার কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু বাঁধের দুই পাশে গভীর গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় মাটি ধরে রাখা যাচ্ছে না।

আস্তমা গ্রামের কৃষক ও পিআইসি কমিটির সভাপতি আজিমুল হক জানান, 'আমাকে ছাইয়া কিত্তা বাঁধে কাজ করার জন্য নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাঁধের কাজের শেষ পর্যায়ে এসে আমার বাঁধের দুই পাশে ভাঙন শুরু হয়। কোনোভাবেই ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। এর জন্য আরও অর্থ বরাদ্দ দিয়ে দুইটি গর্ত মাটি ভরাট করা প্রয়োজন। না হলে বাঁধ রক্ষা করা যাবেন না। বৈশাখ মাসে হাওড়ে পানি এলে এ বাঁধ হুমকির মুখে পড়বে। আমি উপজেলায় লিখিতভাবে জানিয়েছি।'

শান্তিগঞ্জ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা কাবিটা কমিটির সদস্য সচিব ইয়াছিন খান বলেন, 'ইতোমধ্যে বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। বাঁধটি আসলে হুমকির মুখে। প্রাথমিকভাবে দুই পাশে জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধের ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করেছি। ভাঙন রোধে নতুন করে ইস্টিমিট তৈরি করে দ্রম্নত কাজ শেষ করার কাজ করছি।'

শান্তিগঞ্জ ইউএনও সুকান্ত সাহা জানান, উপজেলার দেখার হাওড়ের ছাইয়া কিত্তা বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্চতর টিমের সাহায্য নিয়ে ফসল রক্ষা বাঁধের ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে