শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে ৫ কি.মি. রাস্তার জন্য তিন হাজার কৃষকের দুর্ভোগ

বাজিতপুর-নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ১২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

কিশোরগঞ্জের দুটির উপজেলার মধ্যে ধান উৎপাদনকারী সংযুক্ত হাওড়ের নাম জোয়ানশাহী। দেশের অন্যতম খাদ্য উৎপাদনকারী জোগানদাতা বলা চলে এই হাওড়কে। এই হাওড়ের বুক দিয়ে কৃষি যন্ত্রাংশ ও ধান আনা-নেওয়ার একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। এ কারণে রাস্তার বক্সকালভার্টও ভেঙে পড়ে থাকায় উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে।

কৃষকরা জানান, বৃষ্টির সময় ওই সড়ক দিয়ে ফসল পরিবহণ করতে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের বোরো জমি রয়েছে। পাশাপাশি তাদের দশ লক্ষাধিক মণ বোরো ধান বিভিন্ন ধরনের গাড়ি দিয়ে বাড়িতে ও নৌপথে ঘোড়াউত্তা নদী দিয়ে পাড় করতে গিয়ে অনেক খরচ গুণতে হয়। এই রাস্তাটি আনুমাণিক ৪-৫ কি. মি. পাকা করার ফলে আগের তুলনায় দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। তবে বড় সমস্যা রয়েই গেছে এই দুই উপজেলার।

অষ্টগ্রামের কাছাকাছির হাওড় থেকে সাপ হাওড় হয়ে ছাতিরচর এলাকায় ধান আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ছাতিরচরের কৃষকদের। সরেজমিন খোজ নিয়ে জানা যায়, রাস্তা আর বোরো জমির উচ্চতার ব্যবধান না থাকায় জমির পানি কোথাও কোথাও টুই-টুম্বর হয়ে যায়। রাস্তা তলিয়ে গেলে হেঁটেও পার হওয়া যায় না। এর মধ্য দিয়ে কঠিন সংগ্রাম করে তাদের হালের গরু, মহিষ আনতে হয়। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, দুই দিকেই পাকা করা আছে। অথচ হুমাইপুর থেকে কারানল ব্রিজ পর্যন্ত ৫-৬ কি. মি. রাস্তা ভাঙা থাকায় পাড় হওয়া যায় না। হুমাইপুর উপ-প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডের একোয়ারের কাজ সেটি। ৫-৬ বছর আগে এলজিডির অধীনে এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু মেরামতের অভাবে পূর্ণ মেরামতেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ভোগান্তি রয়েই গেছে। কৃষি অফিসের কোনো মাথা ব্যথা নেই। কোনো সময় তাদের মাঠে আসতে দেখা যায় না।

হুমাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ধনু মিয়া বলেন, 'আমি এসব অভিযোগের কথা কৃষকদের কাছ থেকে শুনেছি। নিম্নমানের কাজের জন্য কৃষকরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।

ছাতিরচরের চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান চৌধুরী ইয়ার খান বলেন, কৃষকদের উন্নয়নের লক্ষ্যে অনেক বড় বড় কাজ হয়েছে। তবে ৫-৬ কি. মি. রাস্তার জন্য কৃষকদের ভোগান্তির অন্ত নেই।

নিকলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হাওড়ের কৃষকরা বরাবরই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। নিকলী উপজেলা ইউনিয়ন সামছুর আলম রাকিব বলেন, রাস্তার উন্নয়েন কাজ তার সময় হয়নি। তবে এ বিষয়ে তিনি খুব একটা জানেন না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে